মূলত ব্রাজিল এর এই গাছ সরাসরি সূর্যালোকে থাকতে খুব ভালোবাসে। এই গাছ বাইতে খুব পছন্দ করে।
যেই সমস্ত মানুষ এই গাছ প্রথম দেখেন এবং এই গাছের সুন্দর ফুলের প্রেমে পরে যান। এই ফুলের প্রথম নামকরণ হয় প্রিন্সেস ফ্লাওয়ার নামে।
আমরা এখানে জানবো এই গাছের প্রয়োজনীয় মাটি, সার এবং অন্যান্য প্রয়োজন সম্পর্কে।
এই গাছের মাটি :
এই গাছের মাটি হতে হবে একদম হালকা ধরনের।
বাগানের সাধারণ মাটি ১ ভাগ ( ভালো করে গুঁড়ো করে বালি চালনি দিয়ে চেলে নিতে হবে) + নদীর সাদা বালি ২ ভাগ + ১ ভাগ ভার্মি কম্পোস্ট বা এক বছরের পুরনো গোবর সার বা পাতা পঁচা সার + ১/২ ভাগ কোকোপিট বা ধানের কুঁড়া + ১ চা চামচ সিঙ্গেল সুপার ফসফেট + ১/২ চা চামচ ইউরিয়া + ১ মুঠো নিম খোল ----- এই গুলি একসাথে মিশিয়ে এই গাছের মাটি তৈরি করতে হবে। প্রতিস্থাপন করে জল দিয়ে দিতে হবে ভরপুর করে (এই প্রতিস্থাপনের পর ভরপুর জল দেওয়ার ব্যবস্থাপনা সমস্ত গাছের ক্ষেত্রেই করাটা বাঞ্ছনীয়)
এই গাছ কোথায় রাখা উচিৎ :
এই গাছ সরাসরি সূর্যালোক খুব পছন্দ করে বটে, তবে কলকাতা এলাকায় যে পরিমাণ প্রখর তাপমাত্রা অনুভূত হয় সেই তাপমাত্রা টবে থাকা এই গাছ সহ্য করতে পারেনা। তাই শুধুমাত্র গ্রীষ্মকালীন তাপমাত্রা থেকে বাঁচাতে সেমি শেড এ রাখতে হবে। যাদের এই সুযোগ নেই অর্থাৎ সরাসরি সূর্যালোক এ রাখতেই হবে, তারা দিন এ ৩-৪ বার ( সকাল ৭ টা এর আগে এবং সন্ধ্যা ৭ টা নাগাদ এবং রাতে ১০-১১ টা নাগাদ ) জল স্প্রে করবেন।
** যাদের বাড়িতে কম আলো অর্থাৎ সকাল ১০-১১ টা অবধি অথবা শুধুমাত্র বিকেলের রোদ এসে তারাও এই গাছ খুব সহজে করতে পারবেন।
জল এর ব্যবস্থাপনা :
এই গাছের গোড়ায় জল জমে থাকা একেবারেই পছন্দ করে না। একবারই জল দিতে হবে, সম্পূর্ণ ভরাট করে জল দিতে হবে । এর পর আবার ওপরের মাটি শুকিয়ে গেলে জল দিতে হবে, তার আগে না।
সার এর ব্যবস্থাপনা :
সমান অনুপাতের এন পি কে যেমন ১৬-১৬-১৬ বা ১৯-১৯-১৯ বা ২০-২০-২০ , প্রত্যেক ১৫ দিন অন্তর ১ চা চামচ ৮ ইঞ্চি এবং ১.৫ চা চামচ ১০-১২ ইঞ্চি টব এ চারিদিকে ছড়িয়ে দিলে এই গাছ খুব ভালো হবে।
এই গাছ এর সবথেকে ভালো খাবার এন পি কে ১৫-৩০-১৫ ... এই এন পি কে না পেলে এর পরিবর্তে ১/২ চা চামচ ইউরিয়া + ১ চা চামচ ফসফেট + ১/২ চা চামচ পটাশ ( এস ও পি ) ভালো করে মিশিয়ে প্রতি ১০-১২ ইঞ্চি টবের জন্য মাস এ একবার ছড়িয়ে দিতে হবে এবং ৮ ইঞ্চি টব এর ক্ষেত্রে এর থেকে ১ চা চামচ করে মাস এ দুবার ১৫ দিন অন্তর দিতে হবে।
** সার দেওয়ার আগের দিন মাটি ভালো করে ভিজিয়ে রাখবেন এবং পরের দিন মাটি ভালো করে খুসে নিয়ে সার দিয়ে জল ঢেলে দেবেন
রোগ - পোকা :
এই গাছ এর প্রধান রোগ ডাই ব্যাক । ডাই ব্যাক হলে যতখানি হবে তার ঠিক নিচ থেকে কেটে দিতে হবে এবং সেই কাটা জায়গায় ফাঙ্গিসাইড লেই করে লাগিয়ে দিতে হবে। সাফ বা ব্লাইটক্স সবচেয়ে ভালো কাজ করে। প্রতি ৭-১০ দিন অন্তর সাফ বা ব্লাইটক্স ১ লিটার জলে ২ গ্রাম দিয়ে ভালো করে ঝাঁকিয়ে স্প্রে করতে হবে।
এই গাছ এ প্রধানত মাইটস্ আক্রমণ বেশি হয় । এর জন্যে প্রথম থেকে রগড় বা টাফগর স্প্রে করতে হবে প্রতি ১৫-২০ দিন অন্তর।
এবং এই গাছের প্রধান সমস্যা পাতার কিনারা পুড়ে যাওয়া, যেটার কারণ জল জমা।
*** এই গাছে প্রচুর পরিমাণ ফাংগাস আক্রমণ করে। খুব বেশি ডাই ব্যাক হলে হার্ড প্রুন করতে হবে এবং সাফ লেই করে কাটা অংশ লাগিয়ে দিতে হবে এবং মাটিতে ১ চা চামচ সাফ ছড়িয়ে দিয়ে মাটি হালকা খুষে দিতে হবে এবং ১ লিটার জল এ ২ গ্রাম সাফ মিশিয়ে ভালো করে স্প্রে করে দিতে হবে এবং গাছটিকে সেমি শেড এ রাখতে হবে। ডাল কাটার পরের দিন ১/২ চা চামচ ইউরিয়া ( বা ২ চা চামচ সর্ষে খোল ৮ ইঞ্চির জন্য এবং ৩ চা চামচ সর্ষে খোল ১০ ইঞ্চি টব এর জন্য) চারিদিকে ছড়িয়ে দিয়ে জল দিতে হবে। এর পর যেই সময় কচি পাতা আসবে এবং ১ সেন্টিমিটার এর মত লম্বা হবে সেই সময় গ্রোথ রেগুলেটর স্প্রে করতে হবে একবার। এইভাবে এই মৃতপ্রায় গাছ আবার ভালোভাবে বেচেঁ উঠবে।
***** এই গাছ কিনতে চাইলে যোগাযোগ করুন SIMPLE PLANT SOLUTION ৮২৯৬৫৯০৬৬৩ নম্বরে *****
0 comments:
Post a Comment