COMPLETE CARE OF PLANTS

WELCOME TO OUR BLOG
  • GO THOUGH OR WHATSAPP CATALOG

    You can get here PLANT AND OTHER PRODUCT PRICE ...

  • GO THOUGH OR FACEBOOK GROUP

    You can get here latest update of product with price...

  • GO THOUGH OR YOUTUBE CHANEL

    You can get here plant caring videos...

October 24, 2023

টবে গোলাপের চাষ

টবে গোলাপের চাষ

  • টবের মাটি তৈরি : টবের মাটি দুভাবে তৈরি করা চলে। প্রথমতঃ ১০ ইঞ্চি টবের জন্য ৩ ভাগ মাটি, এক ভাগ গোবর সার, স্টেরামিল অথবা হাড়ের গুঁড়ো ৫ চামচ ইত্যাদির মিশ্রণ।  দ্বিতীয় পদ্ধতির জন্য প্রয়োজন ৩ ভাগ পাতাপচা সার, মোটা বালি অর্ধেক ইত্যাদির মিশ্রণ।

এইভাবে প্রস্তুত মাটি বালি চালা চালুনি দিয়ে ভালভাবে চেলে নিতে হবে। তারপর প্রতি টবের পরিমাণ মত মাটির সঙ্গে এক চামচ করে শিং গুঁড়ো, চামড়া গুঁড়ো, পটাশিয়াম সালফেট, সরষের খোল ও চুন এবং হাড় গুঁড়ো দুই চামচ মিশিয়ে টবে মাটি ভর্তি করতে হবে।

টবের মাটি যেন ওপরের কিনারা থেকে অন্ততঃ ২ ইঞ্চি নিচে থাকে। টবের মাথায় মাথায় উঁচু করে মাটি ভরা চলবে না। মাটি ভর্তি টবে গাছ লাগাবার জন্য একমাস অপেক্ষা করতে হবে। এই সময়ের মধ্যে প্রতি সপ্তাহে একবার জল দিয়ে টবে মাটি উল্টে পাল্টে দিয়ে রোদ খাওয়াতে হবে।

মাটি ভর্তি করবার আগে নতুন টবটিকে ভালভাবে শোধন করে নেবার দরকার হয়।

টবটিকে পরিষ্কার করে ধুয়ে কমপক্ষে ১০ মিনিট ফুটন্ত জলে এক ঘণ্টা ডুবিয়ে রাখতে হবে।

তারপর ভাঙ্গা খুরি বা টবের ছোট টুকরো দিয়ে টবের নিচের ছিদ্রটি এমনভাবে ক দিতে হবে যেন ফাঁক দিয়ে জল নির্গমনের সুবিধা থাকে। নিচের ছিদ্রটি ঢেকে দেবার পরে টবে প্রথমে দিতে হবে ২-৩ সেমি উঁচু করে কাঠকয়লার টুকরোর স্তর। এবার তৈরি করা মাটি দিয়ে টবটি ভর্তি করতে হবে। মাটি ভর্তি করার আগে আধ চামচ তুঁতে গুঁড়ো, এক চামচ ফিউরাডন (FURADON) দানা মাটির সঙ্গে মিশিয়ে নিতে হবে।

  • প্রাসঙ্গিক সর্তকতা

টবে বসাতে গেলে উন্নত জাতের গোলাপের চারা নির্বাচন করা উচিত।

সখের পুষ্পপ্রেমী ও ব্যবসায়ীদের জন্য টবে বসাবার উপযোগী কয়েকটি গোলাপের নির্বাচিত জাত হল— মন্টেজুমা, লরা, আই ন্যাচার, জিন গজার্ড, কনফিডেন্স, বিশ্বরো, প্যারাডাইস, শবনম,রোজ পিনোচ্চি ও ইভনিস্টোর প্রভৃতি। যারা প্রথম টবে গোলাপের চাষ করবেন তাদের পক্ষে উৎসাহ বৃদ্ধির জন্য হাইব্রিড টি লাল অথবা ফ্লোরিডা এই দুটি জাত বিশেষ উপযোগী। এসব গাছ চাষ করা সহজ। এগুলো অল্প সময়ে মাটিতে লেগে যায়, রোগ প্রতিরোধক্ষম এবং ফুলের সংখ্যা বেশি।

টবে গাছ লাগানোর উপযুক্ত সময় বর্ষার শেষে অর্থাৎ ভাদ্র-আশ্বিন মাস। মাঘ-ফাল্গুনে লাগালেও উপযুক্ত পরিচর্যা দিয়ে গাছ বড় করা যায়।

নির্ভরযোগ্য নামী প্রতিষ্ঠান থেকে কলম কেনা উচিত। তাহলে ঠকবার ভয় থাকবে না। চারার গোড়ায় শেকড় জড়িয়ে যে মাটির মূলটি থাকে, কেনার সময় সেটি নিখুঁত আছে কিনা দেখে নিতে হবে।

গুল ক্ষতবিক্ষত বা ভাঙ্গা থাকলে বুঝতে হবে গুলের ভেতরের গাছের শেকড়গুলি অক্ষত নেই। ওরকম কলম গাছ বর্জন করতে হবে। চারায় ফুল ও কুঁড়ি থাকতে পারে। থাকলে তা ভেঙ্গে দিতে হবে এবং গাছের অধিকাংশ পাতাও ছিঁড়ে দিতে হবে। কিনে আনা গাছগুলিকে ছায়াচ্ছন্ন জায়গায় খবরের কাগজ জড়িয়ে ২-৩ দিন রেখে দিতে হবে। চারার শিকড়ের শুলটি সব সময় রসযুক্ত রাখতে হবে। প্রয়োজনে হাল্কাভাবে জল ছিটিয়ে দেওয়া দরকার। এভাবে ছায়াতে রাখা গাছগুলি নির্দিষ্ট সময়ে তুলে মূলসমেত টবের মাটিতে মধ্যস্থলে বসাতে হবে। টবে লাগাবার সময় যদি দেখা যায় গুলটি বেশ ভিজা রয়েছে তাহলে তখনই তা লাগানো যাবে না। তলটি অপেক্ষাকৃত শুকনো করে নিয়ে টবে লাগাতে হবে। চারা বসাবার সময় খেয়াল রাখতে হবে, কলমে জোড়ালাগা জায়গাটা যেন মাটির সমতলে থাকে।

টবের মাঝখানে সোজা করে চারা লাগাবার পরে এক সেমি পুরু করে সার মাটি গোড়ার চারপাশে ছড়িয়ে হাতের আলগা চাপে বসিয়ে দিতে হবে। গাছ লাগানোর পর টবের মাটি ভিজিয়ে জল দিতে হবে। ঠিক ঠিকভাবে জল দেওয়া হল কিনা তা সব সময় টবের মাটির ওপরের ভিজা অংশ দেখে বোঝা যায় না। ওপরের মাটি ভিজা থাকলেও টবের ভেতরের অংশে জল না পৌঁছাতেও পারে। সেক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় জলের অভাবে গাছ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এ ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়ার জন্য টবের গায়ে টোকা দিয়ে দেখতে হবে। ভেতরের অংশের মাটিতে জল না থাকলে টবের গায়ে টং টং শব্দ হবে। তখন জল দিতে হবে।

টবে গাছ লাগিয়ে কয়েকদিন আধছায়া জায়গায় রাখতে হবে। গাছে নতুন পাতা গজালে আবছায়া জায়গায় থেকে রোদ সহ্য করবার ক্ষমতা অর্জন করার সুযোগ পাবে।

গোলাপ চারা লাগানো টবটি সরাসরি মাটির ওপরে বসিয়ে রাখা চলবে না। এক ফালি কাঠের ওপরে অথবা ইটের ওপর পাটা পেতে তার ওপর টব বসানো চলবে। টবে গাছ বসাবার পর মাসে দুইবার দুই চামচ ফ্লোরাভিটা সার অথবা aries marino gold প্রয়োগ করতে হবে।

একমাস পূর্ণ হবার আগেই যদি গাছে নতুন পাতা উকি দিতে দেখা যায় তাহলে বুঝতে হবে বৃদ্ধির কাজ সুষ্ঠুভাবে হচ্ছে।

সেই ক্ষেত্রে উপরোক্ত সার এক চামচ দিলেই যথেষ্ট। যদি নতুন পাতা গজাতে একমাসের বেশি সময় নেয় তাহলে ওই সারটি দুইবার প্রয়োগ করতে হবে। মোটকথা, গাছের বৃদ্ধির মাত্রার দিকে লক্ষ্য রেখে সারের মাত্রা ও সময়ের ব্যবধান ঠিক করতে হবে।

সার দেবার আগে টবের মাটি সাবধানে সামান্য খুঁড়ে তারপর মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিতে হবে। সার দেবার পর জল দেওয়া আবশ্যক।

ফুল আসার আগে পর্যন্ত এভাবে সার দিয়ে গেলে টবের গাছে আশানুরূপ ফুল পাবার সম্ভাবনা থাকে।

কুঁড়ি ধরার মুখে পচাপাতা, নিমখোল, গোবর বা ভার্মিকম্পোস্ট প্রয়োগ করার দরকার।

তিনটি উপকরণ সমপরিমাণ নিয়ে প্রয়োগের অন্ততঃ সাতদিন আগে জলে ভিজিয়ে পচাতে হবে। এই পচানো সার জল মিশিয়ে তরল করে কুঁড়ি বেরুবার মুখে মুখে প্রতি গাছে সাধারণ মাপের চায়ের কাপে এক কাপ করে দিতে হবে।

এই তরল সার ফুলের আকৃতি বড় করতে ও ফুলের রং উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে। গাছ লাগাবার দুই সপ্তাহ পরে এক চামচ চুন আধ লিটার জলে গুলে হেঁকে নিয়ে দিয়ে নিতে হবে। এভাবে তিন মাস অন্তর একবার করে চুনজল প্রয়োগ করতে হবে। তবে চুনজল দেবার পনেরো দিনের মধ্যে কোন সার দেওয়া চলবে না। ছোট টবে গাছ বসানো হলে ৬ মাস পরে গাছ একটু বড় হলে অপেক্ষাকৃত বড় গাটিকে স্থানান্তরিত করা দরকার।

প্রথমে ৮ বা ১০ ইঞ্চি ব্যাসের টব ব্যবহার করা হলে পরবর্তী সময়ে ১২ ইঞ্চি ব্যাসের টব গাছের বৃদ্ধির আনুপাতিক হারে ব্যবহার করতে হবে।

  • টব পাল্টানো

গাছের টব পাল্টাতে হবে খুব সাবধানে। টবটিকে প্রথমে বাঁ হাতের তালুতে রেখে ডান হাতের তর্জনী ও মধ্যমা আঙুলের সাহায্যে গাছের কান্ডের দিকটা শক্ত করে ধরতে হবে। তারপর একটি টুলের একপাশে টবের কানাটাকে আস্তে আস্তে দু-চারবার ঠুকতে হবে। তাহলেই মাটিসুদ্ধ গাছ ডান হাতে উঠে আসবে।

এভাবে গাছের ৪-৫ বছর বয়স পর্যন্ত প্রতি বছর একবার করে টব পাল্টাতে হবে। টব থেকে তুলে গাছের গোড়ার চারদিকের ও নিচের অংশের কিছু মাটি ঝরিয়ে দিতে হবে। বাড়তি শিকড় শোধন করা কাঁচি দিয়ে ছেটে ফেলে গাছের গোড়ায় ওপরের দিকের কিছু মাটিও তুলে ফেলে গাছটিকে টবে বসিয়ে দিতে হবে। পরে পাতা পচা ও গোবর সারের চেলে নেওয়া মিশ্রণ দিয়ে টব ভর্তি করে দিতে হবে। পরের টবের মাটি হাত দিয়ে হাল্কাভাবে চেপে বসিয়ে দিয়ে জল দিতে হবে।

টব পাল্টাবার কাজটা বিকেলের দিকেই করা উচিত। নতুন টবে বসানো গাছ শোধন করা ছুরি দিয়ে হাল্কাভাবে ছেটে দেওয়া দরকার।

নতুন ডাল ২-৩ ইঞ্চি লম্বা হলে গাছের গোড়ায়  রোজ মিকশ্চার অথবা ২০০ গ্রাম নিম খোল, এক চামচ সিঙ্গল সুপার ফসফেট, এক চামচ সালফেট অব পটাশ, আধচামচ সালফেট অব এমোনিয়া, আধ চামচ ম্যাগনেসিয়াম সালফেট একসঙ্গে মিশিয়ে প্রতি টবে দিতে হবে।

টবের গাছের বয়স দুবছর হলে প্রকৃতভাবে ডাল ছাঁটাইয়ের দরকার হয়। ডাল ছাঁটাইয়ের কাজে ব্যবহারের আগে কাঁচি বা ছুরি স্পিরিট দিয়ে মুছে বা ব্লাইটক্স গোলা জল দিয়ে শোধন করে নেওয়া উচিত।

আশ্বিন-কার্তিক মাসই ডাল ছাঁটাইয়ের উপযুক্ত সময়। ডাল ৮-১০ ইঞ্চি লম্বা রেখে বাকি অংশ ছেঁটে ফেলতে হবে। ডাল ছাঁটার সময় ডাল ছিঁড়ে বা থেঁতলে যাবার আশঙ্কা থাকে। তাই গাটের চোখের ঠিক উল্টো দিকে ডাল একটু হেলিয়ে ছাঁটতে হবে।

ছাঁটাইয়ের পরে জলে ব্লাইটক্স গুলে মলম তৈরি করে ডালের কাটা অংশে লাগিয়ে দিলে রোগ সংক্রমণের আশঙ্কা থাকে না।

অনেক সময় টবের অতিরিক্ত জল ঠিকভাবে বেরিয়ে যেতে না পারলে টবে জলবসা সমস্যা দেখা দেয়। টবে জল বসে থাকলে গোড়া পঁচে গাছ নষ্ট হবার সম্ভাবনা দেখা দেয়। এক্ষেত্রে টব থেকে মাটি সমেত গাছটিকে বের করে এনে কয়েকদিন ছায়ায় রাখতে হবে। টবে যে খোলামকুচি দেওয়া হয়েছিল সেগুলির অবস্থানজনিত পরিবর্ধনের ফলেই জল নিঃসরণের কাজ বন্ধ হয়ে যেতে পারে। তাই পুরানো খোলামকুচি টব থেকে সরিয়ে নিয়ে নতুন করে টবের ছিদ্রের ওপরে কিছু বিছিয়ে দিতে হবে। আর ছায়ায় রাখা গাছের মাটি শুকিয়ে গেলে সেটি আবার টবের ভেতরে ঠিকভাবে বসিয়ে দিতে হবে।

গাছে ফুল ধরার সময় হলে পাতায় তরল সার স্প্রে করা উচিত। তাতে পাতা ও ফুলের রঙে উজ্জ্বল্য বাড়বে। তরল সার তৈরি করতে হবে দুই গ্রাম ইউরিয়া, দুই গ্রাম ম্যাগনেসিয়াম সালফেট ও এক গ্রাম ফেরাস সালফেট এক লিটার জলের সঙ্গে মিশিয়ে। এই সার গাছের পাতার এপিঠ ওপিঠে স্প্রে করতে হবে।

  • বিশেষ পরিচর্যা

(১) টবের গাছ গ্রীষ্মকালে বেলা ১২টা পর্যন্ত পরিষ্কারভাবে রোদ পড়ে এমন জায়গায় রেখে রোদ খাওয়াতে হবে। 

(২) শীতকালে টবের গাছ বেলা ৩টা পর্যন্ত রোদে রাখা চলবে।

(৩) বর্ষার বৃষ্টিতে টবের মাটি ধুয়ে গেলে পুনরায় টবে সার মাটি দিতে হবে।

(৪) গাছ থেকে ফুল নিতে হলে ডাটাসহ কেটে নিতে হবে।

(৫) গাছে ফুল ঝরে গেলে বোঁটা কেটে ফেলতে হবে।

(৬) টবের মাটিতে ফাটল দেখা দিলে চেলে নেওয়া গোবর সার দিয়ে ফাটল ভরাট করতে হবে।

(৭) টবের গাছে ফ্যানের হাওয়া লাগানো চলবে না।

  • টবের গোলাপ গাছের রোগ ও পোকা

আঁশ পোকা ডাল পাতার গায়ে মাছের আঁশের মতো সাদাটে দাগ দেখা যায়। কাঠি দিয়ে খুঁটলে সাদাটে আন্তরণটি উঠে আসে। আঁশ পোকা ডাল ও পাতার রস শুষে খায়। গাছ ক্রমশ দুর্বল হয়ে মারা পড়ে। 
প্রতিকার : এক লিটার জলে আধমিলি রোগর মিশিয়ে ১০ দিন অন্তর ২-৩ বার গাছে স্প্রে করতে হবে। তাছাড়া ডাল ও পাতার গায়ের আঁশ তুলে ফেলতে হবে। কাঠিতে তুলো জড়িয়ে মেথিলেটেড স্পিরিটে ভিজিয়ে ঘষলে ডাল ও পাতার আঁশ উঠে যাবে।

ডগা-পচা রোগ :বাড়ন্ত গাছে এই রোগ বেশি দেখা যায়। গাছের ডগা হঠাৎ করে কালো হয়ে যায়। সে ডাল থেকে নতুন পাতা বেরনো বন্ধ হয়ে যায়। কখনো ডালের ডগার পাতা হলুদ হয়ে ঝরে পড়ে। সাধারণতঃ টবের মাটিতে ফল বসে গেলে এমন হয়। 
প্রতিকার :  মাটি, জল নিঃসরণের ছিদ্রগুলি পরিষ্কার করে দেবার দরকার, তাছাড়া টবের মাটি ভেজা থাকলে জল দেওয়া বন্ধ রাখতে হয়। প্রতি আধ লিটার জলে দেড় গ্রাম নাইট্রেট অব সোডা গুলে টবের মাটিতে স্প্রে করতে হবে।

ছিটে রোগগোলাপ পাতার ওপরে গোলাকার কালো দাগ পড়ে। আক্রান্ত পাতা ঝরে যেতে থাকে। 

প্রতিকারপ্রতি লিটার জলে একগ্রাম ব্লাইটক্স বা ব্যাভিস্টিন গুলে ১০ দিন অন্তর ৩-৪ বার স্প্রে করতে হবে।

ডাইব্যাকভাল ছাঁটাইয়ের পরে গজানো নতুন ডালে রোগ দেখা যায়। আক্রান্ত ডালের একটি দিক বাদামী রং ধরে নিচের দিকে শুকিয়ে যেতে থাকে। ডালের পাতা ফ্যাকাশে হয়ে যায়। রোগটি এমনই মারাত্মক যে ২-৩ সপ্তাহের মধ্যে রোগাক্রান্ত গাছটি ঝিমিয়ে পড়ে।

প্রতিকাররোগাক্রান্ত অংশ কেটে ফেলতে হবে। কাটা অংশে ব্লাইটক্স এর প্রলেপ লাগাতে হবে।

তাছাড়া বর্ষার আগে গাছের গোড়ায় নিমখোল ও স্টেরামিল নির্দিষ্ট মাত্রায় প্রয়োগ করতে হবে।

পাউডারি রোগপাতার ওপর পাউডারের মতো সাদাটে গুঁড়ো জমে। পাতা ওপরের দিকে কুঁকড়ে যায়। কুঁড়ি ফুলে পরিণত হওয়া বন্ধ হয়ে যায়।

প্রতিকার : প্রতি লিটার জলে একগ্রাম ব্যাভিস্টিন আধ মিলি রোগোর মিশিয়ে পাতায় স্প্রে করতে হবে।

জাব পোকাসুবজ বা কালো রঙের ক্ষুদ্রাকার পোকা নরম ডাল, পাতা ও কুঁড়ির রস চুষে খায়। আক্রমণ মারাত্মক হলে গাছ মরে যায়।

প্রতিকারপ্রতি লিটার জলে ১ মিলি ডিমেক্রন গুলে গাছে স্প্রে করতে হবে। উইপোকা-পিঁপড়ে ইত্যাদি দমন হবে।

টবের প্রতি টবে ২ গ্রাম ফিউরাডন ও ২ গ্রাম বি.এইচ.সি (Benzene hexachloride) ১০ শতাংশ গুঁড়ো মিশিয়ে ছড়িয়ে দিলে পিঁপড়ে উইপোকার দমন হবে। এছাড়া গাছে পোকা-মাকড়ের আক্রমণ প্রতিরোধ করার জন্য প্রতিদিন বিকালে প্রতি লিটার জলে পাঁচ ফোটা কনফিডোর মিশিয়ে গাছে ভালভাবে স্প্রে করা উচিত।