COMPLETE CARE OF PLANTS

WELCOME TO OUR BLOG
  • GO THOUGH OR WHATSAPP CATALOG

    You can get here PLANT AND OTHER PRODUCT PRICE ...

  • GO THOUGH OR FACEBOOK GROUP

    You can get here latest update of product with price...

  • GO THOUGH OR YOUTUBE CHANEL

    You can get here plant caring videos...

November 28, 2022

Vinca বিদেশী নয়নতারা গাছের সম্পূর্ণ পরিচর্যা

Vinca বিদেশী নয়নতারা গাছের সম্পূর্ণ পরিচর্যা 

এটি প্রধানত গ্রীষ্মকালীন ফুলের গাছ, তবে এই ভিনকা বা বিদেশী নয়নতারা শীতকালে খুবই ভালো ফুল দেয়, গরম কালে এবং বর্ষাকালেও ভরপুর ফুল দেয়।
এই গাছের প্রচুর কালারের ফুল পাওয়া যায়। কিন্তু এই গাছ এ বৃষ্টির জল একেবারেই লাগানো যাবে না। 
মাটির ব্যবস্থাপনা : সাধারণ বাগানের মাটি ২ ভাগ + ১ ভাগ ভার্মি কম্পোস্ট বা গোবর সার বা পাতা পঁচা সার + ১ ভাগ কোকোপিট ---- ভালো করে মিশিয়ে নিয়ে ৮ ইঞ্চি টব এর হিসেবে ১/২ চা চামচ ফসফেট এবং ১০ ইঞ্চি টব এর হিসেবে ১ চা চামচ ফসফেট এই মাটির সাথে মিশিয়ে নিতে হবে।
প্রতিস্থাপন এর পর দুদিন ছায়াতে রাখতে হবে এবং রাতে অবশ্যই কুয়াশা যেনো পায় সেইদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

সূর্যালোকের প্রয়োজনীয়তা : শীতকালে সম্পূর্ণ সূর্যের আলোতে রাখতে হবে। তবে যারা ব্যালকনিতে এই গাছ করতে চান, কম আলোতেও খুব সুন্দর ভাবে এই গাছ হবে।
গরমকালে সেমি শেড এ যেখানে সকালের মিষ্টি আলো আসে কিন্তু দুপুরের কড়া রোদ পড়ে না, সেই জায়গায় রাখতে হবে এবং বৃষ্টির জল থেকে বাঁচানো সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ।

জলের ব্যবস্থাপনা : এই গাছের মাটিতে জল দেওয়ার পর যখন একটু একটু মাটি শুকিয়ে আসবে তখন আবার জল দিতে হবে। গাছের গোঁড়ায় যেনো জল না জমে

খাবারের ব্যবস্থাপনা : ৮ ইঞ্চি টবের ক্ষেত্রে ১ চা চামচ সাদা পটাশ + ১ চা চামচ এন পি কে ( ১৯-১৯-১৯ / ২০-২০-২০ ) + ১ চা চামচ ডি এ পি + ১ মুঠো সর্ষে গুঁড়ো খোল ভালো করে মিশিয়ে এই মিশ্রণ থেকে হাফ মুঠো টবের মাটি র চারিদিকে ছড়িয়ে জল দিয়ে দিতে হবে মাসে একবার এবং ১০ ইঞ্চি টবের ক্ষেত্রে ওই মিশ্রণটি ১ মুঠো দিতে হবে।
মাসে একবার মাইক্রোনিউট্রিএন্টস স্প্রে করতে হবে।
পোকামাকড় এর জন্যে যে চারটি কীটনাশক ব্যবহার করতে বলা হয়েছে ( কাকা, থিটা, সুপার সোনাটা এবং কনফিডর ) , এই গুলি প্রতি সপ্তাহে ১ বার করে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে স্প্রে করে যেতে হবে এবং টবের মাটিতে মাস এ একবার ফুরাডন ১ চা চামচ ছড়িয়ে দিতে হবে এবং মাসে একবার যেকোনো ফানগিসাইড স্প্রে করতে হবে ১ লিটার জলে ১ গ্রাম দিয়ে।

এই ভাবে স্টেপ ফলো করলে শীতকালে এই গাছে ফুলে ভরে যাবে।

**** এই গাছ ,সার এবং কীটনাশক কিনতে চাইলে যোগাযোগ করুন SIMPLE PLANT SOLUTION ৮২৯৬৫৯০৬৬৩ নম্বরে *****



November 25, 2022

Calendula ক্যালেন্ডুলা গাছের সম্পূর্ণ পরিচর্যা

Calendula ক্যালেন্ডুলা গাছের সম্পূর্ণ পরিচর্যা 

অক্টোবর মাসের শেষের থেকে এই গাছের চারা লাগানোর উপযুক্ত সময়। 
এই গাছের উপযুক্ত টব নির্বাচন : এই গাছের জন্য ৬ ইঞ্চি মাটির টব উপযুক্ত। এছাড়া ৮-১০ ইঞ্চি টবে ২-৩ তে গাছ একসাথে বসাতে পারবেন।

এই গাছের প্রয়োজনীয় মাটি : দুভাগ নদীর সাদা বালি + ১ ভাগ সাধারণ বাগানের মাটি + ১ ভাগ ভার্মি কম্পোস্ট বা গোবর সার বা পাতা পঁচা সার মিশিয়ে এর সাথে ১ চা চামচ ফসফেট এবং ২ চা চামচ নিমখোল মিশিয়ে নিতে হবে।

প্রতিস্থাপনের পর  ২ দিন ছায়াতে রাখতে হবে এবং সন্ধ্যাবেলা খোলা আকাশের নিচে শিশির যাতে লাগে এমন জায়গায় রাখতে হবে। ২ দিন পর সরাসরি সূর্যালক পায় এমন জায়গায় রাখতে হবে।

জলের ব্যবস্থাপনা : মাটির উপরের অংশ ১-২ ইঞ্চি শুকিয়ে গেলে জল দিতে হবে। ভেজা ভেজা ভাব ( moisture ) রাখতে হবে।

খাবারের ব্যবস্থাপনা : এন পি কে (১৯-১৯-১৯ বা ২০-২০-২০) প্রতি ১৫ দিন অন্তর ১ চা চামচ করে মাটিতে ছড়িয়ে দিতে হবে এবং প্রতি ১০ দিন অন্তর তরল সার ( তরল সার প্রস্তুতি পদ্ধতি ব্লগে বিস্তারিত লেখা আছে ) প্রয়োগ করতে হবে।

রোগ পোকার ব্যবস্থাপনা : প্রতিস্থাপনের ২দিন পর থেকে প্রতি ১০ দিন অন্তর রগোর বা টাফগর স্প্রে করতে হবে এবং মাসে একবার টব এর মাটিতে ১চা চামচ ফুরাডন ছড়িয়ে দিতে হবে।

এই ভাবে স্টেপ ফলো করলে শীতকালে এই গাছে ফুলে ভরে যাবে।

**** এই গাছ ,সার এবং কীটনাশক কিনতে চাইলে যোগাযোগ করুন SIMPLE PLANT SOLUTION ৮২৯৬৫৯০৬৬৩ নম্বরে *****


Kalanchoe ক্যালাঞ্চ গাছের সম্পূর্ণ পরিচর্যা

Kalanchoe ক্যালাঞ্চ গাছের সম্পূর্ণ পরিচর্যা 
এই গাছটি একটি শীতকালীন সাকুলেন্ট গাছ কিন্তু প্রায় সারাবছরই এই গাছের থেকে ফুল পাওয়া যায়। এই গাছটি ইনডোর এও অল্প আলো আসে এমন জায়গায় করা যায়।

টব নির্বাচন :  ৬-৮ ইঞ্চি টব     

মাটির ব্যবস্থাপনা : ১ ভাগ সাধারণ বাগানের মাটি + ২ ভাগ নদীর সাদা বালি + ১ ভাগ ভার্মি কম্পোস্ট অথবা গোবর সার বা পাতা পঁচা সার ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে

সূর্যালোকের প্রয়োজনীয়তা : এই গাছটি সরাসরি সূর্যালোকে সবথেকে ভালো হয় আবার সেমি শেড এও খুব ভালো হয়( যেখানে উজ্জ্বল আলো আসে এবং দক্ষিণ দিকের আলো আসে
)

জলের ব্যবস্থাপনা : গাছের গোঁড়া যতক্ষণ না পর্যন্ত সম্পূর্ণ শোকাচ্ছে ততক্ষণ জল দেওয়া যাবে না।

খাবারের ব্যবস্থাপনা : তরল সার (আমাদের ব্লগ এ বিস্তারিত লেখা পেয়ে যাবেন ) প্রয়োগ করতে হবে ১০ দিন অন্তর এবং প্রতি ২০ দিন অন্তর এন পি কে (১৯-১৯-১৯ বা ২০-২০-২০) ১/২ চা চামচ ছড়িয়ে দিতে হবে মাটিতে

রোগ পোকার ব্যবস্থাপনা : প্রতি ৭ দিন অন্তর অবশ্যই ফাঙ্গিসাইড স্প্রে করতে হবে এবং প্রতি ১০ দিন অন্তর টাফগর স্প্রে করতে হবে।

এই ভাবে স্টেপ ফলো করলে শীতকালে এই গাছে ফুলে ভরে যাবে।

**** এই গাছ ,সার এবং কীটনাশক কিনতে চাইলে যোগাযোগ করুন SIMPLE PLANT SOLUTION ৮২৯৬৫৯০৬৬৩ নম্বরে *****


November 24, 2022

LIQUID FERTILIZER তরল সার প্রস্তুতি

LIQUID FERTILIZER তরল সার প্রস্তুতি

উপকরণ
> ২৫০ গ্রাম সর্ষে খোল বা বাদাম খোল নিতে হবে।
> ১ লিটার জল 
> ডি এ পি (DAP)
পদ্ধতি : 
২৫০ গ্রাম সর্ষে খোল ১ লিটার জলে ৭ দিন ধরে পচাতে হবে অথবা ২৫০ গ্রাম বাদাম খোল ১ লিটার জলে ৩ দিন পচাতে হবে। 
সর্ষে খোল ৭ দিন পচানোর পর অষ্টম দিনে ১.৫ চা চামচ ডি এ পি অথবা বাদাম খোল ৩ দিন পচানোর পর চতুর্থ দিনে ১.৫ চা চামচ ডি এ পি -- এই খোল পঁচা মিশ্রণে মিশিয়ে আরো একদিন সম্পূর্ণটা পচিয়ে নিতে হবে ।
সর্ষে খোল এর ক্ষেত্রে নবম দিনে এবং বাদাম খোল এর ক্ষেত্রে পঞ্চম দিনে একটি পরিষ্কার ছাকনি বা সুতির কাপড় দিয়ে সম্পূর্ণটা ছেকে নিতে হবে এবং ছাকার পরে যে তরল পাওয়া যাবে তার সাথে আরো ৫ লিটার জল মেশাতে হবে। 
এভাবে তরল সার তৈরি করে এর থেকে সমস্ত গাছের গোঁড়ায় ২৫০ মিলিলিটার করে দিতে হবে ।
এবং অবশ্যই মনে রাখতে হবে এই তরল সার শুকনো মাটিতে দেওয়া যাবে না, তাই তরল সার দেওয়ার আগের দিন রাতে গাছের গোঁড়া ভিজিয়ে দিতে হবে। 

**** শীতকালীন গাছ এবং অন্যান্য গাছ, সার এবং কীটনাশক কিনতে চাইলে যোগাযোগ করুন SIMPLE PLANT SOLUTION ৮২৯৬৫৯০৬৬৩ নম্বরে *****


November 19, 2022

Poinsettia পনসেটিয়া সম্পূর্ণ পরিচর্যা

Poinsettia পনসেটিয়া
মাটির ব্যবস্থাপনা : পনসেটিয়া একেবারেই জল সহ্য করতে পারেনা। এই কারনে সুন্দর জল নিকাশী ব্যবস্থা সম্পন্ন মাটি তৈরি করতে হবে এবং এর জন্যে ব্যবহার করতে হবে হালকা দোয়াশ মাটি।
২ ভাগ নদীর সাদা বালি + ১ ভাগ নর্মাল গার্ডেন মাটি + ১ ভাগ ভার্মি কম্পোস্ট  / ১ বছরের পুরনো  গোবর সার/ ১ বছরের পুরনো পচানো পাতা পঁচা সার ----- এই পরিমাণে সব মিশিয়ে গাছ প্রতিস্থাপন করে ভরপুর জল দিয়ে দিতে হবে এবং দুদিন সম্পূর্ণ ছায়াতে রাখতে হবে ( ঘর এর মধ্যে না ) ।

আলোর ব্যবস্থাপনা : এই গাছ এর সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ অংশ এই আলোর ব্যাপার।
এই গাছ ৬-৭ ঘণ্টা আলো পছন্দ করে, কিন্তু সেটা ইনডিরেক্ট আলো। আলো উজ্জ্বল হয়ে হবে কিন্তু আলোর প্রখরতা যেনো গাছ একেবারেই না পায়। সরাসরি আলো যেনো গাছে না লাগে। 

জলের ব্যবস্থাপনা : এই গাছের জলের অংশটিও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই গাছ একদিকে একেবারেই জল পছন্দ করেনা, আবার অন্যদিকে ভেজা ভেজা ভাব ( moisture) খুবই ভালোবাসে। তাই যখন জল দেওয়া হবে, ভরপুর জল দেওয়া হবে, তারপর এক সপ্তাহ জল দেওয়া যাবে না। এক সপ্তাহ পরে যখন দেখা যাবে ওপরের মাটি শুকিয়ে গিয়েছে তখন আবার ভরপুর জল দিয়ে দিতে হবে। 

খাবারের ব্যবস্থাপনা : এই গাছের জন্য খুব বেশি খাবার দরকার হয়না। এন পি কে ১৯-১৯-১৯ বা ২০-২০-২০ এইটি এক চা চামচ করে প্রতি মাসে এবার টব এর মাটির চারিদিকে ছড়িয়ে দিলেই চলবে , আর যাদের কাছে এন পি কে নেই, তারা এক মুঠো সর্ষে গুঁড়ো খোল + ১ চা চামচ হারগুরো ( হার গুঁড়ো এর পরিবর্তে ১ চা চামচ ফসফেট দেওয়া যাবে ) + ১ চা চামচ সাদা পটাশ ( SOP) মিশিয়ে এর থেকে ২ চা চামচ প্রতি মাস এ একবার মাটিতে ছড়িয়ে দিতে হবে।

রোগ পোকার ব্যবস্থাপনা : এই গাছে সাদা মাছি, থ্রিভস, মাইটস, অ্যাফিডস হয়।
সাদা মাছির জন্যে ইমিডাক্লোরোপিড কম্পোজিশন এর যেকোনো পেস্টিসাইড ১ লিটার জলে ৫ ফোঁটা দিয়ে প্রতি ১৫-২০ দিনে একবার স্প্রে করলে সাদা মাছি হবে না। 
মাইটস, অ্যাফিডস এর জন্যে টাফগর বা রগর ১ লিটার জলে ৩০ ফোঁটা দিয়ে স্প্রে করতে হবে প্রতি ১০ দিন অন্তর।
গাছের পাতায় সাদা স্পট বা ব্রাউন স্পট এলে সেক্ষেত্রে মাইক্রোনিউট্রিএন্টস স্প্রে করতে হবে।

এই ভাবে স্টেপ ফলো করলে শীতকালে এই গাছে ফুলে ভরে যাবে।

**** এই গাছ ,সার এবং কীটনাশক কিনতে চাইলে যোগাযোগ করুন SIMPLE PLANT SOLUTION ৮২৯৬৫৯০৬৬৩ নম্বরে *****

November 3, 2022

১০টি সবজির ফুল ফোটার সময় ও কৃত্রিম পরাগায়ন পদ্ধতি

 ১০টি সবজির ফুল ফোটার সময় ও কৃত্রিম পরাগায়ন পদ্ধতি
 বেশির ভাগ কুমড়া জাতীয় ফসলে স্ত্রী ফুল ও পুরুষ ফুল আলাদা ফোটায় পরাগায়নের জন্য অন্য মাধ্যম যেমন কীটপতঙ্গের প্রয়োজন হয়। 
পরাগায়ন ঠিকমতো না হলে ফল শুকিয়ে পচে বা ঝরে গিয়ে প্রায় ৯৫% ফলন কমে যেতে পারে। তখন হাত পরাগায়নের মাধ্যমে কৃত্রিম উপায়ে পরাগায়ন করিয়ে দিতে হয়। 

➡️পরাগায়ন পদ্ধতি 
একটি পুরুষ ফুল নিয়ে স্ত্রী ফুলের গর্ভমুন্ডে লাগালে পরাগরেণু স্ত্রী ফুলে লেগে যাবে। অনেক সময় হালকা করে ঘসে দিতে হয়। ব্রাশ দিয়েও করা যায়। এভাবে কৃত্রিম পরাগায়ন সম্পন্ন হয়। 

তবে কোন সময় পরাগায়ন করতে হবে, এজন্য কুমড়াগোত্রীয় ফুল কখন ফোটে সে বিষয়ে আমাদের জানা প্রয়োজন। চলুন জেনে নেই-

শসা
 শসার পুরুষ ফুল ফোটা বা বন্ধ হওয়া দিনের আলোর দৈর্ঘ্যের সাথে সম্পর্কযুক্ত। পুরুষ ফুল সাধারণত সকালে ফোটে এরং পরাগরেণু দুপুর ২.০০টা পর্যন্ত সর্বোচ্চ কর্মক্ষম থাকে এবং বেলা বাড়ার সাথে  সাথে নিস্ক্রিয় হতে থাকে। শশার স্ত্রীফুলও সকালে ফোটে তবে ফুল ফোটার ২ ঘণ্টার মধ্যে পরাগায়ন করতে হবে। কেননা গর্ভমুন্ডে খুব কম সময়ের জন্য কর্মক্ষম থাকে।

করলা
করলার ফুল ভোর ৪.০০টা থেকে সকাল ৭.৩০টা এর মধ্যে ফুটতে শুরু করে এবং সকাল ৬.০০ টা থেকে সকাল ৯.৫৫টা পর্যন্ত সম্পূর্ণরূপে ফুটে যায়। পুরুষ ফুলের পরাগধানী সকাল ৬.০০টা থেকে সকাল ৮.৫৫টা পর্যন্ত পরাগরেণু উন্মুক্ত করে। তাই সকাল ৬.০০টা থেকে সকাল ৯.০০টার মধ্যে করলার কৃত্রিম পরাগায়ন করতে হবে। গর্ভমুন্ডের ধারণক্ষমতা সাধারণত ফুল ফোটার ৮ ঘণ্টা আগে থেকে ফুল ফোটার ১২ ঘণ্টা পর পর্যন্ত সক্রিয় থাকে।

 ✅লাউ
লাউ ফসলের ফুল সকাল ৯.০০টা থেকে ফুটতে শুরু করে এবং বিকাল ৪.০০টা থেকে রাত ৮.০০টার মধ্যে সম্পূর্ণ ফুল প্রস্ফুটিত হয়। পরাগধানী সকাল ১১.০০টা থেকে ২.০০টার মধ্যে পরাগরেণু উন্মুক্ত করে। লাউ ফুল ফোটার পর অল্প সময় খোলা থাকে ফলে  লাউয়ের পরাগায়ন বিকাল ৪.০০টা থেকে সন্ধ্যা ৭.০০টার মধ্যে করতে হবে।

তরমুজ
আরেকটি সুস্বাদু ফল তরমুজের ফুল ফোটার সময় সকাল ৫.৩০টা থেকে সকাল ৬.৩০টা।পরাগধানী সাধারণত  সকাল  ৫.০০টা থেকে ৬.০০টার মধ্যে পরাগরেণু উন্মুক্ত করে এবং রেণু সকাল ৫.০০টা থেকে দুপুর ২.০০টা পর্যন্ত কর্মক্ষম থাকে। গর্ভমুন্ডের ধারণক্ষমতা ফুল ফোটার ২ ঘণ্টা আগে থেকে ৩ ঘণ্টা পর পর্যন্ত সক্রিয় থাকে। ফলে খরমুজের কৃত্রিম পরাগায়ন সকাল ৫.০০টা থেকে সকাল ৮.০০টার মধ্যে করতে হবে।

পটল
পটোলের ফুল সাদা। পটোলের পুরুষ এবং স্ত্রী গাছ আলাদা। পটোল একটি উচ্চমাত্রার পর-পরাগায়ন ফসল। এজন্য স্ত্রী এবং পুরুষ গাছের অনুপাত হতে হবে ৯:১ অথবা ১০:১। পুরুষ ফুল স্ত্রী ফুলের ১৫ থেকে ২৯ দিন পর জন্মায়। তাই পুরুষ গাছ স্ত্রী গাছের চেয়ে ১৫-২০ দিন আগে রোপণ করতে হয়। পটোল ফুলের কৃত্রিম পরাগায়ন ভোর ৫.০০টা থেকে সকাল ৮.০০টার মধ্যে করতে হয়।

ঝিঙে
ঝিঙে ফুল বিকালের দিকে ফোটে। ফুল ফোটার সময় সাধারণত বিকাল ৫.০০টা থেকে রাত ৮.০০টার মধ্যে। পরাগধানী পরাগরেণু বিকাল ৫.০০টা থেকে ৮.০০টা এর মধ্যে উন্মুক্ত করে। পরাগরেণুর কর্মক্ষমতা ফুল ফোটার দিন সবচেয়ে বেশি থাকে এবং ২-৩ দিন পর্যন্ত  এটা স্থায়ী হয়। গর্ভমুন্ডের ধারণক্ষমতা ফুল ফোটার ৬ ঘণ্টা আগে থেকে ফুল ফোটার ৮৪ ঘণ্টা পর পর্যন্ত স্থায়ী হয়। তবে ফুল ফোটার দিন বিকাল ৫.০০টা থেকে রাত ৮.০০টার মধ্যে ঝিঙে ফুলের পরাগায়ন করিয়ে দিতে হবে।

চিচিঙ্গা
সন্ধ্যা ৭.০০টা থেকে রাত ৮.০০টার মধ্যে ফুটতে শুরু করে চিচিঙ্গা ফুল এবং স্ত্রী ফুল ১ থেকে ২ ঘণ্টার মধ্যে সম্পূর্ণ ফুটে যায়। পুরুষ ফুলের ফুটতে ১৯ মিনিট থেকে ৩৩ মিনিট সময় লাগে। বিকাল ৪.০০টা থেকে ৫.০০টার মধ্যে পরাগধানী ফাটতে শুরু করে এবং ৩ ঘণ্টার মধ্যে অর্থাৎ সন্ধ্যা ৭.০০টা থেকে রাত ৮.০০টার মধ্যে পরাগরেণু উন্মুক্ত হয়। চিচিঙ্গা ফুলের কৃত্রিম পরাগায়ন সকাল ৬.০০টা থেকে সকাল ৯.০০ টার মধ্যে করতে হবে।

কাঁকরোল
কাঁকরোলের পুরুষ এবং স্ত্রী ফুল আলাদা গাছে ধরে এবং পুরুষ গাছে কুড়ি ধারনের ১৫দিন পরে ফুল ফোটে এবং স্ত্রী গাছে ফোটে ১০ দিন পর। তাই পুরুষ গাছ আগে লাগাতে হয়। কাঁকরোল পুরুষ ফুল ভোর ৪.০০ টার সময় ফুটতে শুরু করে। স্ত্রী ফুল সকাল ৬.০০টা থেকে ৬.২০টার মধ্যে ফুটতে শুরু করে। সকাল ৫.০০টা থেকে ৬.০০টার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ফুল ফোটে। ফুল ফোটার ১২ ঘণ্টার মধ্যে পরাগায়ন করলে ৬৪% পর্যন্ত ফল ধারণ করে। ১২ ঘণ্টার উপরে গেলে ফল ধারণ ১৭% এর নিচে চলে আসে। এজন্য ফুল ফোটার সাথে সাথে পরাগায়ন করে দিতে হবে।

মিষ্টি কুমড়া
মিষ্টি কুমড়া ফুল ভোর ৩.০০টা থেকে ভোর ৪.০০টা পর্যন্ত ফুটতে শুরু করে এবং ভোর ৫.০০টা থেকে ৬.০০ টার মধ্যে সর্বোচ্চ ফুল ফোটে। ফুল সাধারণত ৩ ঘণ্টা ৩০ মিনিট ফুটন্ত অবস্থায় থাকে। ফুটন্ত ফুল সকাল ৮.০০টা থেকে বন্ধ হওয়া শুরু করে এবং ১১.০০টার মধ্যে সম্পূর্ণ ফুল বন্ধ হয়ে যায়। এজন্য মিষ্টি কুমড়ার কৃত্রিম পরাগায়ন সকাল ৮.০০টার মধ্যে করতে হবে।

চাল কুমড়া
চাল কুমড়ার পুরুষ ফুল সাধারণত ভোর ৪.৩৩টা থেকে ভোর ৪.৪৫টা নাগাদ ফুটতে শুরু করে এবং ২০ মিনিট থেকে ৩০ মিনিট এর মধ্যে  সম্পূর্ণ ফুল ফুটে যায়। স্ত্রী ফুল ভোর ৪.২০টা থেকে ভোর ৪.৩০টা নাগাদ ফুটতে শুরু করে এবং ২০ মিনিট থেকে ২৫ মিনিট এর মধ্যে  সম্পূর্ণ ফুল ফুটে যায়। পরাগধানী সাধারণত রাত ১.৪৫টা থেকে ২.৪০টা এর মধ্যে ফাটতে শুরু করে এবং গর্ভমুন্ডের ধারণক্ষমতা ফুল ফোটার ৬ ঘণ্টা আগে থেকে শুরু করে ১৬ ঘণ্টা পর পর্যন্ত সক্রিয় থাকে। পরাগরেণু ফুল ফোটার ২০ ঘণ্টা পর পর্যন্ত সজীব থাকে। চাল কুমড়ার   কৃত্রিম পরাগায়ন সকাল ৯.০০টার মধ্যে করতে হয়।

সতর্কতা 
কৃত্রিম পরাগায়নের ক্ষেত্রে যে বিষয়টি খেয়াল রাখতে হবে সেটি হচ্ছে পুরুষ এবং স্ত্রী ফুল দুটি যেন একই সময় ফুটেছে এমন ফুল নির্বাচন করা হয়। বড় ক্ষেত হলে স্প্রে মেশিনে পানি নিয়ে পরাগরেণু মিশিয়ে স্প্রে করা অথবা ড্রপার দিয়ে ফুলে পানির ফোটা দেয়া। তাহলে ফল ধারণ বৃদ্ধি পাবে। এছাড়া যদি ১০ লিটার পানিতে ২০ গ্রাম পাথুরে চুন এবং ৩ গ্রাম বোরন সার মিশিয়ে পরপর ৩ দিন বিকালে গাছের গোড়া থেকে আগা পর্যন্ত সম্পূর্ণ ভিজিয়ে দেয়া হয় তাহলে পুরুষ ফুলের সংখ্যা কমে যাবে স্ত্রী ফুলের সংখ্যা বেড়ে যাবে এবং ফলন বৃদ্ধি পাবে।

কাজেই আমরা যদি সঠিক সময় নির্ধারণ করে কুমড়াগোত্রের ফসলগুলোর কৃত্রিম পরাগায়ন করতে পারি তাহলে অধিক ফলন পাবো

**** এই গাছ ,সার এবং কীটনাশক কিনতে চাইলে যোগাযোগ করুন SIMPLE PLANT SOLUTION ৮২৯৬৫৯০৬৬৩ নম্বরে *****




November 1, 2022

Polash Gach পলাশ গাছের সম্পূর্ণ পরিচর্যা

Polash Gach পলাশ গাছের সম্পূর্ণ পরিচর্যা 
পলাশ গাছ খুব কষ্ট সইতে পারে। লোনা, শুষ্ক ও রুক্ষ মাটিতেও পলাশ একপ্রকার বিনা যত্নেই ফুল দেয়। ফুল ফোটার সময় সাধারণত গাছে কোনো পাতা থাকে না।


মাটি : বাগানের সাধারণ মাটি ১ ভাগ + নদীর সাদা বালি ১ ভাগ ( সাদা বালি না থাকলে কনস্ট্রাকশন এর লাল বালি ব্যবহার করা যাবে ) + ১ ভাগ ভার্মি কম্পোস্ট ভালো করে মিশিয়ে এর সাথে ১০-১২ ইঞ্চি টব এর ক্ষেত্রে ১ চা চামচ সিঙ্গেল সুপার ফসফেট + ১/২ চা চামচ পটাশ + ২ চা চামচ নিম খোল মিশিয়ে নিতে হবে ।
আরেক উপায়ে মাটি তৈরি করা যায় : ইট এর ভাটা র আশেপাশে এক প্রকার রাবিশ পাওয়া যায়, যার সাথে সমপরিমাণ ভার্মি কম্পোস্ট মিশিয়ে নিয়ে তাতে এই গাছ প্রতিস্থাপন করলে খুব ভালোভাবে এই গাছ করা যাবে।

সূর্যালোকের প্রয়োজনীয়তা : ফুল সানলাইট এ সবচেয়ে ভালো ফুল পাওয়া যায়, তাছাড়া সেমি শেড অর্থাৎ যাদের ব্যালকনিতে গাছ এবং সেখানে কোনো ডাল রোদ্দুর পায়, তবে সেই ডাল এ ফুল  হবে।
 
জলের ব্যবস্থাপনা : প্রতিস্থাপন এর পর ভরে জল দিতে হবে। তারপর মাটি একদম শুকিয়ে গেলে জল দিতে হবে ।

সার এর ব্যবস্থাপনা : প্রতি মাসে একমুঠো সর্ষে খোল গুঁড়ো মাটিতে ছড়িয়ে দিতে হবে এবং এর সাথে সপ্তাহে একবার এন পি কে ১৯-১৯-১৯ স্প্রে করতে হবে ১ লিটার জল এ ১ গ্রাম এবং মাস এ একবার মাইক্রোনিউট্রিএন্টস স্প্রে করতে হবে।
এগুলো না থাকলে আমাদের তৈরি স্পেশাল মিক্স সার গাছ এ প্রতি মাস এ দিলে এর কিছু দেওয়ার দরকার হবে না।

রোগ পোকার ব্যবস্থাপনা : (১) বেশি জল দিলে গাছের গোঁড়া পচে যায়
(২) ডাই ব্যাক এর সম্ভাবনা থাকে। তাই কোনো ডাল শুকিয়ে আসছে দেখতে পেলেই ধারালো কাচি দিয়ে কেটে ফেলতে হবে এবং ফাঙ্গিসাইড লেই করে প্রলেপ দিয়ে দিতে হবে কাটা জায়গায়
(৩) কাকা, থিটা, কনফিডার এবং সুপার সোনাটা এই চারটি কীটনাশক সংগ্রহে রাখবেন এবং প্রতি সপ্তাহে যেকোনো একটি ঘুরিয়ে ফিরিয়ে স্প্রে করলে গাছে এ কোনো পোকার আক্রমণ হবে না।

অক্টোবর নভেম্বর মাস এ এই গাছ সংগ্রহ করলে ফেব্রুয়ারি তে এই গাছে ফুল পাওয়া যাবে।

**** এই গাছ ,সার এবং কীটনাশক কিনতে চাইলে যোগাযোগ করুন SIMPLE PLANT SOLUTION ৮২৯৬৫৯০৬৬৩ নম্বরে *****