COMPLETE CARE OF PLANTS

WELCOME TO OUR BLOG
  • GO THOUGH OR WHATSAPP CATALOG

    You can get here PLANT AND OTHER PRODUCT PRICE ...

  • GO THOUGH OR FACEBOOK GROUP

    You can get here latest update of product with price...

  • GO THOUGH OR YOUTUBE CHANEL

    You can get here plant caring videos...

January 30, 2023

DALIM ডালিম গাছের সম্পূর্ণ পরিচর্যা

ছাদে টবে DALIM ডালিম গাছের সম্পূর্ণ পরিচর্যা 

বেদানা / ডালিম খুবই আকর্ষণীয়, মিষ্টি, সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর একটি ফল। ডালিমের অনেক ঔষধী গুণও রয়েছে। নিয়মিত পরিচর্যা করলে আনার গাছ থেকে সারা বছর ফল পাওয়া যাবে। ছাদ বাগানে  টবে বা ড্রামে খুব সহজেই ডালিমের তথা আনার বা বেদানার চাষ করা যায়।

টব প্রস্তুতি : 

ছাদ বাগানে ডালিম চারা লাগানোর জন্য ২০ ইঞ্চি ড্রাম অথবা টব জোগাড় করতে হবে। ড্রামের তলায় ৩-৫ টি ছিদ্র করে নিতে হবে, যাতে গাছের গোড়ায় জল জমে থাকতে না পারে। টব বা ড্রামের তলার ছিদ্রগুলো ইটের ছোট ছোট টুকরা দিয়ে বন্ধ করে দিতে হবে । টব বা ড্রামের গাছটিকে ছাদের এমন জায়গায় রাখতে হবে যেখানে সবসময় রোদ থাকে ।

মাটি প্রস্তুতি : 

ডালিম গাছের জন্যে মাটি হতে হবে বেলে দোয়াশ মাটি অর্থাৎ হে মাটিতে কাদা এবং বালির ভাগ সমান পরিমাণ।
এর জন্যে নিতে হবে ২ ভাগ সাদা বালি , এর সাথে ১ ভাগ সাধারণ বাগানের মাটি, ১ ভাগ ভার্মি কম্পোস্ট বা ১ বছরের পুরনো পচানো গোবর সার বা এক বছরের পচানো পাতা পঁচা সার, এগুলি ভালো করে মিশিয়ে এর সাথে ১ ভাগ কোকোপিট মেশাতে হবে অর্থাৎ মাটি : বালি : কম্পোস্ট : কোকোপিট = ১:২:১:১
এই মাটির মিশ্রণের সাথে ডি এ পি ৪০-৫০ গ্রাম, লাল পটাশ ৪০-৫০ গ্রাম এবং ২০০ গ্রাম হাড়ের গুড়া একত্রে মিশিয়ে ড্রাম বা টবে জল দিয়ে ১০-১২ দিন রেখে দিতে হবে। তারপর মাটি কিছুটা খুচিয়ে  আলগা করে দিয়ে আবার ৪-৫ দিন আগের মতো একইভাবে রেখে দিতে হবে। মাটি যখন ঝুরঝুরে হবে তখন একটি সবল সুস্থ কলমের চারা সেই টবে রোপণ করতে হবে। চারা রোপণের সময় গাছের গোড়া মাটি থেকে কোনভাবে আলাদা হওয়া যাবে না। চারা গাছটিকে সোজা করে সঠিকভাবে রোপণ করতে হবে। তারপর গাছের গোড়ায় মাটি কিছুটা উঁচু করে হাত দিয়ে মাটি চেপে চেপে দিতে হবে। ফলে গাছের গোড়া দিয়ে পানি বেশি ঢুকতে পারবে না। একটি সোজা চিকন লাঠি দিয়ে গাছটিকে বেধে দিতে হবে। চারা রোপণের শুরুর দিকে জল অল্প দিলেই চলবে। পরে ধীরে ধীরে পানি দেওয়া বাড়াতে হবে। তবে গাছের গোড়ায় পানি জমতেও দেওয়া যাবে না। 
ভার্মি কিনতে এই লিংকে ক্লিক করুন : ভার্মি কিনুন
কোকোপিট কিনতে এই লিংকে ক্লিক করুন : কোকোপিট কিনুন

ডালিম গাছ কোথায় রাখা উচিত : 

ডালিম গাছ যেন ৮-১০ ঘণ্টা সরাসরি সূর্যের আলো পায় এমন জায়গায় রাখতে হবে।

ডালিম গাছে সার প্রয়োগ : 

গাছ প্রতিস্থাপন এর ২-৩ মাস পর সার দেওয়া শুরু করতে হবে ।
(ক) ৪ মুঠো সর্ষে খোল গুড়ো + ৪ চা চামচ হাড় গুঁড়ো প্রতি ২০ ইঞ্চি ড্রাম এর জন্যে মাসে একবার। সার দেওয়ার আগে মাটি ভিজিয়ে রাখতে হবে। সার দেওয়ার দিন মাটি ভালো করে খুষে নিয়ে সার দিয়ে জল দিতে হবে।
(খ) ১ চা চামচ ইউরিয়া + ১ চা চামচ সিঙ্গেল সুপার ফসফেট + ১ চা চামচ এস ও পি ভালো করে মিশিয়ে ১৫ দিন অন্তর দিতে হবে।
(ক) নম্বর সার প্রয়োগের ৩০ দিন পরে (খ) নম্বর সার প্রয়োগ করে, তার আবার ১৫ দিন পরে (ক) এবং তার ৩০ দিন পর (খ), এভাবে চলতে থাকবে।

এক বছর পর টবের আংশিক মাটি পরিবর্তন করে দিতে হবে। প্রস্থে ২ ইঞ্চি এবং গভীরে ৬ ইঞ্চি শিকড়সহ  টব বা ড্রামের মাটি ফেলে দিয়ে নতুন সার মিশ্রিত মাটি দিয়ে পুনরায় টব বা ড্রাম  ভরে দিতে হবে। মাটি পরিবর্তনের এই কাজটি সাধারণত বর্ষার শেষে এবং শীতের আগে করাই উত্তম। ১০-১৫ দিন পর পর টব বা ড্রামের মাটি কিছুটা খুঁচিয়ে দিতে হবে।

ডালিম চাষে আগাছা দমন : 

ডালিম গাছের গোড়ায় কোন প্রকার আগাছা যেন লেগে না থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। এজন্য নিয়মিতভাবে আগাছা পরিষ্কার করতে হবে। কেননা ডালিমের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন চাষাবাদ না হলে গাছ রোগাক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।

জল এর ব্যবস্থাপনা : ডালিম গাছে নিয়মিত জল দিতে হবে যাতে গাছের মাটি সম্পূর্ণ শুকিয়ে না যায়।

ডালিম গাছের ডাল ছাটাই

ছাদের ডালিম তথা আনার গাছের ডাল নিয়মিত ছাটাই করতে হবে । ডালিম গাছের পুরাতন ডালের নতুন শাখায় ফুল আসে। পুরাতন ডালে নতুন শাখা বের করার জন্যই ডাল পালা ছাটাই করা প্রয়োজন। এছাড়াও আনার গাছের শিকড় থেকে বের হওয়া সাকারও ছেঁটে দেওয়া প্রয়োজন।

ডালিম গাছের শিকড় ছাঁটাই : 

ডালিম গাছে সারা বছরই ফুল ও ফল হয়ে থাকে। সাধারণত বসন্তে এবং বর্ষার সময় গাছে বেশি ফুল ধরে। বসন্তের ফুল থেকে গ্রীষ্মকালে ফল পাওয়া যায় এবং এর গুণাগুণ খুবই নিম্নমানের হয়ে থাকে। কিন্তু বর্ষার ফুল থেকে প্রাপ্ত ফল অক্টোবর-নভেম্বরে সংগ্রহ করা যায়, যার গুণগত মান খুবই ভালো হয়। তাই অসময়ে তথা বর্ষায় গাছে ফুল আসার জন্য মার্চ-এপ্রিল মাসে ১৫ সেমি.গভীর করে মাটি খুঁড়ে শিকড়গুলোকে ১৫ দিন উন্মুক্ত করে রাখাতে হবে। পরবর্তীতে জৈব সারসহ মাটি চাপা দিয়ে সেচ প্রয়োগ করতে হবে।

ডালিমের রোগবালাই ও প্রতিকার :


ডালিমের প্রজাপতি বা ফলছিদ্রকারী পোকা : 

ডালিম ফলের মারাত্মক শত্রু পোকা হচ্ছে ডালিমের প্রজাপতি বা ফলছিদ্রকারী পোকা, যা ফলের ক্ষতি করে থাকে। এই পোকা দ্বারা আক্রান্ত ফলে ছত্রাক ও ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ হতে পারে।

প্রতিকার :

(ক) আক্রান্ত ফল গাছ থেকে পেড়ে বা মাটিতে পড়ে থাকা  আক্রান্ত ফল কুড়িয়ে নষ্ট করে ফেলতে হবে।
(খ) গাছে ফল ধরার পর ফলের বৃদ্ধি শুরু হলে কাপড় বা পলিথিন বা কাগজ দিয়ে ফল ব্যাগিং করে দিলে এ পোকার আক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।
(গ) এছাড়া প্রতি লিটার জলে ৫ ফোঁটা কনফিডর, তার ৪-৫ দিন পরে ১ লিটার জলে ৩০ ফোঁটা কাকা, তার ৪-৫ দিন পরে ১ লিটার জলে ৩০ ফোঁটা টাফগর এবং তার এক সপ্তাহ পরে ১ লিটার জলে ১ গ্রাম ফাঙ্গীসাইড SAAF মিশিয়ে গাছে এবং ফলে  স্প্রে (SPRAYER BOTTLE ) করতে হবে।

কাণ্ড ছিদ্রকারী পোকা :  

কাণ্ড ছিদ্রকারী পোকার আক্রমণ সাধারণত পরিচর্যাবিহীন গাছে দেখা যায়। এই পোকার শূঁককীট রাতের বেলা কাণ্ড ও শাখার ছাল ছিদ্র করে ভেতরে প্রবেশ করে এবং ভেতরের অংশ খেতে থাকে। দিনের বেলা ডালের গর্তের মধ্যে এই শূঁককীট লুকিয়ে থাকে ও বর্জ্য পদার্থ ত্যাগ করে। কাণ্ড বা শাখায় ছোট ছোট ছিদ্র বা বর্জ্য পদার্থ দেখে এ পোকার আক্রমণ লক্ষ করা যায়।

প্রতিকার : 

(ক) গর্তের মধ্যে সরু তার ঢুকিয়ে পোকার কীড়াকে খুঁচিয়ে মারার ব্যবস্থা করতে হবে।

(খ) গর্ত থেকে এ পোকার কীড়ার বর্জ্য পদার্থ পরিষ্কার করে গর্তে ইনজেকশনের সিরিঞ্জ বা তুলার সাহায্যে কেরোসিন বা পেট্রোল ঢুকিয়ে কাদা দিয়ে গর্ত বন্ধ করে দিলে পোকা মারা যাবে।

রস শোষণকারী পোকা : 

ছাতরা পোকা, সাদা মাছি, শুল্ক বা আঁশ পোকা, থ্রিপস, জাব পোকা ও মাকড় ডালিমের রস শোষণকারী পোকা হিসেবে বিবেচিত। এসব পোকার আক্রমণে পাতা, মুকুল, ফুল ও ছোট ফল ঝরে পড়ে। সাদা মাছি ও জাব পোকা পাতা ও কচি ডগার রস চুষে খায়। ফলশ্রুতিতে আক্রান্ত অংশ বিবর্ণ ও বিকৃত হয়ে যায়। এছাড়া এসব পোকার দেহ থেকে এক ধরনের মধু নিঃসৃত হয়, যা পাতায় লেগে থাকে। পরবর্তীতে পাতার গায়ে এই নিঃসৃত মধুর ওপর এক প্রকার ছত্রাক জন্মায়। ফলে গাছের খাদ্য তৈরি প্রক্রিয়া বিঘ্নিত হয়। মাকড় ও থ্রিপস পোকা পাতা, ফুলের বোঁটা, বৃতি ও দলমণ্ডলের অংশ ক্ষত করে এবং ক্ষত থেকে বের হওয়া কোষরস খায়। ফলে পাতার আগা কুঁকড়ে যায় এবং ফুল ঝরে যাওয়ায় ফলধারণ বাধাপ্রাপ্ত হয়।

প্রতিকার : 

(ক) ছাতারা পোকা ও শুল্ক পোকার কীট দমনের জন্য আক্রমণের প্রথম দিকে আক্রান্ত অংশ কেটে পুড়িয়ে ফেলতে হবে। এর পর প্রতি লিটার পানিতে ১ মিলি হারে ডায়াজিনন দলীয় কীটনাশক পানিতে মিশিয়ে গাছে স্প্রে করতে হবে।

(খ) জাব পোকা বা সাদামাছি দমনের জন্য প্রতি লিটার পানিতে ১ মিলি হারে ডাইমেথয়েট (টাফগর ) অথবা ০.৫ মিলি হারে ইমিডাক্লোপ্রিড ( কনফিডর ) দলীয় কীটনাশক পানিতে মিশিয়ে ১০-১২ দিন পর পর গাছে দুই বার স্প্রে করতে হবে।

(গ) মাকড় দমনের জন্য প্রতি লিটার পানিতে ১.২৫ মিলি হারে ভার্টিমেক/ সানমেক্টিন এবং ২ গ্রাম হারে সালফার ছত্রাকনাশক পানিতে মিশিয়ে গাছে স্প্রে করতে হবে।

ফলের দাগ রোগ : 

এই রোগ ছত্রাকজনিত কারণে হয়ে থাকে। ফল গাছ এ রেগে আক্রান্ত হলে  আক্রান্ত ফলের ওপর অনেক ছোট ও অনিয়মিত দাগ পড়ে। এই দাগগুলোর চারিদিকে সবুজ হলদে দাগ থাকে। পরবর্তীতে দাগগুলো লম্বা দাগে পরিণত হয়। ফলের খোসার নিচের বীজগুলো বাদামি বর্ণের হয়ে যায়।

প্রতিকার :   

রোগাক্রান্ত অংশ কেটে পুড়িয়ে ফেলতে হবে। প্রতি লিটার পানিতে ২ গ্রাম হারে মেনকোজেব (এম ৪৫) বা ১ গ্রাম হারে কার্বান্ডিজম( bavistin) ছত্রাকনাশক পানিতে মিশিয়ে ৮-১০ দিন পর পর গাছের আগা থেকে গোড়া পর্যন্ত ২-৩ বার ভালোভাবে স্প্রে করতে হবে।

ফল পচা রোগ : 

ছত্রাকজনিত এই রোগটি সাধারণত বর্ষাকালে দেখা যায়। এ রোগের জীবাণু দিয়ে ফুল আক্রান্ত হলে ফলধারণ বাধাপ্রাপ্ত হয় এবং কচি ফল ঝরে যায়। ফলের গায়ে, বিশেষ করে বোঁটায় হলদে বা কালো দাগ দেখে এ রোগের আক্রমণ বোঝা যায়। এই রোগের আক্রমণে ফলের খোসা কুঁচকে যায় ও ফলের ওজন কমে যায়। আক্রান্ত ফল কাঁচা থাকে, আকার ছোট হয় এবংফলের উজ্জ্বলভাব নষ্ট  হয়ে যায়। পরবর্তীতে ফল নরম হয়ে পচে যায়।

প্রতিকার : 

ফল পচা রোগের প্রতিকার ফলের দাগ রোগের প্রতিকারের অনুরূপ।

ফল ফেটে যাওয়া :  

ডালিমের ফল ফেটে যাওয়া একটি মারাত্মক সমস্যা। এটি কোন ছত্রাকজনিত রোগ নয়। এটি সাধারণত পুষ্টি উপাদানের অভাবজনিত কারণে বা মাটিতে রসের তারতম্যের কারণে হয়ে থাকে। ফলের বৃদ্ধির সময় শুকনো আবহাওয়ায় মাটিতে রসের অভাব দেখা দিলে ফলের বৃদ্ধি বাধাপ্রাপ্ত হয়। এজন্য ফলের ত্বক শক্ত হয়ে যায়। এরপর হঠাৎ বৃষ্টি হলে মাটিতে রসের আধিক্য ঘটলে ফলের ভেতরের অংশ দ্রুত গতিতে বৃদ্ধি পায়। যার কারণে ভেতরের চাপ সহ্য করতে না পেরে ফলের খোসা ফেটে যায়।

প্রতিকার :

(ক) ডালিম গাছে ফল ধরার পর থেকে গাছে ঘন ঘন জল দিতে হবে।

(খ) মাটিতে বোরনজনিত সার প্রতি গাছে ৪০ গ্রাম হারে মাটিতে প্রয়োগ করতে হবে।

(গ) ফলের বৃদ্ধির সময় সলুবর বোরন ২ গ্রাম/লিটার জল মিশিয়ে ৭-১০ দিন পর পর  ফলে ও গাছে ভালোভাবে স্প্রে করতে হবে।

(ঘ) তাছাড়া ডালিমের যেসব জাতে ফল ফাটা সমস্যা নেই সেসব জাতের ডালিমের চাষাবাদ করতে হবে।

বোরন কিনতে এই লিংকে ক্লিক করুন : বোরন কিনুন

ফল সংগ্রহ : 

আনারের কলমের গাছে ৩-৪ বছর থেকেই ফলন দেওয়া শুরু হয়। ফুল আসার পর থেকে ফল পাকা পর্যন্ত ৬ মাস সময় লাগে। পরিপুষ্ট ফলের খোসার রঙ হলদে বাদামি হয়ে এলেই ফল পাড়াতে হবে। গাছে ফল বেশি দিন রেখে দিলে ফল ফেটে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। যেসব গাছে ফল ফেটে যাওয়ার প্রবণতা থাকে সেসব গাছের ফল পুষ্ট হওয়ার কিছু আগেই পেড়ে নেওয়ায় উত্তম। তবে অপুষ্ট ফলের স্বাদ ও গুণাগুণ খুব একটা ভালো হয় না। ডালিমের খোসা বেশ শক্ত এজন্য পাকা ফল অনেক দিন সংরক্ষণ করা যায় ।

ফলন : 

ডালিম গাছ  সাধারণত চার-পাঁচ বছর বয়স থেকেই ফল দিতে শুরু করে। তবে শুরুর দিকে ফলন তেমন একটা আশানুরূপ হয় না। সাধারণত ৮-১০ বছর বয়স থেকে ডালিম গাছ ভালো ফলন দিয়ে থাকে। প্রথম ফল ধরার সময় গাছপ্রতি ২০-২৫ টির বেশি ফল পাওয়া যায় না। বয়স বাড়ার সাথে সাথে ফলন বাড়তে থাকে। দশ বছর বয়সের গাছে গড়ে ১০০-১৫০ টি ফল ধরে। তবে ভালো পরিচর্যা নিলে গাছপ্রতি ২০০-২৫০ টি ফল পাওয়া যেতে পারে। একটি ডালিম গাছ ত্রিশ বছর পর্যন্ত লাভজনক ফলন দিতে পারে।


**** এই গাছ ,সার এবং কীটনাশক কিনতে চাইলে যোগাযোগ করুন SIMPLE PLANT SOLUTION ৮২৯৬৫৯০৬৬৩ নম্বরে *****

January 29, 2023

বুগেনভেলিয়া গাছের ফেব্রুয়ারী মাসের পরিচর্যা

বুগেনভেলিয়া গাছের ফেব্রুয়ারী মাসের পরিচর্যা 

সার এর ব্যবস্থাপনা :

জানুয়ারি মাসে প্রচুর ফুল পাওয়ার পর ফেব্রুয়ারি মাসে কিভাবে বুগেনভেলিয়া গাছের পরিচর্যা করতে হবে আসুন জেনে নেওয়া যাক।
সার দেওয়ার আগেরদিন রাতে গাছের মাটি ভিজিয়ে পরের দিন ভোরবেলা ১/২ টেবিল চামচ সিঙ্গেল সুপার ফসফেট ( বা ফসফেট এর পরিবর্তে ১.৫ চা চামচ হাড় গুঁড়ো) টবের মাটিতে ছড়িয়ে দিয়ে জল দিয়ে দিতে হবে।
এর সাথে নিচের লিংকে দেওয়া লেখায় একটি স্পেশাল তরল সার এর সম্পর্কে বলা হয়েছিল, সেটা দিলে খুব ভালো রেজাল্ট পাওয়া যাবে।

রোগ পোকার ব্যবস্থাপনা :

ফুল আসার পর কোনো পেস্টিসাইড , ফাঙ্গীসাইড, গ্রোথ রেগুলেটর দেওয়ার প্রয়োজন নেই। তরল সার প্রয়োগ করলে আবারও নতুন কচি পাতা আসবে, সাথে ফুল আসবে। মার্চ মাসে গ্রোথ রেগুলেটর প্রয়োগ করতে হবে। 

ফুল ঝরে যাওয়া সমস্যা : 

গাছ এ ফুল ঝরে যাওয়ার দুটি কারণ :
(১) মাটিতে ফসফেট এর অভাব
(২) গাছে ফুল এলে মাটি সবসময় ভিজে ভিজে (moist) রাখতে হবে, কাঁদা কাঁদা নয়,  এটা না করার জন্যেও ফুল ঝরে যায়।

**** এই গাছ ,সার এবং কীটনাশক কিনতে চাইলে যোগাযোগ করুন SIMPLE PLANT SOLUTION ৮২৯৬৫৯০৬৬৩ নম্বরে *****




January 5, 2023

মিনিএচার গোলাপ এর সম্পুর্ণ পরিচর্যা

মিনিএচার গোলাপ এর মাটি প্রস্তুতি এবং সম্পুর্ণ পরিচর্যা

মাটি :  এই গোলাপ এর উপযুক্ত মাটি হলো ভারী দোয়াঁশ মাটি। এই মাটি প্রস্তুত করতে আমাদের নিতে হবে ২ ভাগ এঁটেল মাটি + ১ ভাগ নদীর সাদা বালি + ১ ভাগ ভার্মি কম্পোস্ট + ১ ভাগ কোকোপিট ( কোকোপিট অবশ্যই নিতে হবে ) । এইভাবে এই উপকরণগুলো ভালো করে মিশিয়ে এর সাথে মেশাতে হবে ১ মুঠো খড়িমাটি + ১ টেবিল চামচ সিঙ্গেল সুপার ফসফেট + ১ চা চামচ হাড় গুঁড়ো
আলোর ব্যবস্থাপনা : এই গাছ অবশ্যই সরাসরি সূর্যের আলোতে সবচেয়ে ভালো ফুল দেয়, কিন্তু সেই সাথে এই গোলাপ সেমি শেড এও খুব ভালো ভাবে ফুল দেয়। তাই, যারা ব্যালকনিতে গোলাপ গাছ করতে চান, কিন্তু আলোর অভাবে এই সখ পূরণ করতে পারেন না, সেই সকল মানুষ এই গোলাপ করতে পারেন।
 জলের ব্যবস্থাপনা : এই গাছ এর মাটি যেনো শুকিয়ে না যায় সেদিকে নজর রাখতে হবে। এই গাছ সবসময় মাটি ভেজা ভেজা ভাব ( moist) পছন্দ করে।

সার এর ব্যবস্থাপনা : প্রতিস্থাপন এর ১৫-২০ দিন পরে ডি.এ.পি. ২ চা চামচ + ১ মুঠো সর্ষে খোল গুড়ো দিতে হবে এবং এই একই খাবার আবার ৩০ দিন পর দিতে হবে, অর্থাৎ প্রথম দুবার এই খবর দিতে হবে। এর পর থেকে মাস অনুযায়ী খাবার এর ব্যবস্থাপনা করতে হবে, যা আমার পরবর্তী ব্লগ এ আলোচনা করা হবে।
প্রতিবার খাবার দেওয়ার সময়ে চক্রখাল ( অর্থাৎ টব এর কিনারা বরাবর অনেকটা মাটি তুলে খাবার দিয়ে সেই মাটি চাপান দিতে হবে) করে খাবার দিতে হবে ।
খাবার দেওয়ার আগের দিন গাছ এর মাটি ভিজিয়ে রাখতে হবে, খাবার দিয়ে ভরপুর জল দিয়ে এবং তারপর পরপর ৩ দিন অবশ্যই ভরপুর জল দিতে হবে। 

*** এই গাছ এ গরম এর সময় মাটি মালচিং করতে হবে ভার্মি কম্পোস্ট দিয়ে। 

**** এই গাছ ,সার এবং কীটনাশক কিনতে চাইলে যোগাযোগ করুন SIMPLE PLANT SOLUTION ৮২৯৬৫৯০৬৬৩ নম্বরে *****


কালো, সাদা এবং হলুদ গোলাপের মাটি প্রস্তুতি

কালো, সাদা এবং হলুদ গোলাপের মাটি প্রস্তুতি 

এই ৩রকম গোলাপ এর মাটি প্রস্তুত করতে হবে প্রতিস্থাপনের ১ মাস আগে থাকতে।
২ ভাগ এঁটেল মাটি + ১ ভাগ সাদা বালি  মিশিয়ে টব (১০-১২ ইঞ্চি) ভর্তি করতে হবে । এর সাথে ৫০০ গ্রাম ভার্মি কম্পোস্ট + ৫ গ্রাম সিঙ্গেল সুপার ফসফেট + ৫ গ্রাম কাঠের ছাই মিশিয়ে আবারও টব টি ভর্তি করতে হবে। এর পর ওই টব ভর্তি মিশ্রণ এ ভালো করে জল দিতে হবে যাতে সম্পূর্ণ মাটি ভিজে যায়। 
এই মাটি একমাস ছাওয়াতে রাখতে হবে এবং প্রতি ১০ দিন অন্তর টব উল্টে মাটি বের করে ভালো করে ছড়িয়ে ৪-৫ ঘণ্টা পর আবার টবে ভর্তি করে রাখতে হবে এবং প্রথম ১০ দিন পর কোনো জল না দিয়ে দ্বিতীয় বার, অর্থাৎ ২০ দিন এর পর টব এর মাটি ছড়িয়ে রেখে হালকা জল দিয়ে ভিজে ভিজে করে ৪-৫ ঘণ্টা রেখে আবার টব এ ভর্তি করে রাখতে হবে ছাওয়াতে। তার ১০ দিন পর অবশেষে টব থেকে মাটি বের করে ছড়িয়ে রাখার আগে এই মাটির সাথে মেশাতে হবে ২৫০ গ্রাম কোকোপিট , মিশিয়ে ২-৩ ঘণ্টা ছায়াতে মাটি ছড়িয়ে রেখে এরপর এই মাটিতে গাছ প্রতিস্থাপন করতে হবে।
প্রতিস্থাপন এর ২-৩ দিন আগে থাকতে এই গাছ এ জল দেওয়া বন্ধ রাখতে হবে।

**** এই গাছ ,সার এবং কীটনাশক কিনতে চাইলে যোগাযোগ করুন SIMPLE PLANT SOLUTION ৮২৯৬৫৯০৬৬৩ নম্বরে *****



 

গোলাপ এর মাটি প্রস্তুতি

 গোলাপ এর মাটি প্রস্তুতি (কালো, হলুদ এবং সাদা বাদে )

গোলাপ গাছ কেনার উপযুক্ত সময় নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি। গাছ বছরের যেকোনো সময়ই কেনা যায়, তবে এই সময় গাছ এর ফুল দেখে এবং সাস্থ্য দেখে কেনা যায়। আর বছরের যেকোনো সময়ে যেকোনো গাছ প্রতিস্থাপন করা যায়, তবে কাটাই ছাঁটাই এর সময় প্রতিটা গাছ এর আলাদা আলাদা। বিশেষত যে গাছ এ যেই সময় ফুল ফল আসে, সেই মরসুম আসার আগেই কাটাই ছাঁটাই করা উচিত।তাতে নতুন কচি ডাল আসে, সাথে ফুলে ফলে গাছ ভরে ওঠে।

গোলাপ এর মাটি বিভিন্ন উপায়ে প্রস্তুত করা যায় । সেগুলির মধ্যে কয়েকটি বিশেষ মাটি প্রস্তুত-এর আলোচনা করা হচ্ছে ।

(ক) ১ ভাগ ভার্মি কম্পোস্ট এর সাথে ১ ভাগ সাধারণ বাগানের মাটি, ১ ভাগ সাদা বালি ( silver sand বা horticultural sand) , ১/২ ভাগ কোকোপিট ভালো করে মিশিয়ে চালুনি দিয়ে চেলে নিতে হবে। এর পর এই মিশ্রণের সাথে ৮"-১০" টব প্রতি ১ চা চামচ সিঙ্গেল সুপার ফসফেট এবং ১ চা চামচ খরিমাটি মিশিয়ে নিয়ে গোলাপ এর মাটি প্রস্তুতি শেষ হবে ।

(খ) এই প্রক্রিয়াতে জোগাড় করতে হবে ইটভাটা থেকে লালমাটি। 
১ ভাগ এই লালমাটি + ১ ভাগ ভার্মি কম্পোস্ট + ১ ভাগ কোকোপিট ভালো করে মিশিয়ে গোলাপ এর উপযুক্ত এবং খুবই ভালো একটি মিডিয়া তৈরি করে নেওয়া যায়।

(গ) এক্ষেত্রে নিতে হবে ১ টব এঁটেল মাটি ( সাধারণ বাগানের মাটি) + ১ টব ভার্মি কম্পোস্ট + ১ টব হলুদ বালি 
** এই হলুদ বালি মশারী দিয়ে ভালো করে ছেঁকে নিতে হবে।
এই ৩টি উপকরন ভালো করে মিশিয়ে এর সাথে এই ৩ টব এর জন্যে ৩ টেবিল চামচ খরিমাটি + ৩ চা চামচ সিঙ্গেল সুপার ফসফেট + ৩ চা চামচ অ্যাগ্রমিন গোল্ড দানা মিশিয়ে নিতে হবে ( অ্যাগ্রমিন গোল্ড না থাকলে অসুবিধা নেই)।

এই ৩ ভাবে গোলাপ এর মাটি প্রস্তুত করা যায়। প্রতি ক্ষেত্রেই প্রতিস্থাপন এর পর ৫ দিন ছাওয়া তে গাছ রেখে তারপর থেকে সরাসরি সূর্যের আলোতে রাখতে হবে।
*** এই ভাবে তৈরি মাটিতে মিনিএচার গোলাপ, কালো গোলাপ, হলুদ গোলাপ এবং সাদা গোলাপ প্রতিস্থাপন করা যাবে না । এই ধরনের মাটি তৈরির লিংক গুলো দিয়ে দেওয়া হলো নিচে

**** এই গাছ ,সার এবং কীটনাশক কিনতে চাইলে যোগাযোগ করুন SIMPLE PLANT SOLUTION ৮২৯৬৫৯০৬৬৩ নম্বরে *****