COMPLETE CARE OF PLANTS

WELCOME TO OUR BLOG
  • GO THOUGH OR WHATSAPP CATALOG

    You can get here PLANT AND OTHER PRODUCT PRICE ...

  • GO THOUGH OR FACEBOOK GROUP

    You can get here latest update of product with price...

  • GO THOUGH OR YOUTUBE CHANEL

    You can get here plant caring videos...

April 30, 2022

Mandevilla ম্যান্ডেভিলা গাছের পরিচর্যা

Mandevila ম্যান্ডেভিলা গাছ 
অত্যন্ত সুন্দর লতানো গাছের ফুল এই ম্যান্ডেভিলা । 
🟡 সারা পৃথিবীতে এর প্রায় ২০০ টি মত প্রজাতি থাকলেও ভারতবর্ষ এবং বাংলাদেশের মত এলাকায় ফুল ফোটে মাত্র ৭ - ৮ টি প্রজাতির । 
🟢 প্রায় সারাবছর ফুল পাওয়া যায় বলে এই গাছটি বর্তমানে সমস্ত গাছ প্রেমী মানুষদের কাছেই খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে ।
এই গাছটি ব্রাজিলিয়ান জুঁই নামেও পরিচিত।
এই গাছের পরিচর্যা জেনে নেওয়া যাক।

টব বাছাই : এই গাছ এর জন্য উপযুক্ত টব ১০-১২ ইঞ্চি বা তার চেয়ে বড়ো

মাটি : সাধারণ বাগানের মাটি ২ ভাগ + ১ ভাগ নদীর সাদা বালি ( Silver Sand ) + ১ ভাগ ভার্মি কম্পোস্ট বা গোবর সার (১+ বছরের পুরনো) বা পাতা পচা সার ( ১+ বছরের পুরনো) + ১/২ ভাগ কোকোপিট বা ধানের কুঁড়া + ২ চা চামচ সিঙ্গেল সুপার ফসফেট + ১ চা চামচ এস ও পি (SOP) মিশিয়ে মাটি তৈরি করতে হবে।
প্রতিস্থাপন এর পর ২-৩ দিন ছায়া তে রেখে তারপর প্রয়োজন অনুসারে রোদ এ আনতে হবে।

সূর্যালোক : এই গাছ সারাদিন সূর্যের আলো পায় এমন স্থান এ সবথেকে ভালো ফুল দেয়, তাছাড়া সেমি শেড বা যেখানে বেলা ১০-১১ টা পর্যন্ত পর্যাপ্ত আলো পায় সেখানেও সুন্দর ভাবে বেড়ে ওঠে এবং প্রচুর ফুল প্রদান করে।

জল এর ব্যবস্থাপনা : এই গাছ ভিজে ভিজে ভাব (MOIST) পছন্দ করে, কিন্তু গাছ এর মাটি তে জল যেন না জমে থেকে সেটা খেয়াল রাখতে হবে।

খাবার এর ব্যবস্থাপনা : এই গাছ খাদ্য প্রিয়। মাস এ দুবার এন পি কে ১৯-১৯-১৯ নিতে হবে ১ গ্রাম, এবং ১ লিটার জল এ দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে । এর সাথে
২০ দিন অন্তর ২ চা চামচ সিঙ্গেল সুপার ফসফেট + ১ চা চামচ এস ও পি মাটির চারিদিকে ছড়িয়ে দিতে হবে।
মাস এ দুবার মাইক্রোনিউট্রিএনটস (MICRONUTRIENTS) স্প্রে করতে হবে।

রোগ পোকা : রোগর ,কনফিডোর, কাকা, সুপার সোনাটা এগুলি নিয়মিত ঘুরিয়ে ফিরিয়ে স্প্রে করতে হবে।

**** এই গাছ ,সার এবং কীটনাশক কিনতে চাইলে যোগাযোগ করুন SIMPLE PLANT SOLUTION ৮২৯৬৫৯০৬৬৩ নম্বরে *****



এই গরমে বাড়ি ঠান্ডা রাখতে বাড়ির ভেতরে রাখুন এই গাছ গুলি

এই গরমে বাড়ি ঠান্ডা রাখতে বাড়ির ভেতরে রাখুন এই গাছ গুলি

গরমের দাবদাহে মানুষ নাজেহাল। তাপমাত্রার পারদ ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী। এই পরিস্থিতিতে বেশিরভাগ বাড়িতে এখন কুলার ই প্রধান ভরসা। কিন্তু এই কুলার ব্যবহারের বড় সমস্যা হল মাসের শেষে মোটা অংকের ইলেকট্রিক বিল। তবে আজ আমরা এই প্রতিবেদনের মাধ্যমে আপনাদের এই গরম থেকে রেহাই পাওয়ার এমন একটি উপায় বলবো যাতে পরিবেশেও থাকবে সবুজ এবং লাগবেনা কোন ইলেকট্রিক বিল।
এমন অনেক গাছপালা রয়েছে যেগুলো শুধু অক্সিজেন ও সবুজায়নই প্রদান করে না উপরন্তু শীতল অনুভূতিও প্রদান করে। তাই আপনারা যদি এই গাছগুলি আপনার বারান্দায় লাগান তাহলে শীতল অনুভূতি পাবেন। আসুন সেই সমস্ত গাছগুলি সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

ঘৃতকুমারী (Aloe vera)
ঘৃতকুমারী তে রয়েছে প্রচুর ঔষধি গুন। বিভিন্ন ওষুধ তৈরিতে কাজে লাগে এই গাছ। ঘৃতকুমারী বা এলোভেরা চুল ও ত্বকের জন্য বিশেষ উপকারী। এটি ব্যবহারে কোন পার্শপ্রতিক্রিয়া থাকেনা। এছাড়াও এর বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো যদি এই গাছকে আপনি আপনার বারান্দায় লাগান তাহলে বারান্দার চারপাশের পরিবেশ ঠান্ডা করতে বিশেষ সহায়তা করে।

স্নেক প্ল্যান্ট (Snake Plant)
আপনি যদি এই গাছ বাড়ির বারান্দায় লাগান তাহলে অক্সিজেন সরবরাহ বৃদ্ধি করে এছাড়াও বাড়ির আবহাওয়া ঠান্ডা করতে বিশেষ সহায়তা করে।
আরিকা পাম (Areca Palm)
প্রাকৃতিক আদ্রতা ধরে রাখার বিশেষ ক্ষমতা রয়েছে এই গাছের। গ্রীষ্মে আপনার বাড়িতে যদি এই গাছ লাগান তাহলে বাড়ির আবহাওয়া অনেক ঠান্ডা করবে।

ডাইফেনবাচিয়া (Dieffenbachia)
এই গাছটি অক্সিজেন সরবরাহ করতে বিশেষ উপযোগী। এছাড়াও গাছটি চারপাশে শীতল আবহাওয়া বিশেষভাবে তৈরি করে।
ড্রাকেনা ফ্রাগান্স (Dracaena Fragrans)
এই গাছটি আর্দ্রতা ধরে রাখতে বিশেষ ভাবে সক্ষম। এছাড়াও এটি শীতলতা প্রদানের পাশাপাশি সুগন্ধিও প্রদান করে থাকে।
•  রবার (Rubber)
এই গাছটি যদি বাড়ির বারান্দা তে লাগান তাহলে শীতল অনুভূতি এর পাশাপাশি সতেজতাও প্রদান করবে। কাদের জন্য আপনাকে কুলার ও ব্যবহার করতে হবে না।

ফিকাস বেঞ্জামিনা (Ficus Benjamina)- উইপিং ফিগ (Weeping Fig) বলেও ডাকা হয় এই গাছকে। অর্থাৎ এই গাছ চোখের জল ফেলে। চোখের জল ফেলার এই অনুষঙ্গ বাতাসে আর্দ্রতা মোচনেরই ইঙ্গিত দেয়। তাই ঘরে রাখলে তাপমাত্রা যেমন শীতল থাকে, তেমনই বাড়তি পাওনা হয় সৌন্দর্য- গৃহশোভা বাড়াতেও এর জুড়ি নেই।

বস্টন ফার্ন (Boston Fern)
শুধু ঘরের তাপমাত্রা কমানোই নয়, একই সঙ্গে ঘরের বাতাস পরিশুদ্ধ রাখতেও এই গাছের জুড়ি মেলা ভার। তবে ফার্ন যেহেতু শীতল পরিবেশের গাছ, তাই এটি রাখতে হবে ছায়ায়, ঘন ঘন জলও দিতে হবে।

স্পাইডার প্ল্যান্ট (Spider Plant)
মাকড়সা যেমন ছায়ার প্রাণী, তেমনই এই গাছকেও ছায়ায় রাখতে হয়। মানে ঘরের ভিতরে রাখতে হবে। আর তাতেই এটি প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে বাতাস পরিশুদ্ধ করবে, কমিয়ে দেবে ঘরের উষ্ণতা।

পিস লিলি (Peace Lily)
এর অনবদ্য ফুলের শোভা যেমন চোখে শান্তি আনে, তেমনই গরমে বাতাস শীতল রেখে এটি দেহকেও আরাম দেয়। কেনার সময়ে একটু বড় পাতা দেখে কেনা ভালো আর বেশ কয়েকটা সারি দিয়ে একসঙ্গে রাখতে হবে।

 • চাইনিজ এভারগ্রিন (Chinese Evergreen)
 নাম শুনেই বোঝা যাচ্ছে এই চিরসবুজ গাছ ঘরে শান্তির আশ্রয় তৈরি করবে। বাতাস পরিশুদ্ধ রাখবে, গ্রীষ্মকে কাছে ঘেঁষতে দেবে না। যত বড় পাতা দেখে কেনা যাবে, উপকারও পাওয়া যাবে তত বেশি।


**** এই গাছ গুলি ,সার এবং কীটনাশক কিনতে চাইলে যোগাযোগ করুন SIMPLE PLANT SOLUTION ৮২৯৬৫৯০৬৬৩ নম্বরে *****


April 20, 2022

নয়নতারা

VINCA বা নয়নতারা (একবর্ষজীবি গাছ, কিন্তু এর জীবনচক্র আটকানো সম্ভব)
এই ফুল সাধারণত গ্রীষ্মের ফুল।
এই গাছ এর সুন্দর ফুল ছাড়াও একটি বিশেষ গুণ আছে, এই গাছ একরকম ঔষধি গাছ। যাদের ডায়াবেটিস আছে তারা প্রতিদিন সকাল এ এই গাছ এর থেকে দুটো পাতা খালি পেটে চিবালে ডায়াবেটিস কমে যায় এবং এর থেকে ক্যানসার এর ওষুধ তৈরি র চেষ্টা চলছে।
এই ভিনকা বিভিন্ন রং এর হয়। এই Vinca বা নয়নতারা দেশি এবং বিদেশি প্রজাতির হয়। বিদেশি নয়নতারা খুব একটা কষ্টসহিষ্ণু গাছ নয়, সুখি গাছ। তাই এই বিদেশি গাছ এর পরিচর্যা একটু অন্যরকম । আজ সেই নিয়েই আলোচনা করা যাক।

মাটি : বাগানের মাটি ২ ভাগ + ১ ভাগ ভার্মি কম্পোস্ট + ১ ভাগ কোকোপিট > এর সাথে ৬-৭-৮ ইঞ্চি টব এর জন্য ১/২ চা চামচ এবং ১০-১২ ইঞ্চি টব এর জন্যে ১ চা চামচ ফসফেট মেশাতে হবে। 

জল : আদ্রতা বজায় রাখতে হবে তবে খুব বেশি জল ও সহ্য করতে পারে না।

রোদ :  দেশী - সরাসরি সূর্যালোক
           বিদেশি - ছায়াযুক্ত স্থান ( semi shade )

সার : সার দেওয়ার আগের আগের দিন মাটি ভালো করে ভিজিয়ে নিতে হবে অর্থাৎ আজ জল দিলে পরশু সার দিতে হবে। 
 ১/২ চা-চামচ ডি এ পি ( DAP ) + ১/২ চা-চামচ  এন পি কে ২০-২০-২০ ( NPK 20-20-20)  + ১ চা-চামচ সাদা পটাশ ( SOP ) মাসে একবার।

** বেশি ফুল নিতে চাইলে পিঞ্চিং করতে হবে।
** (বিদেশি) বৃষ্টির জল সহ্য করতে পারে না
জীবনচক্র আটকাতে : জুন-জুলাই মাস নাগাদ ডাল-এ ফলের নীচ থেকে ডালটা কেটে ফেলতে হবে, কাটা জায়গায় saaf (or any fungicide) লাগাতে হবে
এই কাটাই এর পর এই সময় অর্থাৎ জুন জুলাই মাস এর সার : 
১/২ চা-চামচ রক্তসার + ১/২ চা-চামচ শিংকুচি+ ১/২ চা-চামচ নিমখোল + ১/২ চা-চামচ বাদামখোল + ১/২ চা-চামচ NPK 20-20-20 +  ১/২  চা-চামচ সাদা পটাশ ( SOP) 
এই সম্পূর্ণ মিশ্রন থেকে ২ চা-চামচ ৬ ইঞ্চি এবং ৩ চামচ ৮-১০ ইঞ্চি টব এর ক্ষেত্রে মাটি খুঁচিয়ে ছড়িয়ে দিতে হবে ।

ওষুধ প্রয়োগ : 
> ১৫ দিন অন্তর রগর বা টাফগর ( ROGOR/ Tafgor ) স্প্রে করতে হবে ৩০ ফোঁটা ১ লিটার জল এ
> রগড় বা টাফগর দেওয়ার ২ দিন পর যেকোনো ফাঙ্গীসাইড স্প্রে করতে হবে ১ গ্রাম ১ লিটার জল এ দিয়ে। 

**** এই গাছ ,সার এবং কীটনাশক কিনতে চাইলে যোগাযোগ করুন SIMPLE PLANT SOLUTION ৮২৯৬৫৯০৬৬৩ নম্বরে *****


April 16, 2022

রজনীগন্ধা ফুল গাছের সম্পূর্ণ পরিচর্যা

রজনীগন্ধা(TUBE ROSE)_গাছের_সম্পূর্ণ_পরিচর্যা :
❃❃ রজনীগন্ধা ফুলের পরিচিতি :
• ফুলের নামঃ  রজনীগন্ধা
• ইংরাজি নাম: Tube rose
• বৈজ্ঞানিক নামঃ Polianthyes tuberosa

💐 রজনীগন্ধা- এর শ্রেণী বা জাত :
রজনীগন্ধার কয়েকটি জাত বা শ্রেণী বর্তমান। যেমন-
• সিঙ্গল। এই রজনীগন্ধা ফুলের পাঁপড়ি একটি সারিতে থাকে।  
• সেমি-ডবল। এই রজনীগন্ধা জাতের ফুলের পাঁপড়ি দুই বা তিন সারিতে থাকে।
• ডবল। এই রজনীগন্ধা ফুলের তিন-এর অধিক পাঁপড়ির সারি থাকে।
• ভ্যারিগেটেড জাত। এই রজনীগন্ধা ফুলের পাতায় হলুদাভ রেখা দেখা যায় ৷

❋   চারা লাগানোর সময় :
জমি তে চারা লাগাতে হলে মার্চ মাস এর মাঝামাঝি থেকে এপ্রিল মাস এর মাঝামাঝি পর্যন্ত লাগাতে হয় ।
টব এ চারা প্রতিস্থাপন জুন মাস এর শেষ থেকে জুলাই মাস এর প্রথম দিক এর মধ্যে এই গাছ এর চারা লাগাতে হবে ।
🌸  পুষ্প বিকাশের সময় :
আগস্ট মাস থেকে অক্টোবর মাস ।

🌻  টব নির্বাচন : যেহেতু রজনীগন্ধা বাল্ব ছড়াতে চায় তাই এক্ষেত্রে ছরানো ১০ বা ১২ ইঞ্চি র টব শ্রেয় যাতে ৫-৬ তা ছিদ্র করে নিলে ভালো হয়।

**এই গাছ খুব নরম হয়, তাই আপনাকে কিছু জিনিস জোগাড় করে রাখতে হবে আগে ভাগে। প্লাস্টিকের পাইপ, পাট কাঠি,কঞ্চি,শক্ত লাঠি এইসব উপকরণ লাগবে। এগুলি দিয়ে গাছগুলিকে ঠেকনা দিয়ে রাখা যায়।

💢 টব এর মাটি প্রস্তুতি
নদীর সাদা বালি মাটি ১ ভাগ
এঁটেল মাটি (garden soil) ১ ভাগ
কোকোপিট অর্ধেক (১/২) ভাগ
কেঁচো সার অর্ধেক (১/২) ভাগ ( পরিবর্তে ১ বছর এর পুরান গোবর সার বা পাতা পচা সার )

👉 টব প্রস্তুতি : টব এর ছিদ্র গুলি ঢেউ খেলানো খোলাম কুচি দিয়ে ঢেকে দিয়ে তার ওপর পাথর কুচি ( stone cheap ) দিয়ে সেই পাথর কুচির ওপর হলুদ বালি দিয়ে টব এর জলনিকাশই ব্যাবস্থা ভালো করতে হবে । 
তারপর চেপে চেপে মাটি দিয়ে গাছ বসিয়ে গাছ এর চারপাশ দিয়ে আস্তে আস্তে চেপে মাটি দিয়ে ভরাট করতে হবে। গাছ লাগানোর আগে গাছ এর অতিরিক্ত পাতা গুলি কেতে ফেলতে হবে। গাছ লাগানো হয়ে গেলে টব এর মাটি তে জল দিয়ে দিতে হবে ।
🌞  গাছ রাখার আদর্শ স্থান : রজনীগন্ধা গাছের চাষের জন্য উষ্ণ ও আর্দ্র আবহাওয়া প্রয়োজন। মাটি যাতে বেশী ভিজে কাদা কাদা না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। কাদা হলে গাছ বাঁচানো যাবে না। নিকাশি ব্যবস্থা ঠিক রাখতে হবে যাতে গাছের গোড়ায় জল না জমে।
 ৬-৭ ঘণ্টা অবশ্যই সূর্যের আলোর মধ্যে টবটিকে রাখতে হবে। তবে হ্যাঁ একটি কথা মাথায় রাখতে হবে, অতিরিক্ত রোদে গাছটিকে রাখলে গাছটির সবুজ ভাবটি নষ্ট হয়ে গাছটি লাল হয়ে যাবে এবং গাছটি শুকিয়ে মরে যেতেও পারে ।

​​🥀​🌧️​🌹​​ জল এর চাহিদা : এই গাছ মাটি সবসময় ভিজে ভাব পছন্দ করে (MOISTURE)

​🌺​🦋​ সার এর ব্যাবস্থাপনা : গাছ লাগানোর ২০ দিন পর থেকে জুলাই এর ১৫ তারিখ পর্যন্ত ১/২ চা-চামচ করে NPK ( এন-পি-কে ) 20:20:20 গাছ এর মাটি তে ছরিয়ে দিতে হবে ১৫ দিন অন্তর। জুলাই মাস এর ১৫ তারিখ এর পর থেকে পটাশ (SOP) প্রতি ১৫ দিন অন্তর ১০-১২ ইঞ্চি টব এর ক্ষেত্রে ১ চা-চামচ ছরিয়ে দিতে হবে ।

🐞🐌 রোগ – পোকা এর ব্যাবস্থাপনা :
রোগ : ধ্বসা রোগ : রজনীগন্ধা গাছের ক্ষেত্রে ধ্বসা রোগের আক্রমনের সম্মুখীন হতে হয়। এর ফলে গাছের শিকরে পচন ধরে। গাছের পাতা খসে যায়। ফুলের মঞ্জরীগুলো ঢলে পড়ে। এক্ষেত্রে আক্রান্ত গাছগুলো তুলে ফেলতে হবে। গাছের গোড়ার মাটিতে নির্দিষ্ট জলে ব্যাভিস্টিন মিশিয়ে দিতে হবে। রোগাক্রান্ত গাছে ১৫-১৮ দিন পরপর ৩ বার এই মিশ্রণ প্রয়োগ করতে হবে।
পোকা : মিলিবাগ এবং এফিডস ( Aphids ) পোকার আক্রমণ দেখা দিলে মনোক্রোটোফস্‌ ( Monocrotophos ) কীটনাশক  ১ লিটার জল-এ ৩০ ফোঁটা (১.৫ মিলি) নিয়ে ভালো করে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে ১০ দিন অন্তর মাস এ ৩ বার ।
ফুল অর্ধেক ফোটা : সাধারণত নাইট্রোজেন-এর অভাবে এই সমস্যা হয়ে থাকে ।এক্ষেত্রে ১ লিটার জল এ ৫ গ্রাম ইউরিয়া মিশিয়ে ১০ ইঞ্চি টব এ ১ কাপ এবং ১২ ইঞ্চি টব এ ১.৫ কাপ প্রত্যেক সপ্তাহে চারিদিকে ছরিয়ে দিতে হবে ( শুধুমাত্র এই সমস্যা হলেই )

​🌼​🌻​🌷​ বেশী ফুল পেতে হলে : এই গাছ এর প্রথম ফুল ফুটে যাওয়ার পর কন্দটি ধীরে ধীরে মারা যায় এবং সেই কন্দ-এর পাশ থেকে আরো ছোটো ছোটো কন্দ তৈরি হয় যাদের সুগঠিত করতে যে খাবার দিতে হয় তা হল : প্রথম ফুল মারা যাওয়ার ৭ দিন পর অষ্টম দিন-এ ১০-১২ ইঞ্চি টব এর ক্ষেত্রে ১ চা-চামচ ইউরিয়া এবং এর পরবর্তী ৭ দিন এর মাথায় ১/২ চা-চামচ ইউরিয়া, ১/২ চা-চামচ ফসফেট, ১/২ চা-চামচ  পটাশ (SOP) ভালো করে মিশিয়ে টব এর মাটি তে ছরিয়ে দিতে হবে এবং এই সার পুনরায় ৩০ দিন এর মাথায় প্রয়োগ করতে হবে ।


**** এই গাছ এর বাল্ব  ,সার এবং কীটনাশক কিনতে চাইলে যোগাযোগ করুন SIMPLE PLANT SOLUTION ৮২৯৬৫৯০৬৬৩ নম্বরে *****



সার এবং খাবার এর পার্থক্য

সার এবং খাবার এর পার্থক্য

❃❃ Fertilizer যাকে বাংলায় আমরা বলে থাকি সার বা গাছ এর খাদ্য .....
গাছ আমরা সাধারণত দুই ভাবে লাগাই । এক, কোনও পাত্রে,সেটা মাটি বা প্লাস্টিক বা অন্য উপাদান এর তৈরি টব অথবা ড্রাম বা গামলা - এরকম যেকোনো পাত্রে, আর এক সরাসরি জমি তে । হ্যাঁ, জল-এও কিছু উদ্ভিদ লাগাই। এছারা কিছু উদ্ভিদ নিজে থেকেই বংশ বিস্তার করে পরজীবী হয়ে সেটা অন্য উদ্ভিদ এর কান্ড, শাখা হোক বা বাড়ি-র দেওয়াল এই হোক ।
এই সমস্ত উদ্ভিদ এর চাই খাদ্য । আজকের আলোচনা-র মুখ্য বিষয় এই খাদ্য ।
💐 সার যাকে আমরা ফার্টিলাইসার (FERTILIZER) বলি সেই ফার্টিলাইসার (FERTILIZER) শব্দটি এসেছে ল্যাটিন শব্দ FERTILIS থেকে যার প্রকৃত অর্থ উর্বর । তবে গাছ এর খাদ্য বলতেই সার বা FERTILIZER বোঝায় না । এ আবার কি?🧐 আমি কি পাগল এর প্রলাপ বকছি ?🤨 আজ্ঞে না!! তাহলে আলোচনা হয়েই যাক কেন আলাদা বললাম ।
গাছ মাত্রই খাবার চায় । আর সেই খাবার ১৬ রকম । সেগুলোর মধ্যে নাইট্রোজেন , ফসফেট ,পটাশ , অক্সিজেন, হাইড্রোজেন , কার্বন এগুলি ছারাও সালফার , ক্যালসিয়াম , ম্যাগনেসিয়াম , জিঙ্ক , কপার , বোরন , মলিবডেনাম , আয়রন , ম্যঙ্গানিজ , ক্লোরাইড। এর মধ্যে অক্সিজেন, হাইড্রোজেন এবং কার্বন গাছ সরাসরি প্রকৃতি থেকে গ্রহণ করে থাকে ( কিছু ক্ষেত্রে গ্রহণ করতে অক্ষম হলে আমরা বাইরে থেকে বলপূর্বক গ্রহণ করিয়ে থাকি ) ।
❋ এবার আসি, আমরা কোন গাছে খাবার দেব । জমি-র গাছ বেসির ভাগ ক্ষেত্রে মাটি থেকে খাদ্য গ্রহণ করে থাকে। তাই অনেক সময় পরে পরে বেশি উৎপাদন পেতে জমি র গাছ-এ হয়তো বছর-এ এক বা দুবার খাবার দেওয়া হয়ে থাকে ।
কিন্তু, টব বা আর সকল পাত্রে র গাছ-এর ক্ষেত্রে মাটি সীমিত । এই সীমিত মাটি তে খাবার এর পরিমান-ও সীমিত যা তারাতারি শেষ হয়ে যায় । তাই এক্ষেত্রে আমরা নিয়মিত একটি নির্দিষ্ট সময় ব্যবধানে সেটা ১৫ বা ৩০ দিন এর ব্যবধান হতে পারে ( খাবার এর ভিত্তিতে ) খাবার দিয়ে থাকি ।
সবই তো বুঝলাম । কিন্তু খাবার আর সার এর পার্থক্য কি সেটাই তো না বোঝা থেকে গেলো । আচ্ছা এটাও একটু বোঝা যাক ।
🌸সার এবং খাবার এর পার্থক্য  : সার বলতে বোঝায় প্রধানত নাইট্রোজেন (N), ফসফেট (P) এবং পটাশ (K) এবং র এই ৩ টি উপাদান-ই হল গাছ এর প্রধান খাদ্য । কিন্তু খাবার তো আরো অনেক রকম চাই । হ্যাঁ, এই NPK প্রধান হতেই পারে, তা বলে কি মাছ মাংস খেলে কি লেবু দিয়ে ডাল খাব না ?😂 তাই আমরা গাছ এ প্রয়োগ করি বিভিন্ন ভিটামিন, সী-উইড ইত্যাদি যাদের মধ্যে খাবার এর বাকি উপাদান গুলি পাওয়া যায় ।
আবার, কখনও ইচ্ছা করে, লেবু দিয়ে হচ্ছে না,সাথে তেঁতুল ও চাই। কি করে তো ইচ্ছে ?😋 গাছ দেরও করে গো ... গাছ এরও কিছু নির্দিষ্ট খাবার এর অভাব বোধ হয়ে থাকে, যেমন ফুল এর বোঁটা ফেটে যাচ্ছে,বা ফল ফেটে যাচ্ছে, তখন আমদের বুঝে নিতে হয় এটা আমাদের গাছ সুন্দরি রা বোরন খেতে চাইছে । তাই এক্ষেত্রে আমরা আলাদা ভাবে বোরন স্প্রে করে থাকি ।
🌻 এরকম ভাবেই আমাদের বুঝতে হবে একটি বাচ্চা কে যেমন ভাবে বুঝতে হয়, কখন গাছ কে খাবার দেওয়া উচিত , কত পরিমান দিলে গাছ হজম করতে পারবে। এবাবা !!! বেশি খাবার দেওয়া হয়ে গেলো তো !! এবার কি করবো !?  না, বাচ্চা দের যেমন একফোটা কষ্ট দেওয়া চলে না, গাছ কেও সমান ভাবে ভালবেসে বুক এর মাঝে শক্ত করে ধরে বেধে রাখতে হবে । 
 💢অল্প কিছু যেটুকু জানি, সেইটুকু দিয়ে আপনার আমার বাচ্চা দের,মানে এই গাছেদের আরও সুন্দর করে তুলতেই তো আমাদের এই পরিবার ।

সবাইকে বলছি, আমি বিশেষ বিজ্ঞ নই । ভুল ত্রুটি ক্ষমা করে ভুল গুলো ধরিয়ে দেবেন । 🙏 
🥀​🌧️​🌹​​ সবাই ঘরে থাকুন, ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন । আরও অনেক অনেক গাছ লাগান, এই কালো ধোঁয়া য় ঢাকা পৃথিবী কে আবারো সবুজে সবুজে মুড়ে দেওয়ার দায়িত্ব আমাদেরই ।


****  গাছ ,সার এবং কীটনাশক কিনতে চাইলে যোগাযোগ করুন SIMPLE PLANT SOLUTION ৮২৯৬৫৯০৬৬৩ নম্বরে *****

Kagoji Lebu কাগজী লেবু

Kagoji Lebu কাগজী লেবু এর সম্পূর্ণ পরিচর্যা 
মাটি : ১ ভাগ সাধারণ বাগানের মাটি + ১ ভাগ নদির সাদা বালি +  ১ ভাগ কোকোপিট + ১ ভাগ ভার্মি > এর সাথে ২ মুঠো সর্ষে খোল গুঁড়ো + ১ চা চামচ হার গুঁড়ো + ১ চা চামচ সাদা পটাশ ( এস ও পি ) মিশিয়ে যে টব এ গাছ লাগাবেন সেই টব এ ১ মাস রেখে দিতে হবে। ১ মাস পর ছায়াতে ১ ঘণ্টা ছড়িয়ে রেখে তারপর গাছ বসাতে হবে। 
** গাছ গ্রো ব্যাগ এ কিনে আনার পর টা প্রথম ৩-৪ দিন ছায়াতে রেখে তারপর নতুন টব এ প্রতিস্থাপন করতে হবে। এক্ষেত্রে ১মাস আগে থাকতে মাটি তৈরি রাখতে হবে ।
** ফল গাছ প্রতিস্থাপন এর আগে গাছের গোঁড়া শুকিয়ে নিতে হবে, ২-৩ দিন জল দেওয়া যাবে না।

সূর্যালোক : গাছ প্রতিস্থাপন করে ২-৩ দিন ছায়া তে রেখে তারপর সরাসরি সূর্যালোক এ রাখতে হবে। যাদের বাড়িতে সূর্যের আলো কম আসে, সেখানে এই গাছ করা যাবে না।

জল এর ব্যবস্থাপনা : এই গাছ যেন সবসময় ভিজে ভিজে থাকে ( কাঁদা কাঁদা না) ।

সার : (ক) এই সার টি বছর এ তিন বার প্রয়োগ করতে হবে : মার্চ - আগস্ট - অক্টোবর
দু মুঠো সর্ষে খোল গুঁড়ো + ২ চা চামচ হাড় গুঁড়ো + ১ চা চামচ এস ও পি ( সাদা পটাশ ) > মিশিয়ে এর থেকে ৩ চা চামচ ছড়িয়ে দিতে হবে।
(খ) এই সার বছরের বাকি ৯ মাস দিতে হবে
 ১/২ চা চামচ ডি এ পি (DAP) + ১/২ চা চামচ এস ও পি + ১ চা চামচ সিঙ্গেল সুপার ফসফেট + ১ চা চামচ সরষে খোল গুড়ো > মিশিয়ে এর থেকে ২ চা চামচ প্রতি ৩০ দিন অন্তর।

**** এই গাছ ,সার এবং কীটনাশক কিনতে চাইলে যোগাযোগ করুন SIMPLE PLANT SOLUTION ৮২৯৬৫৯০৬৬৩ নম্বরে *****


Alovera

ALOVERA ঘৃতকুমারী
এটি ক্যাকটাস বা ফণীমনসা জাতীয় ভেষজ উদ্ভিত।
  • এর হাজারো গুণ।
  • ত্বকের উজ্জল্ল থেকে শরীরের নানা সমস্যার সবেতেই এর জুড়ি মেলা ভার।
রাস্তাঘাটে কিংবা বাজারে খুবই সহজলভ্য এই উদ্ভিদ। রস হিসেবে খাওয়া যায় আবার ত্বকের প্রদাহে প্রতিষেধক হিসেবেও লাগানো যায়। এতে রয়েছে ক্যালসিয়াম, সোডিয়াম, জিংক, আয়রন, পটাশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, জিঙ্ক, ফলিক অ্যাসিড, অ্যামিনো অ্যাসিড ও ভিটামিন-এ, বি৬ ও বি২, যা স্বাস্থ্যরক্ষার বিভিন্ন কাজে লাগে।
এই অ্যালোভেরা গাছ টি খুব সহজেই একটু ছড়ানো পাত্রে আমরা বাড়ির বাগান এ বড়ো করে তুলতে পারি।
এই গাছ এর উপযুক্ত মাটি : ১ ভাগ সাধারণ বাগানের মাটি + ১ ভাগ ভার্মি কম্পোস্ট + ১ ভাগ নদীর সাদা বালি

সূর্যালোক : এই গাছকে সরাসরি সূর্যের আলো দেওয়া যায় আবার একটু ছায়া জায়গাতেও রাখা যায়।

জলের ব্যবস্থা : সরাসরি সূর্যালোক এ রাখলে নিয়মিত জল দিতে হবে যদি জলনিকাসী ব্যবস্থা ভালো থাকে, ছায়া যুক্ত জায়গায় রাখলে ওপরের মাটি শুকিয়ে গেলে জল দিতে হবে।

সার : মাস এ একবার এন পি কে ১৯-১৯-১৯ বা ২০-২০-২০ গাছ এর চারিপাশে ১/২ চা - চামচ ছড়িয়ে দিতে হবে।

** পাতায় কালো ছোপ প্রতিকার : পাতায় কালো ছোপ বা দাগ দুর করতে ১ চা চামচ চুন (পান এর দোকান এর ) ১ লিটার জল এ মিশিয়ে ১৫ দিন অন্তর ১ বার স্প্রে করতে হবে। 


**** এই গাছ ,সার এবং কীটনাশক কিনতে চাইলে যোগাযোগ করুন SIMPLE PLANT SOLUTION ৮২৯৬৫৯০৬৬৩ নম্বরে *****


April 13, 2022

BLEEDING HEART ব্লিডিং হার্ট

BLEEDING HEART  গাছ এর সম্পূর্ন পরিচর্যা 
এই গাছ গরম এবং বর্ষায় প্রচুর ফুল দিয়ে থাকে। এই গাছ লতানো হয়, কিন্তু কাটাই ছাঁটাই করে ঝোপালো করেও রাখা যায়।
এই গাছ এর জন্যে ৮ ইঞ্চি থেকে ১২ ইঞ্চি টব নির্বাচন করাই শ্রেয়।

মাটি : ৩০% বাগানের মাটি( ভালো করে গুঁড়ো করে চেলে নেবেন ) + ৩০% সাদা বালি + ২০% ভার্মি কম্পোস্ট অথবা ১ বছরের পুরনো গোবর সার বা পাতা পচা সার + ২০% কোকোপিট 
মিশিয়ে মাটি তৈরি করবেন। 

আলো : সম্পূর্ন সূর্যালোক অথবা হালকা ছায়া যেখানে সকাল এর রোদ এসে দুই স্থানেই ভালো হয়। 

জল : নিয়মিত জল দিতে হবে যাতে মাটি ভিজে থাকে। তবে কাঁদা যেনো না হয়।

সার : ক অথবা খ অথবা গ সার প্রয়োগ করতে হবে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে 
(ক) সর্ষে খোল পচা জল ২০ দিন অন্তর
(খ) NPK ১৯-১৯-১৯ বা ২০-২০-২০ দিতে হবে ১ টেবিল চামচ ১৫ দিন অন্তর
(গ) ১ চা চামচ সরষে খোল গুড়ো + ১ চা চামচ হার গুড়ো + ১ চা চামচ SOP (সাদা পটাশ) দিতে হবে মাস এ একবার মাটিতে ছড়িয়ে এবং এর সাথে NPK ১৯-১৯-১৯ বা ২০-২০-২০ স্প্রে করতে হবে ১ লিটার জল এ ১ গ্রাম নিয়ে,। মাস এ একবার

** ফুল এর সময় : মার্চ মাস এর ১০-১৫ তারিখ থেকে অক্টোবর এর ২০-২৫ তারিখ পর্যন্ত। এর পর এই গাছ শিতঘুম এ চলে যায়।
** ফেব্রুয়ারি ২৫ থেকে মার্চ মাস এর ১০ তারিখ এর মধ্যে কাটাই ছাঁটাই করে ফেলতে হবে। 
** নিয়মিত রোগোর বা টাফগর স্প্রে করতে হবে ১০ দিন অন্তর
** ১০-১৫ দিন অন্তর সাফ বা যেকোনো ফাঙ্গিসাইড স্প্রে করতে হবে।
** মাস এ একবার মাটিতে থাইমেট বা ফুরাদন দিতে হবে যাতে মাটিতে কোনো পোকা পিপড়ে কেন্ন কেঁচো না হয়।
** মাস এ দুবার ভিটামিন এবং মাইক্রোনিউট্রিএন্ট স্প্রে করতে হবে।


**** এই গাছ ,সার এবং কীটনাশক কিনতে চাইলে যোগাযোগ করুন SIMPLE PLANT SOLUTION ৮২৯৬৫৯০৬৬৩ নম্বরে *****




বারোমাসি থাই আম

বারোমাসি থাই আম

মাটি :  ১ ভাগ বাগানের মাটি+ ১ ভাগ সাদা বালি + ১ ভাগ ভার্মি কম্পোস্ট+ ১ ভাগ কোকোপিট (আবশ্যক নয়)
আলো : সম্পূর্ণ সূর্যালোক
জল : Cl(ক্লোরিন), F (ফ্লুরিন) মুক্ত জল
         মাটি সবসময় আর্দ্র/ Moist থাকবে
খাবার : ১২ ইঞ্চি টবে
             ১ মুঠো সরিষার খোল গুড়ো + ২ চা-চামচ হাঁড় গুঁড়ো+ ১ চা-চামচ SOP 
রোগ পোকা: লাইপোকা,মিলিবাগ = Clorophyriphos ( ১.৫ মিলি ১ লিটার জলে)
 Rogor মাসে ১ বার কমকরে (১৫-২০ দিন অন্তর)
Biltox  প্রতি সপ্তাহে ১ বার করে (Alternate spray)
Powder Mildiew → জলে দ্রবনীয় গন্ধক ১ গ্রাম ১-১.৫ লিটার জলে দিয়ে স্প্রে করতে হবে যখন এই রোগ হবে


**** এই গাছ ,সার এবং কীটনাশক কিনতে চাইলে যোগাযোগ করুন SIMPLE PLANT SOLUTION ৮২৯৬৫৯০৬৬৩ নম্বরে *****

April 11, 2022

Sthol Poddo স্থল পদ্ম

Sthol Poddo স্থল পদ্ম

স্থল পদ্ম হলো রং পরিবর্তনকারী জবা গোত্রীয় একটি গাছ । এই ফুল সকালে এক রং, দুপুরে এক রং এবং সন্ধ্যে তে এক রং ধারণ করে।
মাটি : ১ ভাগ সাধারণ বাগানের মাটি + ১ ভাগ নদীর বালি + ১/২ ভাগ কোকোপিট মিশিয়ে মাটি তৈরি করে ১০ ইঞ্চি টব এর ক্ষেত্রে ১ চামচ সরষে খোল এর গুঁড়ো + ১/২ চামচ হার গুঁড়ো + ১/২ চামচ শিং কুচি + ১ চামচ নিম খোল মেশাতে হবে। 

সূর্যালোক : প্রচুর সূর্যালোক এ রাখা যায় তবে একটু ছায়াযুক্ত স্থানে রাখলে আরো ভালো ফুল ফোটে। 

জল : জবা গাছ এর মত প্রচুর জল লাগে না তবে মাটি ভেজা ভেজা থাকতে হবে।

সার : এই গাছকে ডি এ পি (DAP) ১/২ চা চামচ + ১/২ চা চামচ এস ও পি ( SOP ) + ১ চা চামচ সরষে খোল গুঁড়ো এই ৩ রকম সার মিশিয়ে এর থেকে ১ চা চামচ দিয়ে দিতে হবে। 
এই খাবার দেওয়ার  ১৫ দিন পরে ১ চা চামচ এন পি কে ২০-২০-২০ + ১ চামচ হার গুঁড়ো দিতে হবে।
আবার ১৫ দিন পর প্রথম। এভাবে চলতে থাকবে।

রোগ-পোকা : রোগ পোকা বিশেষ হয়না শুধুমাত্র দই পোকা বা মিলিবাগ ছাড়া।
> মিলিবাগ হলে একদম শুরুতে খেয়াল করলে ভালো করে জল স্প্রে করে হাত দিয়ে বা ব্রাশ দিয়ে ফেলে দিতে হবে। 
> রক্ষণাবেক্ষণ এর অভাবে যদি একটু বেশি হয় তাহলে ১/২ চামচ ক্লিনিক প্লাস শ্যাম্পু কুসুম গরম জল ১ লিটার e ভালো করে ঝাকিয়ে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে ৩-৫ দিন অন্তর যতদিন না সম্পূর্ণ মিলিবাগ যাচ্ছে ।
> এছাড়া imidachlorprid এর যেকোনো কিটনাশক ৭-১০ দিন অন্তর ১ লিটার জল এ ৫ ফোঁটা দিয়ে স্প্রে করলে এই মিলিবাগ আক্রমণ করতে পারেনা।

**** এই গাছ ,সার এবং কীটনাশক কিনতে চাইলে যোগাযোগ করুন SIMPLE PLANT SOLUTION ৮২৯৬৫৯০৬৬৩ নম্বরে *****





April 9, 2022

FIREBUSH Plant মুনা গাছ

Firebush Plant / HAMELIA PATENS , বাংলায় মুনা গাছ নামে পরিচিত।
এই গাছ এর ফুল লাল,হলুদ এবং কমলা রং এর সংমিশ্রণে আগুন এর মত রং ধারণ করে। সারাবছর এই গাছ এ ফুল হয়ে থাকে। এই ফুল এর কোনো গন্ধ নেই। এই গাছ এর বনসাই খুব সুন্দর হয়। এই গাছ এর বিশেষত্ব এই গাছ এর ফুল প্রজাপতি  আকর্ষণ করে।

মাটি : ভালো জল নিকাশি ব্যবস্থা যুক্ত মাটি প্রয়োজন।
২ ভাগ সাদা বালি + ১ ভাগ মাটি + ১ ভাগ ভার্মি কম্পোস্ট মিশিয়ে মাটি তৈরি করুন।

সূর্যালোক : সরাসরি সূর্যের আলো প্রয়োজন যেখানে কমপক্ষে ৬-৭ ঘণ্টা রোদ্দুর আসে।

জলের ব্যবস্থাপনা : উপরের মাটি ১-২ ইঞ্চি  শুকিয়ে গেলে জল দিতে হবে ।

কাটাই ছাঁটাই : বর্ষাকাল এর মাঝে অথবা গরম কাল এর আগে।

সার : ছোটো অবস্থায় ভার্মি কম্পোস্ট শুধু। ২-৩ মাস পর থেকে আগের দিন মাটি ভালো করে ভিজিয়ে পরের দিন সকাল এ মাটি হালকা খুঁচিয়ে সিঙ্গেল সুপার ফসফেট ১/২ চা চামচ + এস ও পি ( সাদা পটাশ ) ১/২ চা চামচ মিশিয়ে ছড়িয়ে দিয়ে জল দিয়ে দিন। প্রতি দুমাস অন্তর এই সার প্রয়োগ করুন।

রোগ - পোকা : এই গাছ এ রোগ পোকা হয়না সেরকম। ১৫ দিন অন্তর শুধু নিম তেল ১ লিটার জল এ ৩০ ফোঁটা দিয়ে স্প্রে করুন।

**** এই গাছ ,সার এবং কীটনাশক কিনতে চাইলে যোগাযোগ করুন SIMPLE PLANT SOLUTION ৮২৯৬৫৯০৬৬৩ নম্বরে *****





April 5, 2022

গন্ধরাজ ফুল

গন্ধরাজ ফুল গাছের সম্পূর্ণ পরিচর্যা : 
বৈজ্ঞানিক সম্মত নাম : Gradenia Jasminoides
বাংলাদেশ এবং ভারতবর্ষের খুবই জনপ্রিয় এই গন্ধরাজ ফুল।
বাড়িতে টবে খুব সুন্দর ভাবে এই গাছ করা যায়। গ্রীষ্মকালীন এই গাছ খুবই সুন্দর ফুল দিয়ে থাকে।
** এই গাছ কেনার সঠিক সময় শীতকাল এর খানিক আগে থাকতে ।
টব বাছাই : এই গাছ এর জন্যে বড় টব বাছাই করা জরুরি। ১২ ইঞ্চি বা তার থেকে বড় টব বাছাই করুন। 
মাটি : ১ ভাগ সাধারণ বাগান এর মাটি( ভালো করে ঝুরঝুরে করে নিন) + ১ ভাগ নদীর সাদা বালি + ১ ভাগ ভার্মি কম্পোস্ট বা ১ বছরের পুরনো গোবর সার বা ১ বছর এর পচানো পাতা পচা সার + ১ ভাগ কোকোপিট 
স্থান : সরাসরি সূর্যালোক পায় এমন জায়গা
জল এর ব্যবস্থাপনা : প্রত্যেকদিন জল দিতে হবে। মাটি সবসময় ভেজা ভেজা ( MOIST ) রাখতেই হবে, কিন্তু কাদা কাদা ও যেনো না হয় টা খেয়াল রাখতে হবে, আবার শুকনো ও যেনো না হয় সেটাও খেয়াল রাখতে হবে। 
সার : যেদিন গাছ প্রতিস্থাপন করা হবে সেই দিন এবং তার পরের দিন বাদ দিয়ে ,তার পরের দিন সার প্রয়োগ করতে হবে : সুফলা ১ চা চামচ + ১/২ চা চামচ এস ও পি (SOP) মাটির চারিদিকে ছড়িয়ে দিতে হবে। এর একমাস পর থেকে প্রতি ১ মাস অন্তর : ১ চা চামচ এন পি কে ২০-২০-২০ এবং ১/২ চা চামচ এস ও পি ছড়িয়ে দিতে হবে।
** সার দেওয়ার আগের দিন ভালো করে মাটি ভিজিয়ে রাখতে হবে এবং সার দেওয়ার দিন মাটি হালকা খুজে সার দিয়ে জল দিয়ে দিতে হবে।
** প্রতি মাস এ ২ বার মিরাকুলান এবং অ্যাগ্রমিন গোল্ড  স্প্রে করতে হবে। 
** ফুল ফুটে গেলে তার তলা দিয়ে কেটে দিতে হবে। 
** গন্ধরাজ গাছ এ কুড়ি এলে গাছ বেশি নড়াচড়া করা যাবে না।

**** এই গাছ ,সার এবং কীটনাশক কিনতে চাইলে যোগাযোগ করুন SIMPLE PLANT SOLUTION ৮২৯৬৫৯০৬৬৩ নম্বরে *****




April 4, 2022

কামিনী র সম্পূর্ন পরিচর্যা

কামিনী :
বৈজ্ঞানিক নাম : Murraya paniculata
 সাধারণত কমলা জুঁই : orange jasmine, orange jessamine, china box or mock orange নামে পরিচিত একধরনের ক্রান্তীয়, চিরহরিৎ উদ্ভিদ যা ছোট, সাদা, সুবাসিত ফুল জন্মদানের মাধ্যমে শোভাময় বৃক্ষ বা প্রতিবন্ধক হিসাবে বর্ধিত হয়। কামিনী ঘনিষ্ঠভাবে লেবুবর্গের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত এবং কামকুআট সাদৃশ লাল-কমলা আকারে ছোট ফল বহন করে তবে কিছু প্রজাতি ফল উৎপাদন করে না।
পরিচর্যা : 
মাটি : ১ ভাগ বাগানের মাটি  + ১ ভাগ নদীর সাদা বালি  + ১ ভাগ ভার্মী কম্পোস্ট অথবা এক বছরের পুরনো গোবর সার বা পাতা পঁচা সার+ ½ ভাগ কোকোপিট + ১ চা চামচ ফসফেট (১০-১২ ইঞ্চি টব, ৮ ইঞ্চি টবের জন্যে ৩/৪ চা চামচ) 

স্থান : সেমি শেড এ রাখবেন যেখানে সকালের হালকা রোদ পায় । এছাড়া সরাসরি সূর্যালোক এও খুব ভালো হয়। 
** ইনডোর অর্থাৎ ঘর এর ভিতরে এ রাখবেন না।

জল : উপরের মাটি যেনো সম্পূর্ণ শুকিয়ে না যায়,হালকা ভেজা থাকা অবস্থায় জল দিতে হবে । 

সার : এন পি কে ২০-২০-২০ (NPK 20-20-20)  ১ চা-চামচ নিন এবং ১ লিটার জলে ভিজেয়ে রাখুন ২-৩ ঘন্টার জন্য এবং পুরো জল টা মাটিতে ঢেলে দিন প্রতি ১৫ দিন অন্তর ... অথবা .... ১ চা-চামচ হাঁড় গুঁড়ো (BONEMEAL) + ১ চা-চামচ শিং কুঁচি (HORN MEAL) + ১ মুঠো ভার্মিকম্পোস্ট + ১ মুঠো সরিষার খোল গুড়ো + ১ চা চামচ মাইক্রো নিউট্রিএন্টস= সমস্ত উপকরণ ভালো করে মিশিয়ে নিন এবং এর থেকে ১০-১২ ইঞ্চি টব এ সম্পূর্ণ টা এবং ৮ ইঞ্চি টব এর ক্ষেত্রে এই মিশ্রণের অর্ধেক দিতে হবে প্রতি ৩০ দিন অন্তর দিন মাটিতে।

রোগ-পোকা : রোগ-পোকা নেই বললেই চলে, তবে জল এবং সূর্যালোকের পরিচর্যা ঠিকমতন বুঝে করতে হবে।
কাকা, রোগোর, কনফিডোর এবং সুপার সোনাটা প্রতি সপ্তাহে ১ বার করে অর্থাৎ আজ কাকা করলে পরের সপ্তাহে রোগোর তার পরের সপ্তাহে কনফিডোর এবং তার পরের সপ্তাহে সুপার সোনাটা স্প্রে করলে ৯৯% কোনো পোকা মাকড় আক্রমণ করবে না। 
*** ভিনিগার : ১ লিটার জলে ১ ছিপি দিয়ে ভালো করে ঝাঁকিয়ে প্রতি সপ্তাহে ১ বার ওই জলের ২৫০ মিলি জল গাছের গোড়ায় দিয়ে দিতে হবে।

**** এই গাছ ,সার এবং কীটনাশক কিনতে চাইলে যোগাযোগ করুন SIMPLE PLANT SOLUTION ৮২৯৬৫৯০৬৬৩ নম্বরে *****




বুগেনভেলিয়া (বাগান বিলাসী)

বুগেনভলিয়া বা বাগানবিলাস গাছ আমাদের অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি গাছ। এই গাছ খুব সহজেই আমাদের বাগানে করা যায়। যাদের বাগান পরিচর্যা করার সময় খুবই কম তাদের জন্য উপযুক্ত এই গাছ। এই গাছ লতানো বা বনসাই হিসেবে আমরা করে থাকি।

এই গাছ এর পরিচর্যা
মাটি : ১ ভাগ সাধারণ মাটি ( Garden Soil ) + ১ ভাগ নদীর সাদা বালি অথবা বালি এর বদলে ১ ভাগ ভার্মী কম্পোস্ট বা এক বছরের পচানো গোবর সার।
** এই গাছ লাগানোর সময়ে শিকড় এ আঘাত করা যাবে না।
জলের ব্যবস্থাপনা : খুব বেশি জল পছন্দ করে না এই গাছ।
> প্রতিস্থাপন এর পর জল দিয়ে দিন।
> তারপর প্রতিস্থাপন এর দুদিন পর জল দিন।
> এর পর পাতা নুইয়ে পড়লে জল দিন অল্প করে এক গ্লাস এর মত পরিমাণ
> ফুল থাকাকালীন প্রতিদিন জল দিন।
> মাটি কাদা কাদা থাকলে জল দেবেন না।
> ফুল ফোটা শেষ হলে জল কম দিন। জল এর টান দিলে ফুল তাড়াতাড়ি আসবে নচেৎ গাছ সবুজ পাতায় ভরে যাবে।
 সূর্যালোক : এই গাছ যত বেশি সূর্যের আলো এবং তাপ পাবে ততো ভালো
সার (ফার্টিলাইজার) : এই গাছ অনেক খেতে পছন্দ করে।
> ১.৫ চা চামচ ডি এ পি + ১ চা চামচ এস ও পি প্রতি ২০ দিন অন্তর মাটি র চারিদিকে হালকা খুসে ছড়িয়ে দিন।
> এই গাছ রক্তসার পছন্দ করে
> SPECILA LIQUID FERTLIZER : ১০০ গ্রাম মৌরলা মাছ + ১০০ গ্রাম কাঁচা গোবর ১ লিটার জল এ মিশিয়ে (মাটির পাত্র হলে ভালো) ১ মাস রেখে দিতে হবে ( সময়সীমা ১৫ দিন করতে হলে এর সাথে অ্যামোনিয়াম সালফেট ২ চা চামচ মিশিয়ে দিন ) । ১ মাস পরে ছেঁকে নিয়ে এর সাথে ৫ লিটার জল যোগ করুন এবং তার থেকে ২৫০ মিলিলিটর জল দিন। এটা প্রতি মাস এ ২ বার ১৫ দিন অন্তর করতে হবে।
> SPECIAL FERTLIZER  : মাছ এর পিত্তি ১০"-১২" টব এর ক্ষেত্রে ২-৩ টি নিয়ে সাইড এর মাটি গর্ত করে চাপা দিয়ে জল দিয়ে দিন। প্রতি ২-৩ মাস অন্তর এটা করতে পারেন। বর্ষাকাল e করবেন না। এই প্রকার সার দিলে প্রতি মাস এ একবার মাটিতে ফুরাডন ১ চা চামচ দিয়ে জল দিয়ে দেবেন।
রোগ পোকা : এই গাছ এ তেমন রোগ হয়না। ৭দিন পর পর নিয়ম করে নিম তেল স্প্রে করুন ১ লিটার জল এ ৩০ ফোঁটা দিয়ে।
** প্রতি মাস এ ১৫ দিন অন্তর মিরাকুলান স্প্রে করুন ৩০ ফোঁটা ১ লিটার জলে মিশিয়ে।
**মাস এ একবার অ্যাগ্রমিন গোল্ড স্প্রে করুন ৩০ ফোঁটা ১ লিটার জলে মিশিয়ে।
** ফুল ফুটে গেলে ফুল এর নিচ থেকে ডাল কেটে দিন এবং সমস্ত পাতা বোঁটা রেখে কেটে ফেলুন আর নতুন পাতা না আসা পর্যন্ত প্রতিদিন জল দিন মাটিতে।
** এই গাছ প্রতি বছর রিপট করার প্রয়োজন নেই। 

*** বুগেনভলিয়া বা বাগানবিলাস গাছের সুন্দর কাঠামো তৈরি : এই গাছ এর সঠিক গঠন গড়তে কিছু ব্যবস্থাপনা এর প্রয়োজন
(১) প্রথম ছোটো চারা কিনে এনে প্রথমে ৪ ইঞ্চি টব e khub সাবধানে যাতে শিকড় এ চোট না পায়,এভাবে বসাতে । তারপর গাছ এর বেড়ে  অনুসারে কিছুদিন বাদে ৬ ইঞ্চি টব এ প্রতিস্থাপন করতে হবে।
(২) এই গাছ জল পছন্দ করে না ফুল ফোটাতে চাইলে। কিন্তু গাছ এর বৃদ্ধি র জন্যে জল প্রতিদিন নিয়ম করে দিতে হবে, তাহলেই গাছ এর গঠন ভালো হবে। গাছ একটু বড়ো হলে বিভিন্ন খাবার এর ব্যবস্থাপনায় গাছটা আরো একটু বৃদ্ধি করতে হবে , গঠন সুন্দর হলে এবং প্রচুর শাখা হলে তারপর কাটাই ছাঁটাই করে গাছ এর সুন্দর আকৃতি দান করতে হবে।
(৩) এবার আসা যাক এই সময়ে কেমন খাবার দিতে হবে। ২ চা চামচ সর্ষে গুঁড়ো খোল + ১ চা চামচ সুপার ফসফেট বা ১ চা চামচ হারগুরো + ১ চা চামচ পটাশ (SOP) ভালো করে মিশিয়ে ওর থেকে ১ চা চামচ ৪ ইঞ্চি টবের জন্যে, ৩ চা চামচ ৬ ইঞ্চি টব এর জন্যে টব এর চারিদিক এ ছড়িয়ে জল দিয়ে দিতে হবে মাস এ একবার অথবা ২০ দিন এ একবার। এর সাথে মাস এ দুবার অবশ্যই মাইক্রোনিউট্রিএন্টস (MICRONUTRIENTS) স্প্রে করতে হবে , তরল (liquid) হলে ১ লিটার জলে ৩০ ফোঁটা এবং গুঁড়ো (dust) হলে ১ লিটার জলে ১ চা চামচ ভালো করে ঝাঁকিয়ে স্প্রে করতে হবে  ভোরবেলা এবং এর ৬ ঘণ্টার মধ্যে বৃষ্টি হলে আবার স্প্রে করতে হবে।
(৪) এবার আসা যাক কাটাই ছাঁটাই এর ব্যবস্থাপনা তে। গাছ এর গঠন সুন্দর হয়ে গেলে গাছ এ আগেই ফুল না নিয়ে আগে গাছ এর আকার সুন্দর করতে কাটাই ছাঁটাই করতে হবে। এবং ফুল গুলিও কেটে ফেলতে হবে। সাথে সমস্ত পাতা বোঁটা রেখে কেটে ফেলতে হবে। 
(৫) মাস এর একবার অবশ্যই ফুরাডন বা থাইমেট ১ চা চামচ টব এ ছড়িয়ে জল দিয়ে দিতে হবে।


**** এই গাছ ,সার এবং কীটনাশক কিনতে চাইলে যোগাযোগ করুন SIMPLE PLANT SOLUTION ৮২৯৬৫৯০৬৬৩ নম্বরে *****








April 3, 2022

পাতিলেবু এর সম্পূর্ন পরিচর্যা

*পাতি লেবু*
১০-১২ ইঞ্চি টবের জন্য
মাটি: সাদা বালি ১ ভাগ + বাগানের মাটি বা নরমাল মাটি ১ ভাগ+ কোকোপিট ১ ভাগ + ভার্মি কম্পোস্ট ১ ভাগ + ১ চা-চামচ ফসফেট+ ১ চা-চামচ ইউরিয়া+ ১ চা-চামচ SOP
SUNLIGHT : Full sunlight বা সম্পূর্ণ সূর্যালোকে রাখতে হবে
WATER : মাটি সবসময় আর্দ্র (MOIST) রাখতে হবে
Fertilizer : ১ চা-চামচ ফসফেট+ ১ চা-চামচ ইউরিয়া+ ১ চা-চামচ SOP মিশিয়ে সেই মিশ্রন ২ চা-চামচ করে প্রতি ১৫ দিন অন্তর 
*বা* 
NPK (same ratio)(১৯-১৯-১৯ বা ২০-২০-২০) ১৫ দিন অন্তর স্প্রে করতে হবে ১ লিটার জল এ ১ গ্রাম দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে 
*বা*
২ মুঠো সরিষার খোল গুড়ো + ২ চা-চামচ হাঁড় গুঁড়ো + ১ চা-চামচ SOP  প্রতি মাসে ১ বার করে
রোগ পোকা : গাছ লাগানোর ৫ দিন পর
রোগর (Rogor) স্প্রে করতে হবে ১ লিটার জলে ৩০ ফোঁটা দিয়ে।
M-45/ Blitox ১ লিটার জলে ১ গ্রাম করে প্রতি ৭ দিন অন্তর গাছে স্প্রে (spray) করতে হবে

**** এই গাছ ,সার এবং কীটনাশক কিনতে চাইলে যোগাযোগ করুন SIMPLE PLANT SOLUTION ৮২৯৬৫৯০৬৬৩ নম্বরে *****

গাছ ক্রয় করিবার নিয়ম : গোলাপ গাছ

 গোলাপ গাছ ক্রয় করিবার নিয়ম


§  গোলাপ গাছ এর চারা কেনার সঠিক সময় নভেম্বর এর শেষ থেকে জানুয়ারী র শেষ অথবা ফেব্রুয়ারী র মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত , কারণ এই সময় ফুল দেখে গোলাপ গাছ বাছাই করা সহজ । এই সময় ছাড়া বছরের বাকি সময়েও গাছ কেনা যায়, কিন্তু তাতে সঠিকভাবে গোলাপ ফুল সনাক্ত করতে না পারার সমস্যা থেকে যায় ।

যারা নতুন গোলাপ গাছ কিনতে চায়, তারা দেখতে পাবে দু ধরণের গোলাপ গাছ, যার একটি ধরণ মাটি তে বসানো, এবং অপরটি কোকোপিট বা ধানের তুষ বা ধানের কুঁড়া দিয়ে বসান, র সেক্ষেত্রে নতুন বাগানী দের মাটি র গাছ কেনাই শ্রেয় ।

Ø প্রথমে লক্ষ্য করতে হবে গাছ সুস্থ কিনা ।

Ø দ্বিতীয়ত, দেখতে হবে গাছের ডাল গুলি কতটা শক্ত এবং মোটা, এবং এই প্রকার গাছ-ই নির্বাচন করতে হবে ।

Ø তৃতীয়ত, লক্ষ্য করতে হবে গাছ এর ডাই-ব্যাক এবং চেষ্টা করতে হবে এমন গাছ নির্বাচন করতে যাতে ডাই-ব্যাক যেন না থাকে ।

Ø গাছের পাতা হলুদ হয়ে গেছে এবং তাতে কালো কালো ছোপ আছে যাকে ব্ল্যাক্সপট বলে, এরকম গাছ না কেনাই শ্রেয় ।

Ø গোড়া-র কলম অংশ মোটা এবং মাটির উপর দৃশ্যমান যেন থাকে,

Ø গাছের ডাল-এ কোন যায়গায় ফুটো হয়ে আছে এবং সেখান থেকে আঠালো বা ঘুণ এর মত কিছু দেখা যাচ্ছে , এরকম গাছ না কেনা বাঞ্ছনীয় ।

Ø গাছে যেন কোন ছোপ ছোপ দাগ, যাকে স্কেল বলে, সেরম যেন না থাকে ।

Ø বেশি পরিমাণ বা শুধুমাত্র একটি অ্যালা ডাল যদি থাকে, সেই গাছ নেওয়া যাবে না ।

    এসব সত্বেও যদি কোন গাছ পছন্দ হয়ে যায়, যাতে হয়ত সামান্য রোগ রয়েছে, তা ক্রয় করে ঠিকমত পরিচর্যা করলে সেই গাছ বাঁচানো সম্ভব । 

**** এই গাছ ,সার এবং কীটনাশক কিনতে চাইলে যোগাযোগ করুন SIMPLE PLANT SOLUTION ৮২৯৬৫৯০৬৬৩ নম্বরে *****




টবের পুরানো মাটি

 টবের পুরানো মাটি নতুন করে ব্যবহার করার পদ্ধতি


Ø পুরানো টব এর মাটি প্রথমে শুকিয়ে নিতে হবে যাতে পুরানো মাটির নীচে থাকা বালি এবং নুড়ি যা জল নিকাশি ব্যবস্থা করতে করা হয়েছিল তা সহজেই আলাদা করা যায় ।

Ø এরপর, টব এর মাটি সাবধানে টব উল্টে বের করে বালি পাথর (যা যা জল নিকাশি ব্যাবস্থায় ব্যবহৃত হয়েছিল ) আলাদা করে নিতে হবে।

Ø এরপর মাটি কোন শক্ত কিছু দিয়ে গুড়ো করে বালি চালনি দিয়ে চেলে নিতে হবে ।

Ø এই মাটি এর পর রৌদ্রতে তিন থেকে চার দিন ছড়িয়ে রেখে দিতে হবে এবং মাঝে মধ্যে উল্টে পাল্টে দিতে হবে যাতে সম্পূর্ণ মাটি ভালো ভাবে শুকিয়ে যায় ।

Ø শুকানোর সময় সম্ভব হলে আনুমানিক প্রতি টব এর জন্যে এক থেকে দের চা-চামচ চুন মিশিয়ে দিলে ভালো হয় ।

Ø এর পর ১০ টব এই মাটি র সাথে ২-৩ টব ভালো মাটি মেশাতে হবে।

Ø এর সাথে ১০ টব এর সাথে ৩ টব ভার্মি কম্পোস্ট, প্রতি ১০-১২ ইঞ্চি টব এর জন্য ১ মুঠো নিম খোল, এবং যেকোনো ছত্রাকনাশক ১ টেবিল চামচ নিয়ে সব একসাথে ভালো করে মিশিয়ে এক জায়গায় রেখে দিতে হবে ।

এই ভাবে পুরানো মাটি আবার নতুন করে ব্যবহার করা যায় । 

***** গাছ এর রেডিমেড মাটি এবং গাছ ,সার , কীটনাশক কিনতে চাইলে যোগাযোগ করুন SIMPLE PLANT SOLUTION ৮২৯৬৫৯০৬৬৩ নম্বরে *****




April 2, 2022

epsom salt এর ব্যবহার

 এপসম সল্ট এর ব্যবহার


এপসম সল্ট এ থাকে ম্যাগনেসিয়াম সালফেট, যার উপাদান : ম্যাগনেসিয়াম এবং সালফার ।

§  ম্যাগনেসিয়াম এর কার্য :

ž  গাছের সবুজ কণা তৈরিতে এবং গাছের আত্তীকরণে গুরুত্তপুর্ন ভূমিকা পালন করে ।

ž  মাটির পুষ্টি মৌল নাইট্রোজেন এবং ফসফরাস শোষণ করে ।

ž  গাছের নিজের শরীরে জল ধারণ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে ।

ž  গাছের শ্বেতসার , চর্বি , ভিটামিন তৈরিতে এবং সংবহনে সাহায্য করে ।

§  সালফার এর কার্য :

ž  গাছের সবুজ কণা তৈরিতে সাহায্য করে ।

ž  গাছের শিকড় বৃদ্ধিতে সাহায্য করে ।

ž  গাছের বীজ তৈরিতে সাহায্য করে ।

 

§  ম্যাগনেসিয়াম এর অভাব বোঝার পদ্ধতি :

 

Ø গাছের পাতা হাল্কা হলুদ হয়ে যায় যাকে ক্লোরোসিস বলে ।

Ø যে পাতা হলুদ হয় তার শিরা গুলি সবুজ থাকে

Ø গাছ এর পুরানো পাতায় এই লক্ষণ দেখা যায়, নতুন পাতায় নয়

Ø এই অভাব প্রচুর পরিমানে হলে গাছ এর সব পাতা হলুদ হয়ে ঝোরে যায় এবং গাছ ন্যারা হয়ে যায়

§  সালফার এর অভাব বোঝার পদ্ধতি :

Ø গাছের ডগার কচি পাতা হলুদ হয়ে যায় ।

Ø গাছের কান্ড বেশি পরিমাণে বৃদ্ধি পায় এবং শক্ত হয়ে যায় ।

Ø গাছ এর শিকড় আবদ্ধ (ROOT BOUND) হয়ে যায় ।

Ø অথবা গাছের হঠাৎ বৃদ্ধি বন্ধ হয়ে যায় ।

Ø ফুল ফল পাতা – এর বোঁটা লিকলিকে এবং লম্বা হয়ে যায় ।

Ø ভঙ্গুর হয়, পাতা গুলি বোঁটা থেকে সহজেই ভেঙ্গে যায় ।

 

u  এপসম সল্ট এর ব্যাবহার :

** সব গাছে স্প্রে করা যায় না আবার সব গাছে মাটিতে দেওয়া যায় না

বহুবর্ষজীবী / কাষ্ঠল প্রজাতির গাছ এর ক্ষেত্রে  : স্প্রে ও করা যায় এবং মাটিতেও দেওয়া যায় :

স্প্রে করার পদ্ধতি :  ১২ ইঞ্চি টব এর ক্ষেত্রে ১ চামচ এপসম সল্ট ১ গ্যালন ( ৩ লিটার ৭০০ মিলিলিটার ) জলে ভাল করে মিশিয়ে স্প্রে মাসে একবার

মাটিতে দেওয়ার পদ্ধতি :   এক্ষেত্রে প্রয়োগ করার আগেরদিন মাটি তে জল দিয়ে আর্দ্র (MOIST) করে নিয়ে প্রয়োগ করার সময়ে মাটি ভাল করে খুসে নিয়ে প্রতি ১২ ইঞ্চি টবে ১ চামচ , ১০ ইঞ্চি টব এ অর্ধেক চামচ এর সামান্য বেশি এবং ৮ ইঞ্চি টবে অর্ধেক চামচ চারিদিকে ছরিয়ে দিতে হবে প্রতি মাস এ একবার ।

রসালো কান্ড বা রসালো পাতা প্রজাতির গাছ ( যেমন হাউস প্ল্যান্ট, সবজি গাছ) এর ক্ষেত্রে  : এক্ষেত্রে প্রয়োগ করার আগেরদিন মাটি তে জল দিয়ে আর্দ্র (MOIST) করে নিয়ে প্রয়োগ করার সময়ে মাটি ভাল করে খুসে নিয়ে প্রতি ১২ ইঞ্চি টবে ১ চামচ , ১০ ইঞ্চি টব এ অর্ধেক চামচ এর সামান্য বেশি এবং ৮ ইঞ্চি টবে অর্ধেক চামচ চারিদিকে ছরিয়ে দিতে হবে প্রতি মাস এ একবার ।

পাম প্রজাতির গাছ এর ক্ষেত্রে : এই প্রকারের গাছে এই অভাব খুব একটা না হওয়ার কারণে প্রতি মাসে দেওয়ার প্রজন পরে না, তবে যদি অভাব হয়, তখন দিতে হবে ।

 

u  এপসম সল্ট কোথায় পাওয়া যায় :  সমস্ত অ্যালোপ্যাথি ওষুধ এর দোকানে ম্যাগনেসিয়াম সালফেট নামে পাওয়া যায় ।  এছাড়া আমার কাছ থেকে সংগ্রহ করতে যোগাযোগ করুন 8296590663 নম্বরে

u  স্প্রে করার ৬ ঘন্টার মধ্যে বৃষ্টি হলে পুনরায় স্প্রে করতে হবে ।

u বনসাই এর ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা যায় না, তবে অ্যাডেনিয়াম গাছ এ স্প্রে করা যায় ।

***** এপসম সল্ট এবং গাছ , অন্যান্য সার এবং কীটনাশক কিনতে চাইলে যোগাযোগ করুন SIMPLE PLANT SOLUTION ৮২৯৬৫৯০৬৬৩ নম্বরে *****