নাসার বিজ্ঞানীদের মতে প্রথম ১০ টি বায়ু পরিশোধনকারী গাছ এর মধ্যে এই রাবার গাছটি তালিকাভুক্ত।
এই গাছ এর উপযুক্ত মাটি :
খুব ভালো জল নিকাশি ব্যবস্থাসম্পন্য মাটি প্রয়োজন অর্থাৎ যে মাটিতে বালির পরিমাণ বেশি।
২ ভাগ নদীর সাদা বালি ( লাল বালি নয় ) + ২ ভাগ ভার্মি কম্পোস্ট অথবা এক বছরের পুরনো গোবর সার বা পাতা পঁচা সার + ১ ভাগ সাধারণ বাগান এর মাটি ( মাটি না দিলেও চলবে ) + ১/২ ভাগ কোকোপিট অথবা কাঠ এর গুঁড়ো বা ধান এর কুরা ( RICE HUSK ) মিশিয়ে এই গাছের মাটি তৈরি করতে হবে।
গাছ কোথায় রাখা উচিৎ ?
সরাসরি সূর্যের আলোতে এই গাছ রাখলে গাছ ঝিমিয়ে পড়বে, গাছ এর পাতার রং ফ্যাকাশে হয়ে যাবে, গাছের পাতা পুড়ে যাবে। এই গাছ রাখার আদর্শ স্থান যেখানে উজ্জ্বল আলো আসে, কিন্তু রোডের তীব্রতা নেই এমন জায়গা। তাছাড়া যারা ঘরের মধ্যে গাছ করতে চান,অথচ আলো আসে না, তারাও এই গাছ করতে পারবেন সহজেই। তবে সপ্তাহে একবার এই গাছ বাইরে বের করতে হবে এবং জল দিয়ে সারাদিন বাইরে রাখতে হবে, কিন্তু সূর্যের সরাসরি আলোতে না, উজ্জ্বল আলো আসে এমন জায়গায়।
** প্রতিস্থাপন এর সময় মাটি চেপে চেপে দিতে হবে।
গাছ এ কি পরিমান জল দেওয়া উচিৎ ?
এই গাছ যেহেতু আগেই বলা হয়েছে যে খুব ভালো জল নিকাশি ব্যবস্থাসম্পন্য মাটি পছন্দ করে, তাহলে বোঝাই যাচ্ছে এই মাটি খুব বেশি জল বা গাছ এর মাটি কাদা কাদা ভেজা ভেজা পছন্দ করে না। বুঝে বুঝে জল দিতে হবে।
গরম কালে জল এর পরিমাণ বর্ষাকাল বা শীতকাল এর তুলনায় বেশি।
জল দেওয়ার পদ্ধতি নির্ভর করছে গাছ একদম ছায়া তে ঘরের মধ্যে থাকছে না বারান্দায় যেখানে উজ্জ্বল আলো আসে সেখানে থাকছে।
জল দেওয়ার পর আস্তে আস্তে ভিজে ভাব টা কাটলে মাটি টা একদম শুকিয়ে গেলে তারপর আবার জল দিতে হবে। অনেক সময় ওপরের মাটি শুকিয়ে যায় কিন্তু ভিতরে ভেজা ভাব থাকে। তাই একটি কাঠি ঢুকিয়ে দেখে নিতে হবে মোটামুটি আঙ্গুল এর দুই থেকে তিন কর এর মত যেনো শুকনো থাকে।
এই গাছ এ কি ধরনের খাবার দেওয়া উচিৎ ?
বেশি খাবার এর প্রয়োজন হয়না।
৮ ইঞ্চি টব এর ক্ষেত্রে বছর এ দুবার অর্থাৎ ৬ মাস অন্তর অন্তর ৩ চা চামচ সরষে গুঁড়ো খোল + ৩ চা চামচ হার গুঁড়ো ( হার গুঁড়ো না থাকলে ১.৫ চা চামচ ফসফেট) ভালো করে চারিদিকে ছড়িয়ে জল দিয়ে দিতে হবে এবং সার দেওয়ার আগের দিন মাটি জল দিয়ে ভিজিয়ে নিতে হবে।
১২ ইঞ্চি টব এর ক্ষেত্রে ৪ চা চামচ করে দিতে হবে (হার গুঁড়ো না থাকলে ২ চা চামচ ফসফেট) ।
*** এই গাছের পাতা ভেঙে বা ছিঁড়ে গেলে এক প্রকার সাদা আঠা নির্গত হয়, যা চামড়া তে লাগলে ক্ষতি, এর চোখ এ গেলেও ক্ষতি ।।।
এই গাছের রোগ পোকা :
এই গাছে পোকার আক্রমণ ৯৯% হয়না। যারা বাগানে এই গাছ করে তাদের ক্ষেত্রে অন্যান্য গাছ থেকে এই গাছ এ পোকার আক্রমণ হয়, তাই ১৫-২০ দিন এ একবার রগোর ১ লিটার জল এ ৩০ ফোঁটা দিয়ে স্প্রে করতে হবে সন্ধ্যা ৭ টার পর(শুধু মাত্র বাইরে বাগান এ যারা রাখে )
ঘর এর গাছ এর পাতায় যখন ধুলো পড়বে একটি পাতলা ন্যাকরা জল এ ভিজিয়ে পাতা আলতো করে মুছে দিলে আর কোনো পোকার আক্রমণ হবে না।
***** এই গাছ ,সার এবং কীটনাশক কিনতে চাইলে যোগাযোগ করুন SIMPLE PLANT SOLUTION ৮২৯৬৫৯০৬৬৩ নম্বরে *****
0 comments:
Post a Comment