মাটির ব্যবস্থাপনা : পনসেটিয়া একেবারেই জল সহ্য করতে পারেনা। এই কারনে সুন্দর জল নিকাশী ব্যবস্থা সম্পন্ন মাটি তৈরি করতে হবে এবং এর জন্যে ব্যবহার করতে হবে হালকা দোয়াশ মাটি।
২ ভাগ নদীর সাদা বালি + ১ ভাগ নর্মাল গার্ডেন মাটি + ১ ভাগ ভার্মি কম্পোস্ট / ১ বছরের পুরনো গোবর সার/ ১ বছরের পুরনো পচানো পাতা পঁচা সার ----- এই পরিমাণে সব মিশিয়ে গাছ প্রতিস্থাপন করে ভরপুর জল দিয়ে দিতে হবে এবং দুদিন সম্পূর্ণ ছায়াতে রাখতে হবে ( ঘর এর মধ্যে না ) ।
আলোর ব্যবস্থাপনা : এই গাছ এর সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ অংশ এই আলোর ব্যাপার।
এই গাছ ৬-৭ ঘণ্টা আলো পছন্দ করে, কিন্তু সেটা ইনডিরেক্ট আলো। আলো উজ্জ্বল হয়ে হবে কিন্তু আলোর প্রখরতা যেনো গাছ একেবারেই না পায়। সরাসরি আলো যেনো গাছে না লাগে।
জলের ব্যবস্থাপনা : এই গাছের জলের অংশটিও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই গাছ একদিকে একেবারেই জল পছন্দ করেনা, আবার অন্যদিকে ভেজা ভেজা ভাব ( moisture) খুবই ভালোবাসে। তাই যখন জল দেওয়া হবে, ভরপুর জল দেওয়া হবে, তারপর এক সপ্তাহ জল দেওয়া যাবে না। এক সপ্তাহ পরে যখন দেখা যাবে ওপরের মাটি শুকিয়ে গিয়েছে তখন আবার ভরপুর জল দিয়ে দিতে হবে।
খাবারের ব্যবস্থাপনা : এই গাছের জন্য খুব বেশি খাবার দরকার হয়না। এন পি কে ১৯-১৯-১৯ বা ২০-২০-২০ এইটি এক চা চামচ করে প্রতি মাসে এবার টব এর মাটির চারিদিকে ছড়িয়ে দিলেই চলবে , আর যাদের কাছে এন পি কে নেই, তারা এক মুঠো সর্ষে গুঁড়ো খোল + ১ চা চামচ হারগুরো ( হার গুঁড়ো এর পরিবর্তে ১ চা চামচ ফসফেট দেওয়া যাবে ) + ১ চা চামচ সাদা পটাশ ( SOP) মিশিয়ে এর থেকে ২ চা চামচ প্রতি মাস এ একবার মাটিতে ছড়িয়ে দিতে হবে।
রোগ পোকার ব্যবস্থাপনা : এই গাছে সাদা মাছি, থ্রিভস, মাইটস, অ্যাফিডস হয়।
সাদা মাছির জন্যে ইমিডাক্লোরোপিড কম্পোজিশন এর যেকোনো পেস্টিসাইড ১ লিটার জলে ৫ ফোঁটা দিয়ে প্রতি ১৫-২০ দিনে একবার স্প্রে করলে সাদা মাছি হবে না।
মাইটস, অ্যাফিডস এর জন্যে টাফগর বা রগর ১ লিটার জলে ৩০ ফোঁটা দিয়ে স্প্রে করতে হবে প্রতি ১০ দিন অন্তর।
গাছের পাতায় সাদা স্পট বা ব্রাউন স্পট এলে সেক্ষেত্রে মাইক্রোনিউট্রিএন্টস স্প্রে করতে হবে।
এই ভাবে স্টেপ ফলো করলে শীতকালে এই গাছে ফুলে ভরে যাবে।
**** এই গাছ ,সার এবং কীটনাশক কিনতে চাইলে যোগাযোগ করুন SIMPLE PLANT SOLUTION ৮২৯৬৫৯০৬৬৩ নম্বরে *****
0 comments:
Post a Comment