COMPLETE CARE OF PLANTS

WELCOME TO OUR BLOG
  • GO THOUGH OR WHATSAPP CATALOG

    You can get here PLANT AND OTHER PRODUCT PRICE ...

  • GO THOUGH OR FACEBOOK GROUP

    You can get here latest update of product with price...

  • GO THOUGH OR YOUTUBE CHANEL

    You can get here plant caring videos...

February 27, 2023

জমিতে আম চাষের সম্পূর্ণ পরিচর্যা

 জমিতে আম চাষের সম্পূর্ণ পরিচর্যা



আম সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় এবং উপাদেয় ফল। তাই আমকে ফলের রাজা বলা হয়। আমে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ’এ’ থাকে। আম থেকে চাটনি, আচার, জেলী, মোরব্বা, আমসত্ব, জুস প্রভৃতি তৈরী করা যায়।

জলবায়ু ও মাটি : 

২০ থেকে ৩০ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা আম চাষের জন্য উপযুক্ত। আম গাছ যে কোন প্রকার মাটিতে জন্মায় তবে গভীর, সুনিষ্কাশিত উর্বর দোঁ-আশ মাটি আম চাষের জন্য উপযুক্ত ।

জাত :
আম পাকার সময় অনুসারে আমের জাত সমুহকে আগাম, মাঝ মৌসুমী এবং নাবি এ তিনটি ভাগে ভাগ করা যায়।

  • আগাম জাত : যে সব জাত মধ্য মে – মধ্য জুন মাসের মধ্যে পাকে সেগুলো আগাম জাতের অর্ন্তভূক্ত। যেমন- বারি আম-১ (মহানন্দা), গোপালভোগ, খিরসাপাতি, বৃন্দাবনী ইত্যাদি।
  • মাঝ মৌসুমী জাত : যে সব জাত মধ্য জুন – জুন মাসের মধ্যে পাকে সেগুলো মাঝ মৌসুমী জাতের অর্ন্তভূক্ত। যেমন- বারি আম-২ (লক্ষনভোগ), বারি আম-৩ (আম্রপালি), বাউ আম – ২ (সিন্দুরী), বাউ আম – ৩ (ডায়াবেটিক), ল্যাংড়া, সূর্যপুরী, হিমসাগর, কিষাণভোজ এবং কোহিতুর অন্যতম।
  • নাবী জাত : যে সকল জাত জুলাই মাস হতে পাকে সেগুলোকে নাবী জাত বলে। নাবী জাতের মধ্যে বারি আম-৪, বাউ আম -১ (নিলাম্বরী), বাউ আম – ৫ (পলিএ্যাম্বায়নী), ফজলী, আশ্বিনা, কুয়াপাহাড়ী এবং মোহনভোগ অন্যতম।

জমি নির্বাচন ও তৈরী :
আম বাগানের জন্য সেচ- নিষ্কাশন সুবিধা যুক্ত, রৌদ্রময় স্থানে উঁচু থেকে মাঝারী উঁচু জমি নির্বাচন করতে হবে। নির্বাচিত জমিটিকে ভালভাবে চাষ মই দিয়ে আগাছা মুক্ত ও সমতল করে তৈরী করতে হবে। আম গাছ প্রধানত বর্গাকার পদ্ধতিতে রোপণ করা হয়। তবে ষঢ়ভূজী বা হেক্সাগোণাল পদ্ধতিতে রোপণ করা গেলে সমপরিমান জমিতে ১৫% গাছ বেশী রোপণ করা যায়।

চারা রোপণের সময় :
জ্যৈষ্ঠ – আষাঢ় মাস এবং ভাদ্র – আশ্বিন মাস চারা রোপণের উপযুক্ত সময়

রোপণ দুবত্ব :
বড় আকৃতির জাতের জন্য ৮ -১০ মিটার এবং বামন আকৃতির জাতের জন্য ৫ মিটার দুরুত্ব দেয়া উত্তম।

জমি তৈরী ও সার প্রয়োগ :

জমি ১মি x ১মি x ১মি আকারে তৈরী করতে হবে। প্রতি জমিতে ১৮-২২ কেজি জৈব সার, ১০০-২০০ গ্রাম ইউরিয়া, ৪৫০-৫৫০ গ্রাম ডিএপি বা টিএসপি, ২০০-৩০০ গ্রাম এমওপি, ২০০-৩০০ গ্রাম জিপসাম এবং ৪০-৬০ গ্রাম জিংক সালফেট সার মিশিয়ে তৈরী করতে হবে।

চারা রোপণ :
জমি তৈরীর ১০-১৫ দিন পর জমির ঠিক মাঝখানে চারাটি রোপণ করতে হবে। চারা রোপণের পর জল, খুঁটি ও বেড়ার ব্যবস্থা করতে হবে।

উপরিসার প্রয়োগ :
গাছের বয়স অনুযায়ী নির্ধারিত মাত্রার সারকে সমান দুই বারে গাছে প্রয়োগ করা হয়। ১ম বার জৈষ্ঠ্য- আষাঢ় মাস এবং ২য় বার আশ্বিন মাসে প্রয়োগ করতে হবে। বয়স অনুযায়ী গাছের গোড়া থেকে ৩-৪ ফুট বাদ দিয়ে দুপুরের রোদের সময় যতটুকু জায়গায় গাছের ছায়া পড়ে ঠিক ততটুকু এলাকাতে সার ছিটিয়ে কুপিয়ে মাটির সাথে মিশিয়ে দিতে হবে। মাটি কোপানোর সময় হাতের কনুই গাছের দিকে দিয়ে কোপালে গাছের শিকড় কম কাটা যাবে। গাছের বয়স অনুযায়ী বাৎসরিক সারের মাত্রা নিচে দেওয়া হলো।


  • ০২-০৪ বছর বয়সী গাছের ক্ষেত্রে :  ১০-১৫ কেজি গোবর পঁচা সার, ইউরিয়া ২৫০ গ্রাম, টিএসপি ২৫০ গ্রাম, এমওপি ১০০ গ্রাম, জিপসাম ১০০ গ্রাম, জিংক সালফেট ১০ গ্রাম
  •  ০৫-০৭ বছর বয়সী গাছের ক্ষেত্রে : গোবর সার ১৬-২০ কেজি, ইউরিয়া ৫০০ গ্রাম, টিএসপি ২৫০ গ্রাম, এমওপি ২০০ গ্রাম, জিপসাম ২০০ গ্রাম, জিংক সালফেট ১০ গ্রাম
  • ০৮-১০ বছর বয়সী গাছের ক্ষেত্রে : গোবর সার ২১-২৫ কেজি, ইউরিয়া ৭৫০ গ্রাম, টিএসপি ৫০০ গ্রাম, এমওপি ২৫০ গ্রাম, জিপসাম ২৫০ গ্রাম, জিংক সালফেট ১৫ গ্রাম
  •  ১১-১৫ বছর বয়সী গাছের ক্ষেত্রে : গোবর সার ২৬-৩০ কেজি, ইউরিয়া ১ কেজি, টিএসপি ৫০০ গ্রাম, এমওপি ৩৫০ গ্রাম, জিপসাম ৩৫০ গ্রাম, জিংক সালফেট ১৫ গ্রাম
  •  ১৬-২০ বছর বয়সী গাছের ক্ষেত্রে : গোবর সার ৩১-৪০ কেজি, ইউরিয়া ১কেজি ৫০০ গ্রাম, টিএসপি ৭৫০ গ্রাম, এমওপি ৪৫০ গ্রাম, জিপসাম ৪০০ গ্রাম, জিংক সালফেট ২০ গ্রাম
  •  ২০ বছরের উর্ধ্বে গাছের ক্ষেত্রে : গোবর সার ৪১-৫০ কেজি, ইউরিয়া ২কেজি, টিএসপি ১ কেজি, এমওপি ৫০০ গ্রাম, জিপসাম ৫০০ গ্রাম, জিংক সালফেট ২৫ গ্রাম

সেচ প্রয়োগ :
চারা গাছের দ্রুত বৃদ্ধির জন্য ঘন ঘন সেচ দিতে হবে। ফলন্ত গাছের বেলায় মুকুল ফোটার শেষ পর্যায়ে ১ বার এবং আম যখন মটর দানার আকৃতি ধারন তখন একবার সেচ দিতে হবে। রিং / বেসিন পদ্ধতি আম গাছে সেচ প্রদানের জন্য উত্তম।

ডাল ছাঁটাইকরন :
গাছের প্রধান কান্ডটি যাতে সোজাসুজি ১ থেকে ১.৫ মিটার হয় সেদিকে লক্ষ রেখে গাছের গোড়ার সকল ডাল ছেঁটে দিতে হবে।

গাছের মুকুল ভাঙ্গন :

গাছ রোপনের পর গাছের বয়স চার বছর না হওয়া পর্যন্ত গাছের মুকুল ভেঙ্গে দিতে হবে। তা নাহলে গাছটি দুর্বল হয়ে যাবে।

ফল সংগ্রহ :
আমের বোটার দিকে হলুদাভ রং ধারন করলে বা গাছ হতে ২-১টি আধাপাকা আম পড়া আরম্ভ করলে আম গাছ হতে সংগ্রহ করতে হবে। আম গাছ হতে ঝাকি দিয়ে না পেড়ে জালিযুক্ত বাঁশের কোটার সাহায্যে আম সংগ্রহ করা ভালো। আম সংগ্রহের পর বোটাটি নিচের দিকে রাখলে বোটার কশ আমের গায়ে লাগবেনা। বোটার কশ গায়ে লাগলে আমের উপরিভাগ আঠালো হয়ে যায় এবং পাকা আমের উপর তেল ছিটছিটে এবং বাজার মূল্য হ্রাস পায় ।

রোগপোকার দমন :

  • আমের অ্যানথ্রাকনোজ রোগঃ
অ্যানথ্রাকনোজ রোগের আক্রমণে গাছের পাতা, কান্ড, মুকুল ও ফলে ধুসর বাদামী রংয়ের দাগ পড়ে। এ রোগে আক্রান্ত মুকুল ঝড়ে যায়, আমের গায়ে কালচে দাগ হয় এবং আম পঁচে যায়।

প্রতিকারঃ
গাছে মুকুল আসার পর কিন্তু ফুল ফোটার আগে প্রতি লিটার জলে ০.৫ মি.লি. টিল্ট -২৫০ ইসি অথবা ডাইথেন এম-৪৫ 
 প্রতিলিটার জলে ২ গ্রাম মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে। আমের আকার মটর দানার মত হলে ২য় বার স্প্রে করতে হবে।

  • সুটি মোল্ডঃ
স্যটি মোল্ড রোগের আক্রমণে গাছের পাতা ও আমের উপর কালো/ছাই রংয়ের আবরণ পড়ে। গাছের মুকুল ঝড়ে যায় এবং ফলন কমে যায়।

প্রতিকারঃ
থিওভিট-৮০ ডব্লিউ জি প্রতি লিটার জলে ২ গ্রাম হারে মিশিয়ে ১৫ দিন পর পর ২ – ৩ বার স্প্রে করলে এ রোগ দমন করা যায়।

  • আমের পাউডারী মিলডিউ রোগঃ
এ রোগের আক্রমণে আমের মুকুলে সাদা পাউডারের মত আবরণ দেখা দেয়। মুকুল ঝড়ে যায়। আক্রান্ত আমের চামড়া খস খসে হয় এবং ফল কুচকে যায়।

প্রতিকারঃ
থিওভিট-৮০ ডব্লিউ জি প্রতি লিটার জলে ২ গ্রাম হারে অথবা প্রতি লিটার জলে ০.৫ মি.লি. টিল্ট -২৫০ ইসি মিশিয়ে ফুল ফোটার আগে ১ বার এবং আম মটর দানার মত হলে ২য় বার স্প্রে করলে এ রোগ দমন করা যায়।

  • ম্যালফরমেশনঃ
এ রোগ গাছের মুকুল ও ডালে দেখা যায়। ডালে হলে একে বলে অংগজ ম্যালফরমেশন এবং ফুলে হলে বলা হয় ফ্লোরাল ম্যালফরমেশন । আক্রান্ত ডালের বৃদ্ধি কমে যায় এবং আক্রান্ত মুকুলে ফল ধারণ করে না।
প্রতিকারঃ
১) কান্ডের অঙ্গজ ম্যালফরমেশন পরিস্কার করে বোর্দপেষ্ট (Bordeaux Paste) লাগালে এ রোগ প্রতিকার করা যায়।
২) ফ্লোরাল ম্যালফরমেশনের ক্ষেত্রে মুকুলের ৭৫% শাখা প্রশাখা পাতলা করে দিলে আক্রান্ত মুকুলে ফল ধারণ করে । দমনের জন্য আক্রান্ত মুকুল কেটে পুড়িয়ে ধ্বংস করতে হবে। সেপ্টেম্বর ও নভেম্বর মাসে গাছে জিংক দ্রবন স্প্রে করলে ফ্লোরাল ম্যালফরমেশন প্রতিরোধ করা যায়।

  • লাল মরিচা রোগঃ
এতে পাতার উপর লাল লাল / ভ্যালভেট মোলায়েম দাগ দেখা যায়। ব্যাপক আক্রমণ হলে পুরো পত্র ফলকটি বিবর্ণ হয়ে যেতে পারে।

প্রতিকারঃ
১) বোর্দ মিক্সার (১ লিটার জলে ১০ গ্রাম চুন এবং অপর ১ লিটার জলে ১০ গ্রাম তুতে মিশিয়ে মিশ্রণটি একত্রিত করে বোর্দ মিক্সার তৈরী করতে হয়, এক্ষেত্রে মিশ্রণ গুলো মাটি অথবা প্লাস্টিক পাত্রে করতে হবে।) ১৫ দিন পর পর ২/৩ বার প্রয়োগ করলে এ রোগ প্রতিকার করা সম্ভব ।

পোকামাকড় দমন :

  • আমের হপার পোকাঃ
এ পোকা অপ্রাপ্ত বয়স্ক বাচ্চা বা নিম্ফ এবং পুর্ণ বয়স্ক অবস্থায় আম গাছের সকল অংশ থেকে রস শুষে খায়। বিশেষ করে নিম্ফ মুকুলের রস শুষে খায়। মুকুল কালো হয় এবং ঝরে যায়।

প্রতিকারঃ
রিপকর্ড / সিমবুস প্রতিলিটার জলে ১ মিঃ লিঃ হারে মিশিয়ে ফুল আসার ১০ দিনের মধ্যে ১ম বার (গাছে মুকুল আসার পর কিন্তু ফুল ফোটার আগে) এবং গাছে আম মটর দানার মত হলে ২য় বার স্প্রে করে এ পোকা দমন করা যায়।

  • আমের পাতা কাটা উইংভিলঃ
স্ত্রী পোকা আমের কটি পাতার নিচে মধ্য শিরা বরাবর ডিম পাড়ে। এবং পাতা গুলো বোটার কাছকাছি কেটে মাটিতে ফেলে দেয়। এতে গাছের বৃদ্ধি মারত্মক ভাবে ব্যহত হয়।

প্রতিকারঃ
১) গাছের নিচের কাট পাতাগুলো সংগ্রহ করে পুড়িয়ে / মাটিতে পুতে ধ্বংস করতে হবে।
২) প্রয়োজনে গাছে কচি পাতা দেখা দিলে সুমিথিয়ন ৫০ ইসি / ডায়াজিনন ৬০ ইসি প্রতি লিটার পানিতে ২ মিঃলিঃ হারে মিশিয়ে স্প্রে করলে এ পোকা দমন করা যায়।

  • আমের মাছি পোকাঃ
আম পাকার প্রায় ১ মাস আগে স্ত্রী পোকা অভিপজিটর দিয়ে ছিদ্র করে আমের ভিতরে ডিম পাড়ে। ডিম ফুটে কীড়া বা ম্যাগট বের হয় এবং আমের ভিতর বড় হতে থাকে। পাকা আম কাটলে ভিতবে পোকা দেখা যায়। আম খাওয়ার অনুপযুক্ত হয়ে পড়ে।

প্রতিকারঃ
১) পোকা আক্রান্ত ফল সংগ্রহ ও নষ্ট করে দমন করা যায়।
২) বিষটোপ ফাঁদ দিয়ে দমন করা যায়। বিষটোপ প্রতি ১০০ গ্রাম পাকা আমের সাথে ১ গ্রাম ডিপ্টারেক্স-৮০ এসপি মিশিয়ে তৈরী করতে হয়।
৩) সেক্স ফেরোমন ইউজিনল ট্রাপ প্রয়োগ করে পুরুষ পোকা দমনের মাধ্যমেও এ পোকার আক্রমন প্রতিহত করা যায়। বাগানে ২০-২৫ মিটার পর পর এ ফাঁদ প্রয়োগ করতে হবে।

  • ভোমরা পোকাঃ
আমের ভোমরা পোকার কীড়া আমের গায়ে ছিদ্র করে ভিতরে ঢুকে শাঁস খায়। সাধারণত কচি আমে ছিদ্র করে এরা ভিতরে ঢুকে এবং ফল বড় হওয়ার সাথে সাথে ছিদ্রটি বন্ধ করে দেয়। এজন্য বাহির থেকে আমটি ভাল মনে হলেও ভিতরে কীড়া থেকে যায় এবং দিনে দিনে তা বড় হয়। পাকা আমে গায়ে ছিদ্র করে ভিতর থেকো কালো রংয়ের উইভিল পোকাটি বের হয়ে আসে। ফলের ভিতর আক্রান্ত অংশটি কালো হয়ে যায়, পোকার বিষ্টা দেখা যায় এবং আম খাওয়ার অনুপযুক্ত হয়ে পড়ে।

প্রতিকারঃ
১) আম গাছের মরা ও অতিরিক্ত পাতা শাখা প্রশাখা কেটে পরিস্কার করতে হবে।
২) গাছে ফল ধারণের ১ থেকে ২ সপ্তাহের পর হতে ডায়েজিনন – ৬০ ইসি, সুমিথিয়ন – ৫০ ইসি, লিবাসিড – ৫০ ইসি এর যে কোন একটি প্রতি লিটার জলে ২ মি. লি. হারে মিশিয়ে ১৫ দিন অন্তর অন্তর ২বার স্প্রে করতে হবে।

  • আমের পাতা খেকো বিছা পোকা / ম্যাংগো ডি-ফলিয়েটরঃ
এ পোকা পাতার মধ্য শিরাটি অবশিষ্ট রেখে সম্পুর্ণ অংশ খেয়ে ফেলে। আক্রমণ ব্যাপক হলে গাছের কোন পাতা অবশিষ্ট থাকে না। খাদ্যের প্রয়োজনে পোকা এক গাছ হতে অন্য গাছে গমণ করে।

প্রতিকারঃ
১) কীড়া গুলো প্রাথমিক অবস্থায় দলবদ্ধ ভাবে পাতার নিচে অবস্থান করে । এ অবস্থায় এদের সংগ্রহ করে মেরে ফেলতে হবে।
২) কীড়ার গায়ে সুং গুলো পূর্ণতা প্রাপ্তির পূর্বে ডায়েজিনন – ৬০ ইসি, সুনিথিয়ন -৫০ ইসি, লিবাসিড – ৫০ ইসি এর যে কোন একটি প্রতি লিটার জলে ২ মি. লি. হারে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে।
৩) ব্যাপক আক্রমণ হলে আগুনে পুড়িয়েও এ পোকা মারা যেতে পারে

অন্যান্য সমস্যা ও প্রতিকার :
আম গাছে এক বছর অনেক ফুল আসে, কিন্তু পরের বছর তেমন আসেনা। এ ধরনের সমস্যা অলটারনেট বেয়ারিং নামে সুপরিচিত। কোন কোন গাছে এক বছর ঠিকমত ফুল ধরে অথচ পরবর্তীতে ২/৩ বছর ঠিকমত ফল ধরেনা। এ ধরনের সমস্যাকে ইরেগুলার বেয়ারিং বলে। এ ধরনের সমস্যার মূল কারন সমন্ধে একেবারে নিশ্চিত হওয়া নাগেলেও বিভিন্ন অবস্থার সঙ্গে সম্পর্ক আছে তাতে সন্দেহ নেই। এগুলো নিন্মরূপঃ

  • ক) জাতের বৈশিষ্ট্যঃ কতগুলো আমের জাত আছে যে গুলোতে মোটামুটি কমবেশী প্রতিবছরই ফল দেয়। এগুলোর মধ্যে হিমসাগর, রানী পসন্দ, খুদীখিরসা অন্যতম। অথচ ল্যাংড়া, বোম্বাই ও খিরসাপাতিতে এ সমস্যা বেশী দেখা যায়।
  • খ) গাছের ও ডালের বয়সঃ ল্যাংড়া জাতের আম গাছ লাগানোর প্রথম ২০ বছর পর্যন্ত প্রা্য় প্রতি বছরই কমবেশী ফল ধরে অথচ বয়স বেড়ে গেলে এ গুন আর থাকেনা। শীতকাল ছাড়া প্রায় সারা বছরই আম গাছে নতুন ডাল গজায়। তবে বসন্তকালে এধরনের নতুন ডাল গজানোর প্রবণতা বেশী। আর এসময় গজানো ডালে সাধারনতঃ ফুল আসে। কেননা নতুন ডালের বয়স ১০ মাস হলে ফুল ধরার উপযোগী হয়।
  • গ) পাতাওয়ালা মুকুলঃ ফজলী জাতের আমে ও আরো কিছু কিছু জাতে নতুন পাতাসহ মুকুল বের হতে দেখা যায়। অথচ অন্য ক্ষেত্রে মুকুলে এ ধরনের কোন পাতা থাকেনা। যে সব গাছে পাতাসহ মুকুল বের হয় সে গাছে প্রতি বছরই মোটামুটি ফল আসে।
  • ঘ) ডালের শর্করা ও নাইট্রোজেনের অনুপাতঃ কোন ডালে মুকুল আসতে হলে শর্করা ও নাইট্রোজেনের পরিমাণ যথেষ্ট থাকতে হবে, তবে শর্করার হার তুলনায় বেশী থাকা উচিত। অথচ এ হার যদি সমান হয় অথবা নাইট্রোজেনেরহার বেশী হয় তবে ডালে মুকুল না এসে পাতা গজাবার সম্ভবনা বেশী থাকে। পাতাওয়ালা মুকুলে পাতাগুলো শর্করা সংগ্রহে সমর্থ হয় বলে পরের বছরেও গাছে মুকুল আসে।
  • ঙ) হরমনের প্রভাবঃ বিজ্ঞানীরা মনে করেন কতগুলো হরমনের প্রভাবে গাছে মুকুল ধরতে সহায়ক হয়। কাজেই এ ধরনের হরমন স্প্রে করার ১০-১৫ দিন পরে গাছে ফুল আসে।
  • চ) আবহাওয়ার প্রভাব ও রোগ- পোকার উপদ্রবঃ গাছে ফুল আসার সময় আবহাওয়া মেঘলা ও কুয়াশাচ্ছন্ন থাকলে পরাগায়নে ব্যাঘাত ঘটে। তার ফলে ফুল ঝরে যায়। তাছাড়া রোগ ও পোকার উপদ্রবে মুকুল আক্রান্ত হয়ে নষ্ট হয়ে যায়।
প্রতিকারঃ ফল না ধরার সমস্যার একক সমাধান না থাকলেও কতগুলো যৌথ ব্যবস্থার মাধ্যমে আম গাছে প্রতি বছর আম ফলানো সম্ভব।
  • ১) যে সব জাতের আম প্রতি বছর ধরে সে জাতের কিছু কিছু আম গাছ বাগানে অবশ্যই লাগানো উচিত।
  • ২) বর্ষার আগে, বর্ষার পরে এবং শীতকালে তিনবার বাগানে চাষ দেওয়া প্রয়োজন।
  • ৩) প্রতি বছরই বর্ষার আগে ও পরে সার প্রয়োগ করা প্রয়োজন। যে বছর গাছে বেশী ফল দেবে সে বছর ফল সংগ্রহ করার পর পরই গাছ প্রতি অতিরিক্ত দেড় কেজি ইউরিয়া সার প্রয়োগ করা প্রয়োজন, তাতে নতুন পাতা গজাতে সাহায্য করে।
  • ৪) শীতকাল ছাড়া অন্য সময়ে রসের অভাবে গাছ যেন কষ্ট না পায় এজন্য নিয়মিত সেচ দিতে হবে।
  • ৫) রোগ ও পোকামাকড় সময়মত দমন করতে হবে।
  • ৬) গাছের পরগাছা এবং রোগাক্রান্ত হয়ে মরে যাওয়া ডাল অবশ্যই সময় মত ছেটে ফেলতে হবে।
  • ৭) বাগানে মৌমাছি পালন ব্যবস্থা নিলে পরাগায়নে সহায়তা হয়।
  • ৮) গাছ যদি খুব বেশী বাড়ে তবে আগষ্ট- সেপ্টেম্বর মাসে ২ সে: মি: গোল করে কিছু ডালের বাকল উঠিয়ে ফেলতে হবে। এছাড়া গাছের বয়স অনুপাতে গোড়া কোপিয়ে ৩-৫ কেজি লবণ প্রয়োগ করে জল দিলে সুফল পাওয়া যেতে পারে।
  • ৯) মশুর দানার মত গাছে ফল ঝরতে দেখা গেলে প্ল্যানফিক্স নামক হরমোন ১০ লিটার পানিতে ২-৩ মি: লি: মিশিয়ে ২-৩ সপ্তাহ পর পর স্প্রে করলে ফল ঝরা বন্ধ হয়।

আম গাছে প্রচুর মুকুল আসলেও ফল না ধরার কারণ ও তার সমাধান
আম গাছে প্রচুর মুকুল দেখা দিলেও আম ধরে না বা খুব কম ধরে, যা একটি গুরুতর সমস্যা। এর অনেক কারণ থাকতে পারে। 

  • প্রথমত: শোষক বা হপার পোকার উপদ্রবের জন্য এটি হতে পারে। ফুল আসার পর পূর্ণাঙ্গ শোষক পোকা ও তার নিম্ফগুলো ফুলের রস টেনে নেয়। ফলে সমস- ফুলগুলো একসময় শুকিয়ে ঝরে যায়। একটি হপার পোকা দৈনিক তার দেহের ওজনের ২০ গুণ পরিমাণ রস শোষণ করে খায় এবং প্রয়োজনের অতিরিক্ত আঠালো রস মলদ্বার দিয়ে বের করে দেয়, যা মধুরস নামে পরিচিত। এ মধুরস মুকুলের ফুল ও গাছের পাতায় জমা হতে থাকে যার ওপর এক প্রকার ছত্রাক জন্মায়। 
প্রতিকার হিসাবে আম বাগান সব সময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে বিশেষ করে গাছের ডালপালা যদি খুব ঘন থাকে তবে প্রয়োজনীয় পরিমাণ ছাঁটাই করতে হবে, যাতে গাছের মধ্যে প্রচুর আলো বাতাস প্রবেশ করতে পারে। আমের মুকুল যখন ৮/১০ সেন্টিমিটার লম্বা হয় তখন একবার এবং আম মটর দানার মতো হলে আর একবার প্রতি লিটার জলে ১ মিলি হারে সাইপারমেথ্রিন অথবা কার্বারিল ২ গ্রাম/লিটার মিশিয়ে সম্পূর্ণ গাছ ভিজিয়ে স্প্রে করতে হবে। আমের হপার পোকার কারণে সুটিমোল্ড রোগের আক্রমণ অনেক সময় ঘটে, তাই সুটিমোল্ড দমনের জন্য প্রতি লিটার জলে ২ গ্রাম হারে সালফার জাতীয় ওষুধ ব্যবহার্য কীটনাশকের সাথে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে। 

  • দ্বিতীয়ত: মেঘলা আকাশ ও কুয়াশা থাকার কারণে মুকুলে পাউডারি মিলডিউ রোগ দেখা দেয়। ফলে অতি দ্রুত মুকুলের গায়ে সাদা সাদা পাউডারের মতো দেখা দেয় এবং একপর্যায়ে প্রায় সব মুকুল কালো হয়ে ঝরে যায়। 
সালফারঘটিত ছত্রাকনাশক প্রতি লিটার জলে ২ গ্রাম ভালভাবে মিশিয়ে স্প্রে করে তা দমন করা যায়। তাছাড়া এ্যানথ্রাকনোজও এ সময় দেখা দেয়। ফলে সমস্যা মুকুল কালো হয়ে ঝরে পড়ে। এক্ষেত্রে ম্যানকোজেব প্রতি লিটার জলে ২ গ্রাম মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে। 

  • তৃতীয়ত: গবেষণায় দেখা গেছে, আবহাওয়া, পোকা-মাকড় ও রোগ কোন কারণে এটি ঘটে না। আমের পুষ্পমঞ্জরিতে এক লিঙ্গ ও উভলিঙ্গ ফুল এক সঙ্গে থাকে। ভালো ফলনের জন্য বেশি বেশি উভলিঙ্গ ফুলের দরকার। যে সব গাছে ১০ শতাংশের কম উভলিঙ্গ ফুল থাকে তারা স্বভাবত:ই স্বল্প ফলনশীল জাত। কাজেই ভালো ফলন পেতে হলে এসব জাতের আম চাষ না করাই ভাল। 
  • চতুর্থত: গাছে ফুল ফোটার সময় কুয়াশা, মেঘলা আবহাওয়া বা বৃষ্টি থাকলে ফুলের পরাগ-সংযোগ ব্যাহত হয়। যার ফলে প্রচুর ফুল ফুটলেও সময় মতো পরাগ সংযোগ না হওয়ায় সেগুলো ঝরে যায় বা ফলন হয় না। তাছাড়া অনেক সময় গাছে অস্বাভাবিক পুষ্পমঞ্জরি দেখা যায়। এমন মুকুলে স্ত্রী ফুলের সংখ্যা খুব কম। ফলে কদাচিৎ ফল উৎপন্ন হয় এবং শেষ পর্যন্ত সেটি টিকে থাকে না। মুকুল ক্রমেই শুকিয়ে দীর্ঘ সময় ধরে গাছে থেকে যায়। 
এমন অবস্থায় আক্রান্ত মুকুল গাছ থেকে কেটে নিয়ে পুড়িয়ে ফেলা উচিত। আবার জমিতে ফসফেট, দস্তা ইত্যাদি খাদ্যের অভাব, ফল ধরার পর জমিতে রসের অভাব, ইত্যাদি কারণেও অসময়ে ফুল ও ফল ঝরে যায়। 

  • এ কারণেগুলো নিয়ন্ত্রণ করেও যদি ফল ঝরতে দেখা যায়, তাহলে “প্লানোফিক্স’ ২ মিলি ৪.৫ লিটার জলে মিশিয়ে আম ফলের গুটি মটর দানার মতো হলে একবার আর মার্বেল আকৃতির হলে আর একবার স্প্রে করলে ফল ঝরা বন্ধ হবে।

**** এই গাছ ,সার এবং কীটনাশক কিনতে চাইলে যোগাযোগ করুন SIMPLE PLANT SOLUTION ৮২৯৬৫৯০৬৬৩ নম্বরে *****


February 16, 2023

SUMMER & Rainy season PLANTS

 SUMMER & Rainy season PLANTS :

(১) গন্ধরাজ



(২) বেলী



(৩) জুঁই



(৪) চাঁপা



(৫) মুসেন্ডা



(৬) স্থল পদ্ম

Uploading: 978525 of 978525 bytes uploaded.


(৭) কাঞ্চন



(৮) আমেরিকান জবা



(৯) পুনে, ব্যাঙ্গালোর জবা



(১০) দেশি জবা



(১১) ম্যান্ডেভিলা (লতানো)



(১২) অলকানন্দা বা  অ্যালামন্ডা ( লতানো এবং বিনা লতানো )



(১৩) মিলি বা কাঁটা মুকুট



(১৪) শ্বেত চাঁপা



(১৫) জয়তি বা জ্যাত্রফা



(১৬) দেশি নয়নতারা



(১৭) বিদেশি নয়নতারা বা ভিনকা



(১৮) বাগানবিলাস ( দেশি এবং থাই variety )



(১৯) রক্ত করবি



(২০) কুন্দ ( গরমের এবং শীত এর)



(২১) কামিনী হাইব্রিড



(২২) টগর



(২৩) হাস্নুহানা



(২৪) পর্তুলিকা বা টাইম ফুল



(২৫) রঙ্গন



(২৬) লাল টগর



(২৭) ব্লিডিং হার্ট



(২৮) টেকোমা



(২৯) আকন্দ



(৩০) মর্নিং গ্লোরি



(৩১) ভুটান মল্লিকা

Uploading: 4138697 of 4138697 bytes uploaded.


(৩২) ফার্স্ট লাভ হলুদ এবং লাল




(৩৩) মাধবীলতা



(৩৪) অ্যাডেনিয়াম



(৩৫) জল পদ্ম



(৩৬) রসুন লতা বা GARLIC VINE




**** এই গাছগুলি ,সার এবং কীটনাশক কিনতে চাইলে যোগাযোগ করুন SIMPLE PLANT SOLUTION ৮২৯৬৫৯০৬৬৩ নম্বরে *****



February 11, 2023

Adenium অ্যাডেনিয়াম এর সম্পূর্ণ পরিচর্যা

Adenium ( DESERT ROSE ) অ্যাডেনিয়াম         ( মরু গোলাপ ) এর সম্পূর্ণ পরিচর্যা 



অ্যাডেনিয়াম এর মাটি প্রস্তুতি :

  • ( ১ নম্বর পদ্ধতি ) ১ ভাগ সাধারণ বাগানের মাটি + ১ ভাগ নদীর সাদা বালি + ১ ভাগ হলুদ বালি ( চেলে নিতে হবে ) + ১/২ ভাগ ভার্মি কম্পোস্ট + ১ ভাগ কাঠ কয়লা ( গোটা গোটা কিনে সেটাকে ভেঙে নিতে হবে --- এই উপাদানগুলো ভালো করে মিশিয়ে চালুনি দিয়ে চেলে নিয়ে ( কাঠকয়লা মেশানোর আগে চেলে তারপর কাঠকয়লা মিশিয়ে নিতে হবে ) এই সম্পূর্ণ মিশ্রণ এর সাথে প্রতি ১০ ইঞ্চি টবের জন্যে এক মুঠো হাড় গুঁড়ো + ১ মুঠো নিম খোল + ১ টেবিল চামচ ফাঙ্গীসাইড মিশিয়ে নিতে হবে ।
ভার্মি কিনতে এই লিংকে ক্লিক করুন : ভার্মি কিনুন
কাঠ কয়লা কিনতে এই লিংকে ক্লিক করুন : https://wa.me/c/918296590663
হাড় গুঁড়ো কিনতে এই লিংকে ক্লিক করুন : হাড় গুঁড়ো Steamed Bone Meal
নিম খোল কিনতে এই লিংকে ক্লিক করুন : নিম খোল
ফাঙ্গীসাইড কিনতে এই লিংকে ক্লিক করুন : SAAF / M45 / BAVISTIN
  • ( ২ নম্বর পদ্ধতি ) সাদা বালি ৪০ শতাংশ + কোকোপিট ২০ শতাংশ + নুরি পাথর ২০ শতাংশ + হাড় গুঁড়ো ৫ শতাংশ + ভার্মি কম্পোস্ট ১৫ শতাংশ + ১ টেবিল চামচ ফাঙ্গীসাইড
কোকোপিট কিনতে এই লিংকে ক্লিক করুন : কোকোপিট কিনুন
হাড় গুঁড়ো কিনতে এই লিংকে ক্লিক করুন : হাড় গুঁড়ো Steamed Bone Meal
ভার্মি কিনতে এই লিংকে ক্লিক করুন : ভার্মি কিনুন
ফাঙ্গীসাইড কিনতে এই লিংকে ক্লিক করুন : SAAF / M45 / BAVISTIN

টব নির্বাচন : ছোটো চারাগাছের ক্ষেত্রে প্রথম ১ বছর ৪ ইঞ্চি টবের তলায় বড়ো ছিদ্র করে প্রতিস্থাপন করতে হবে এবং মাসে এক থেকে দুবার জল দিতে হবে । 
বড়ো গাছের ক্ষেত্রে ছড়ানো বনসাই টব ব্যবহার করতে হবে।

গাছ প্রতিস্থাপন পদ্ধতি : টবের ছিদ্রে একটি খোলাম কুচি দিয়ে তার ওপরে মাটি দিতে হবে। এক্ষেত্রে অন্যান্য টবের মত খোলাম কুচির ওপরে বালি অথবা নুরি পাথর দেওয়ার প্রয়োজন নেই। গাছ প্রতিস্থাপন এর আগে গাছের গোড়ায় ফাঙ্গীসাইড লাগিয়ে দিতে হবে। 
প্রথম বছর কোনো শিকড় কাটাই এর প্রয়োজন নেই। গাছের কডেক্স টা একটু মাটির ওপরে বের করে প্রতিস্থাপন করতে হবে। 
ফাঙ্গীসাইড কিনতে এই লিংকে ক্লিক করুন : SAAF / M45 / BAVISTIN


অ্যাডেনিয়াম এর কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরিচর্যা : 
  • (১) কডেক্স এর চারিদিকের মাটি জল কমের জন্যে কিছু ক্ষেত্রে ফাঁকা হয়ে যায়, এইরকম পরিস্থিতিতে ওই ফাঁকা জায়গায় ফাঙ্গীসাইড দিয়ে হালকা জল স্প্রে করে ফাঙ্গীসাইডটা লেপ্টে দিতে হবে ।
  • (২) অনেক কারণবশতঃ কডেক্স নরম হতে পারে। সেই সময় ফাঙ্গীসাইড নিয়ে তাতে হালকা জল মিশিয়ে পেস্ট এর মত করে ওই নরম অংশ প্রলেপ দিয়ে দিতে হবে। ( সব ক্ষেত্রে গাছ মাটি থেকে তুলে ফেলার দরকার নেই )
  • (৩) নিয়মিত মাটিতে জল দিলেও ছোটো চারার কডেক্স অনেক সময় নরম হয়ে যায়, এক্ষেত্রে প্রতিদিন জল স্প্রে করে দিলে এই সমস্যা দেখা দেবে না।
  • (৪) কডেক্স পচে গেলে সেই পঁচা জায়গা কেটে সেখানে ফাঙ্গীসাইড এর প্রলেপ দিয়ে আবার পটিং করে দিতে হবে।
  • (৫) এই গাছ সরাসরি সূর্যের আলোতে রাখতে হবে।
  • (৬) বৃষ্টির জল স্প্রে করা যাবে, কিন্তু লক্ষ রাখতে হবে মাটিতে যেনো কোনোভাবে জল না জমে।
  • (৭) প্রতি সপ্তাহে ফাঙ্গীসাইড ১ লিটার জলে ১ গ্রাম মিশিয়ে গাছে স্প্রে করতে হবে। ফুল বা কুঁড়ি থাকাকালীন গাছের গায়ে স্প্রে না করে মাটি তে পি জল দিতে হবে।
অ্যাডেনিয়াম এর খাবারের ব্যবস্থাপনা : 
  • একদম ছোটো চারা থাকাকালীন ( যখন ৪-৫ টি পাতা থাকে শুধুমাত্র) তখন মাস এ একবার ১-২ চা চামচ কম্পোস্ট ছড়িয়ে দিতে হবে।
কম্পোস্ট  কিনতে এই লিংকে ক্লিক করুন : ভার্মি কিনুন
  • গাছের বয়স ৬-৭ মাস : ১ চা চামচ সরষে খোল গুঁড়ো + ১ চা চামচ হাড় গুঁড়ো + ১ চা চামচ কম্পোস্ট মিশিয়ে এই মিশ্রণ থেকে ১ চা চামচ টবের মাটিতে ছড়িয়ে দিতে হবে প্রতি মাসে একবার।
 সরষে খোল গুঁড়ো কিনতে এই লিংকে ক্লিক করুন : সরষে খোল গুঁড়ো
হাড় গুঁড়ো কিনতে এই লিংকে ক্লিক করুন : হাড় গুঁড়ো Steamed Bone Meal
কম্পোস্ট  কিনতে এই লিংকে ক্লিক করুন : ভার্মি কিনুন
  • গাছের বয়স ৯-১০ মাস : প্রতি ৩ মাস অন্তর অল্প করে সর্ষে খোল গুড়ো + হাড় গুঁড়ো + সাদা পটাশ ( SOP ) + মাইক্রোনিউট্রিএন্টস এর দানা + ফাঙ্গীসাইড মিশিয়ে গাছ এর টবের মাটিতে ছড়িয়ে দিতে হবে, এবং এই সার দেওয়ার পরের মাসে ২ চা চামচ কম্পোস্ট ছড়িয়ে দিতে হবে।
SOP কিনতে এই লিংকে ক্লিক করুন :  SOP
মাইক্রোনিউট্রিএন্টস এর দানা কিনতে এই লিংকে ক্লিক করুন : মাইক্রোনিউট্রিএন্টস এর দানা
সরষে খোল গুঁড়ো কিনতে এই লিংকে ক্লিক করুন : সরষে খোল গুঁড়ো
হাড় গুঁড়ো কিনতে এই লিংকে ক্লিক করুন : হাড় গুঁড়ো Steamed Bone Meal
কম্পোস্ট  কিনতে এই লিংকে ক্লিক করুন : ভার্মি কিনুন
  • গাছে কুড়ি এসে গেলে অল্প হাড় গুঁড়ো + সাদা পটাশ ( SOP ) দিতে হবে ( এই সময় নাইট্রোজেন সার দেওয়া যাবে না ) ।
** গাছে কুড়ি এসে গেলে গাছের গায়ে জল স্প্রে করা যাবে না, কুড়িতে জল লাগল কালো হয়ে ঝরে পড়বে।
ড্রেনেজ ব্যবস্থা ঠিক থাকলে সারা বছর গাছকে সরাসরি সূর্যের আলোতে রাখুন। বর্ষাকালে এই গাছের কডেক্স সবথেকে ভালো হয় এবং মোটা হয়।
শীতকালে এই গাছের সমস্ত পাতা ঝরে যায়, এবং গ্রীষ্মের শুরুতে আবার নতুন পাতা গজায়। এতে ভয়ের কিছু নেই। শীতকালে গাছকে কোনো শেড এর নিচে রাখতে পারেন।
গাছের শাখা প্রশাখা বাড়াতে গাছের কাটাই ছাঁটাই করতে হবে। বর্ষাকাল এবং শীতকাল ছাড়া যেকোনো সময় এই কাটাই ছাঁটাই করা যেতে পারে। কাটাই ছাঁটাই এর পর কাটা অংশে ফাঙ্গীসাইড এর প্রলেপ দিয়ে দিতে হবে। 
ফাঙ্গীসাইড কিনতে এই লিংকে ক্লিক করুন : SAAF / M45 / BAVISTIN

**** এই গাছ ,সার এবং কীটনাশক কিনতে চাইলে যোগাযোগ করুন SIMPLE PLANT SOLUTION ৮২৯৬৫৯০৬৬৩ নম্বরে *****





February 3, 2023

মহুয়া খোল এর উপকারিতা

মহুয়া খোল এর উপকারিতা


মহুয়া খোল হল মহুয়া বীজ থেকে তেল নিষ্কাশনের পরে অবশিষ্ট কাঁচামাল। এটি প্রোটিনের একটি ভাল উৎস এবং এটি একটি সার হিসাবে ব্যবহৃত হয়। মহুয়া কেক একা বা অন্য কেকের সাথে মিশ্রণে ব্যবহার করা যেতে পারে। এছাড়া মহুয়া খোলের অনেক কীটনাশক বৈশিষ্ট্য রয়েছে।

মহুয়া খোলের মধ্যে নাইট্রোজেন থাকে প্রায় ২ থেকে ৪ শতাংশ , ফসফরাস থাকে প্রায় ১ থেকে ৩ শতাংশ , পটাসিয়াম থাকে প্রায় ২ থেকে ৪ শতাংশ এবং প্রোটিন থাকে ১৫ থেকে ২০ শতাংশ। তাই এটিকে গাছের সুষম খাদ্য হিসেবে গণ্য করা হয়।

মহুয়া খোল এর উপকারিতা :

  • এটি একটি সম্পূর্ণ প্ল্যান্ট মেডিসিন।
  • এই ডুয়েল অ্যাকশন সয়েল সাপ্লিমেন্ট একটি প্রাকৃতিক জৈব-কীটনাশক এবং জৈব-সার হিসাবে কাজ করে এবং এটি কৃত্রিম রাসায়নিক মুক্ত।
  • এটি একটি সম্পূর্ণ জৈব সার যা মাটির উর্বরতা বাড়ায়।
  • এই কেক পাউডারে থাকা স্যাপোনিনগুলি প্রাকৃতিকভাবে ক্ষতিকারক ছত্রাক, ব্যাকটেরিয়া এবং পোকামাকড় মোকাবেলায় সহায়তা করে।
  • জৈব কার্বন বাড়ায় ।
  • গঠন, জল ধারণ ক্ষমতা এবং অক্সিজেন স্তর উন্নত করে মাটির গুণমানকে পুনরুজ্জীবিত করে।
  • এটি স্বাস্থ্যকর উদ্ভিদ বিকাশকে উৎসাহিত করে, উদ্ভিদের বৃদ্ধি বাড়ায় এবং উদ্ভিদের উৎপাদনশীলতা উন্নত করে।
  • ফসল ও মাটির রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
  • এতে ফসলের বৃদ্ধির জন্য ম্যাক্রোনিউট্রিয়েন্ট এবং মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট রয়েছে।
  • লিচিং এবং মাইক্রোবিয়াল অ্যাকশনের কারণে নাইট্রোজেনের ক্ষতি রোধ করতে সক্ষম, ভালো ফলাফলের জন্য এটি যেকোনো নাইট্রোজেনাস সারের সাথে একত্রিত করা যেতে পারে।
  • এটি মাটির ভৌত, রাসায়নিক ও জৈবিক বৈশিষ্ট্য বৃদ্ধি করে
  • প্রাকৃতিক জৈব মহুয়া খোল হোম এবং টেরেস গার্ডেনিং, ইনডোর, আউটডোর প্ল্যান্টের জন্য।

এটি ব্যবহারের পদ্ধতি :

  • পাত্রের মিশ্রণ প্রস্তুত করার সময়, প্রতি গাছে ১ মুঠো করে প্রয়োগ করুন।
  • প্রতিষ্ঠিত গাছের জন্য, প্রতি ১ লিটার জলে ১ মুঠো করে প্রয়োগ করুন, এটি ৩ দিনের জন্য সংরক্ষণ করুন এবং ৩ দিন পর ছেঁকে নিয়ে এর সাথে আরো ৫ লিটার জল মিশিয়ে প্রতি ৩ সপ্তাহে একবার প্রতিটি গাছকে ২৫০ মিলি দিন।

১০০% মহুয়া তেল বীজ কেক পাউডার দিয়ে আপনার উদ্ভিদকে পুষ্টি ও সুরক্ষা দিন, এটি অন্যান্য সারের থেকে ভিন্ন, এটি ১০০% প্রাকৃতিক এবং গাছের প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদানের সাথে মাটিকে ঢেকে দেয়।
এই সূক্ষ্ম মহুয়া কেক পাউডারটি সহজেই মাটির সাথে মিশে যায় এবং মাটিতে পুষ্টির প্রাপ্যতা নিয়ন্ত্রণ করে এটিকে জৈবভাবে সমৃদ্ধ করে, এটি অন্যান্য জৈব-সারের কার্যকারিতা বাড়ায়, পাশাপাশি, উদ্ভিদকে গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টিতে সামঞ্জস্যপূর্ণ অ্যাক্সেসের অনুমতি দেয়।

সুবিধা :

  • কীটপতঙ্গ নিয়ন্ত্রণ করে
  • উদ্ভিদের বৃদ্ধি বাড়ায়
  • মাটির গুণমান উন্নত করে
  • রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
  • উদ্ভিদ উৎপাদনের উন্নত গুণমান ও স্বাদ

কোন কোন গাছের জন্যে উপযুক্ত :

সব ধরনের গাছপালা, ফুল, শাকসবজি, ভেষজ, ফল, গাছ, বনসাই, ইনডোর প্ল্যান্টস, আউটডোর প্ল্যান্টস, লন, হোম গার্ডেনিং এবং কিচেন গার্ডেনিং।


**** এই সার কিনতে চাইলে যোগাযোগ করুন SIMPLE PLANT SOLUTION ৮২৯৬৫৯০৬৬৩ নম্বরে *****

**** Contact SIMPLE PLANT SOLUTION at 8296590663 if you want to buy this fertilizer *****