মাটি : এই গাছ গোড়ায় জল জমা একেবারে পছন্দ করেনা। তাই এই গাছের জন্য উচ্চ জলনিকাশি ব্যবস্থাযুক্ত মাটির প্রয়োজন।
** এই গাছের গোড়ায় ২ দিন এর মত জল জমে থাকলে এই গাছ মারা যায়।
নদীর সাদা বালি ১ ভাগ + লাল বালি (ভালো করে ধুইয়ে শুকিয়ে নিতে হবে) ১ ভাগ + ১ ভাগ ভার্মি কম্পোস্ট বা ১ বছরের পুরনো পচানো গোবর সার বা ১ বছরের পুরনো পচানো পাতা পঁচা সার ভালো করে মিশিয়ে এই গাছের মাটি প্রস্তুত করতে হবে। এই মিডিয়া নন্দিনী গাছ এর জন্য সবচেয়ে ভালো।
এছাড়া এই উপকরণ গুলি না থাকলে আরেকভাবেও মাটি তৈরি করা যায় : সাধারণ বাগানের মাটি ভালো করে চালুনি দিয়ে চেলে নিয়ে ১ ভাগ এই মাটি + ১ ভাগ লাল বালি + ১/২ ভাগ ভার্মি কম্পোস্ট মিশিয়ে মাটি প্রস্তুত করা যায়।
কিন্তু প্রথম মাটি তৈরি পদ্ধতি এই গাছের জন্য পারফেক্ট মিডিয়া।
এই গাছ কোথায় রাখা উচিৎ : এই গাছ সূর্যের আলো খুব পরিমাণে পছন্দ করে, কিন্তু সেটা আমাদের west bengal এর প্রখর তাপ এ নয়। এই ফুল অক্টোবর এর শেষ থেকে ফোঁটা শুরু হয় এবং শীতকালের সারাদিন সূর্যের আলোতে এই গাছ খুবই ভালো থাকে। আর গ্রীষ্মকাল এ এই গাছ আমাদের এলাকাতে সেমি শেড এ রাখতে হবে।
জলের ব্যবস্থাপনা : প্রচুর পরিমাণ এ জল ভালোবাসে, কিন্তু একেবারে গোড়ায় জল জমা পছন্দ করেনা।
সপ্তাহে একবার জল খুব বেশি করে দিতে হবে। এর পর যদি দেখা যায় গাছ এর মাটির ওপরের স্তর ১ ইঞ্চি মতো শুকিয়ে গেছে , তখন আবার জল দিতে হবে।
**** বৃষ্টি র জল এই গাছ এ লাগানো যাবে না। বৃষ্টি র জলে এই গাছ এ ফাঙ্গাস লেগে পচে মারা যাবে।
খাবারের ব্যবস্থাপনা : এই গাছ উচ্চ পটাশিয়াম যুক্ত নাইট্রোজেন খাবার ভালবাসে।
গাছ প্রতিস্থাপনের ১৫ দিন পর থেকে একটু পাতলা করে খোল জল দিতে হবে ৭ দিন অন্তর অন্তর এবং এই খোল জলের সাথে পটাশ মিশিয়ে দিতে হবে অথবা
এন পি কে ১৩-০-৪৫ স্প্রে করতে হবে ১ লিটার জলে ১ গ্রাম নিয়ে ৭ দিন অন্তর এবং ২৫০মিলি জল গাছ এর মাটি তে দিয়ে দিতে হবে অথবা
৮-১০ ইঞ্চি টব এর জন্য ১ চা চামচ সর্ষে খোল গুঁড়ো + ১ চা চামচ এস ও পি প্রত্যেক ২০ দিন অন্তর মাটির চারিদিকে ছড়িয়ে দিতে হবে।
রোগ-পোকা : ৭ দিন অন্তর ফাঙিসাইড স্প্রে করতে হবে ১ লিটার জলে ১ গ্রাম দিয়ে ভালো করে ঝাঁকিয়ে ।
৭-১০ দিন অন্তর রগড় বা টাফগর স্প্রে করতে হবে ১লিটার জলে ৩০ ফোঁটা ।
***** এই গাছ ,সার এবং কীটনাশক কিনতে চাইলে যোগাযোগ করুন SIMPLE PLANT SOLUTION ৮২৯৬৫৯০৬৬৩ নম্বরে *****
0 comments:
Post a Comment