পলাশ গাছ খুব কষ্ট সইতে পারে। লোনা, শুষ্ক ও রুক্ষ মাটিতেও পলাশ একপ্রকার বিনা যত্নেই ফুল দেয়। ফুল ফোটার সময় সাধারণত গাছে কোনো পাতা থাকে না।
মাটি : বাগানের সাধারণ মাটি ১ ভাগ + নদীর সাদা বালি ১ ভাগ ( সাদা বালি না থাকলে কনস্ট্রাকশন এর লাল বালি ব্যবহার করা যাবে ) + ১ ভাগ ভার্মি কম্পোস্ট ভালো করে মিশিয়ে এর সাথে ১০-১২ ইঞ্চি টব এর ক্ষেত্রে ১ চা চামচ সিঙ্গেল সুপার ফসফেট + ১/২ চা চামচ পটাশ + ২ চা চামচ নিম খোল মিশিয়ে নিতে হবে ।
আরেক উপায়ে মাটি তৈরি করা যায় : ইট এর ভাটা র আশেপাশে এক প্রকার রাবিশ পাওয়া যায়, যার সাথে সমপরিমাণ ভার্মি কম্পোস্ট মিশিয়ে নিয়ে তাতে এই গাছ প্রতিস্থাপন করলে খুব ভালোভাবে এই গাছ করা যাবে।
সূর্যালোকের প্রয়োজনীয়তা : ফুল সানলাইট এ সবচেয়ে ভালো ফুল পাওয়া যায়, তাছাড়া সেমি শেড অর্থাৎ যাদের ব্যালকনিতে গাছ এবং সেখানে কোনো ডাল রোদ্দুর পায়, তবে সেই ডাল এ ফুল হবে।
জলের ব্যবস্থাপনা : প্রতিস্থাপন এর পর ভরে জল দিতে হবে। তারপর মাটি একদম শুকিয়ে গেলে জল দিতে হবে ।
সার এর ব্যবস্থাপনা : প্রতি মাসে একমুঠো সর্ষে খোল গুঁড়ো মাটিতে ছড়িয়ে দিতে হবে এবং এর সাথে সপ্তাহে একবার এন পি কে ১৯-১৯-১৯ স্প্রে করতে হবে ১ লিটার জল এ ১ গ্রাম এবং মাস এ একবার মাইক্রোনিউট্রিএন্টস স্প্রে করতে হবে।
এগুলো না থাকলে আমাদের তৈরি স্পেশাল মিক্স সার গাছ এ প্রতি মাস এ দিলে এর কিছু দেওয়ার দরকার হবে না।
রোগ পোকার ব্যবস্থাপনা : (১) বেশি জল দিলে গাছের গোঁড়া পচে যায়
(২) ডাই ব্যাক এর সম্ভাবনা থাকে। তাই কোনো ডাল শুকিয়ে আসছে দেখতে পেলেই ধারালো কাচি দিয়ে কেটে ফেলতে হবে এবং ফাঙ্গিসাইড লেই করে প্রলেপ দিয়ে দিতে হবে কাটা জায়গায়
(৩) কাকা, থিটা, কনফিডার এবং সুপার সোনাটা এই চারটি কীটনাশক সংগ্রহে রাখবেন এবং প্রতি সপ্তাহে যেকোনো একটি ঘুরিয়ে ফিরিয়ে স্প্রে করলে গাছে এ কোনো পোকার আক্রমণ হবে না।
অক্টোবর নভেম্বর মাস এ এই গাছ সংগ্রহ করলে ফেব্রুয়ারি তে এই গাছে ফুল পাওয়া যাবে।
**** এই গাছ ,সার এবং কীটনাশক কিনতে চাইলে যোগাযোগ করুন SIMPLE PLANT SOLUTION ৮২৯৬৫৯০৬৬৩ নম্বরে *****
0 comments:
Post a Comment